অতঃপর, আমি চলে গেলাম আমাদের চেনা সীমানার ঊর্ধ্বে—এমন অবস্থানের যথাযথ কারণ কখনোই থাকতে পারে না। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে তুমি আমাকে সহ্য করতে পারবে না, এই সহজ সত্যিটা মেনে নিলাম নিমিষেই।
প্রয়োজনের অজুহাত দিয়ে কাছে রাখাটা তোমার স্বভাবের বাইরে ছিল। আর প্রিয়জন! তা কি কখনো হতে পেরেছিলাম? তোমার রহস্যময় হাসির আড়ালে যেন আমাকে ছেড়ে যাবার শঙ্কা!
মাঝে মাঝেই মনে হয়, তোমার জীবনের এত এত যোগ্য মানুষের ভিড়ে আমি বোধ হয় ভীষণ বেমানান। তুমি এখন যার সাথে আছ, সে নিশ্চয়ই তোমাকে খুউব ভালো রেখেছে! তুমি কাউকে নিয়ে সুখী আছ দেখতে বড়ো ভালো লাগে।
তোমার সাথে থাকতে না পারার যন্ত্রণা হয় তবুও। আমি যতটা তুচ্ছ মানুষ, এই ধুলো-জমানো ঘরে তোমায় থেকে যেতে বলার মতন স্পর্ধা আমার নেই; তুমি বরং আমার উপাসনাতেই থেকো, দূর থেকেই তোমাকে মনের ভেতরটা দিয়ে ছুঁই।
কত বার বুঝিয়েছি নিজেকে, সুখের মিছিলে যেতে আমার মানা, ওতে আমাকে মানায় না। তুমি তো জানো, আমি শুধু এই একটা জায়গাতেই তোমার কাছাকাছি থাকতে পারিনি; পারিনি বলে যে চাইনি, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। যা হোক, তুমি সুখের অভিনয়ে ক্লান্ত হওনি তো?
ভালো থাকাটা কতটা জরুরি? আমি ঠিক জানি না, তবে মনে হয়, আমার না থাকাটা যতটা প্রাসঙ্গিক, তেমনটাই।
ব্যস্! এই কোলাহল থেকে মুক্তি চাই তোমার, এ-ই তো? তা আগে বললেই পারতে! অবশ্য আমি না চাইলে তুমি আমার মনের ভেতরটা এভাবে তছনছ করে দিতে পারতে না কখনোই।
আচ্ছা, শীতের তীব্র বাতাস থেকে মুক্তি তো চাও না তুমি, তবে আমার থেকে কেন চাইছ? আমাকে ঘিরে তোমার অনুভূতিগুলো ঠিক কতখানি পক্ষপাতশূন্য?