তোর কথা খুব নিঃস্বার্থভাবে মনে করলে ভীষণ শান্তি পাই। একবার তো আমার এতটাই খারাপ অবস্থা, তখন ইনজেকশন নিতে হয়েছিল বেশ অনেক বার। প্রথম দিকে ব্যাপারটা অসহ্য যন্ত্রণা দিচ্ছিল—হঠাৎ করলাম কী…চোখ বন্ধ করে শুধু মনে মনে বললাম—”তুই আমাকে অনেক শান্তি দিয়েছিস।” ব্যস্! আমার সব কষ্ট নিমিষেই উধাও।
আমার অ্যাংজাইটি প্রবলেম আছে—হঠাৎ করেই সব কিছু এত বেশি এলোমেলো লাগতে শুরু করে…কিছুতেই নিজেকে স্থির রাখতে পারি না…
এবার তোর খোঁজ করা বন্ধ করে দেবো, এভাবে তো চলতে পারে না।
তুই একবার বলেছিলি আমাকে, মনে আছে—তোকে না পেলে আমি অস্থির হয়ে পড়ি…ঠিকই বলেছিলি। ওটা আমাকে ভীষণ যন্ত্রণা দেয়। চিন্তা করে দেখলাম—আমি তোকে এত মরিয়া হয়ে কেন খুঁজছি? Why? এর উত্তরটাও পেয়ে গেলাম—এর পেছনে হয়তো কোনো স্বার্থ রয়েছে।
আসলেই তা-ই।
এক। তোকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয় না? তোকে না পেলে ওই মুহূর্তটা কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারি না।
দুই। তুই না থাকলে আমি কিছু লিখতে পারি না, একদমই না।
তবে, এসব স্বার্থ বাদেই এবার আমি তোকে মনে মনে কল্পনা করতে শুরু করলাম—তখন অস্থিরতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করল। জানি না, এভাবে কতক্ষণ আমি একটু সুস্থ থাকব। তুই আমার কাছে অনেকটা প্রার্থনার ওই অশ্রুর মতন—যা শুধুই আকস্মিক।