এই যে বৃষ্টিগুলো,
এত এত জলধারা,
অর্থহীন এখন।
কী করব এই জলধারা?
আমি তো ছিলামই না এমন,
আমি জানতামই না,
বৃষ্টিকেও জানালার ধারে বসে বসে দেখা যায়,
রেকর্ড করে মুঠোয় মুঠোয় তোমার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যায় কিছু বৃষ্টি-সমাচার।
এই যে আমার পাখিদের উচাটন,
এই পাখিগুলোও কখনও আমার আদর পেতই না!
আমি শুধু তাদের রক্ষক ছিলাম,
এদের স্নেহাশিস তুমিই তো বানিয়ে তুলেছিলে আমাকে।
পাখি তোমার খুউব পছন্দ, জানি,
ঝড়ো হাওয়ায় ওরা ছটফট করছে,
বুঝি; তবু
যাই না কাছে!
বাসবী বড়োই অসম্পূর্ণ…ভাস্করকে ছাড়া।
ভাস্কর অবশ্য বলেই দিয়েছে,
জীবন থেকে বেশি কিছু চাইতে গেলেই শুরু হয় গন্ডগোল—
সাহিত্য থেকেও তা-ই।
এভাবেই ভাস্কর নিজের লেখা থেকে করা প্রত্যাশার ভার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে...
লেখালেখি ছাড়েননি।
আমার দিনগুলো অবশ্য এখনও তুমিময়,
তোমার যত প্রিয় বই,
যত প্রিয় প্রিয় লেখক…যা যা আছে,
সবার সাহিত্যকর্মই এখন আমার অনুরাগের পাত্র।
আমি পড়ি,
তাঁদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি,
সামনেই সাজিয়ে রাখি বইগুলো,
লেখালেখির বাতিকও হয়েছে…
তোমার এই না থাকাতে।
ভালোবাসার মানুষটাকে পেয়ে গেলে
জীবনে আর কিছুই পাওয়া হয় না।
আচ্ছা, আমার হঠাৎ থেমে যাওয়া,
উধাও হয়ে যাওয়া,
কতকী-ই তো হয়ে গেল, আর
তোমার জীবনযাপনে কিছুই বদল হয়নি?
তোমার শান্ত জীবনটা কোনো উৎকণ্ঠা বা অভাব অনুভব করে না?
করে না হয়তো!
ব্যস্ততা বড়ো ভালো জিনিস—
মানুষকে বাঁচিয়ে দেয়,
ভুলে যেতে দেয়,
ঘুম পাড়িয়ে রাখে দুঃখযাপনের সময়টাতে।
শুধু হঠাৎ…একদিন রাতে, হয়তো বৃষ্টি হবে,
সেদিন মন খুউব আনচান করবে আমার পাগল পাগল কথাগুলোর জন্য,
আলোকচিত্র দিয়ে দিয়ে গল্পবলাগুলো ফিরে ফিরে আসবে…দেখো!
সুরে-বেসুরে গেয়ে গেয়ে শুনিয়ে আনন্দ-খুঁড়ে-এনে-দেওয়া সেই আমিকে, আর তার তোমাকে
খুব কাছে পেতে চাওয়াগুলো
তোমাকে সেদিন খুউব করে আঘাত করতে চাইবে হয়তো।
তবে আমি তো সেদিন আসতেই দেবো না আমার এই অদ্ভুত প্রহরগুলোতে,
আমার হৃদয়ের কথা আমি ধামাচাপা না দিয়ে সেগুলোকে উদ্যাপন করে দিই
…প্রতিটি দিন।
তাদের আর কষ্ট দেবার ক্ষমতা থাকে না,
বরং তারাও আমার উদ্যাপনে শামিল হয়ে যায়,
বন্ধু হয়ে পাশে থেকে যায়।