পড়ন্তবেলার অভিসারে



: তোর না-বলা অনুভূতিতে আমার বসবাস।
তোর স্পর্শের খামখেয়ালি স্বভাবেই আমার প্রিয় অনুরাগ।
আমাদের মাঝে সবটাই যেন কত সহজ ছিল, তাই না?

তোর বাড়াবাড়িতেই আমি নিজেকে আটকে রাখতাম—
সে দূরত্বও কি সত্যিই তোকে আমার থেকে সরাতে পেরেছিল?
আজও তুই মিশে থাকিস আমার পড়ন্ত বিকেলে—
যেমনটা আমি থেকেছি তোর স্পর্শানুভূতির অতৃপ্তির মধ্যে।

: তোর চাইতে গভীরভাবে আমি এই জীবনে আর কাউকে ছুঁয়ে দেখিনি।

তোর নীরবতায় থমকে গিয়েও আমি চলেছি অবিরত—
বল তো, কতটা সময় পেরোলে পরে পাবো তোর নিখোঁজ নীড়ে আমার কোলাহল?
স্থবির এ পথে আমি হেঁটেছি বহু ক্রোশ একাকী,
তা কি আজও তোর অজানা রয়ে গেছে?

: অদ্ভুত এক শূন্যতায়ও তুই যতটা আমার—
সে অপ্রাপ্তির বিবর্ণতায় তোকে আবারও পেতে চাই।
তোর পূর্ণতার রঙেও আমি খুঁজে নিয়েছি
আমাদের উদ্দেশ্যহীন বন্ধুত্বের পথের গন্তব্য।

তুই আছিস বলেই আমার অভিমানেরা পালায়,
তুই ফিরে তাকালেই আমার ভালোবাসার সুবাসে
তোর বুকের গভীর কোণে হাহাকার জেগে ওঠে।
তুই থেকেই গেলে—
মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় জীবনের সব না-পাওয়ার ব্যথা।

: আমি কখনো এসেছি তোর কাছে,
অযথাই তোকে রেখেছি নিজের কাছে—
তবু, আরও বেশি করে তোকে চাইতে চাইনি।
সেই অপ্রকাশিত ভালোবাসার শেষটা তোকে দিয়েই যেতে চেয়েছি।

যে-কথাটা তোকে কখনো বোঝাতে পারিনি—
আমার চোখে তাকিয়ে বুঝে নিস তা।
আমি জানি, তোর প্রেমে না ডুবলে আমার অস্তিত্ব নেই।

তুই ভালো থাকিস—
এই চাওয়াটার মাঝে কোনো অধিকারবোধ নেই আমার,
কারণ কেবল ও-অধিকারেই আমি নিজেকে অপরাধী ভাবি।

তোর উদাসীনতাই হয়তো আমার প্রাপ্য,
তোর অবহেলায় আমার সময় ছুঁয়ে থাকে
চেনা অনুতাপের এক মলিন পরাজয়।

তোকেই খুঁজে আমি অস্থির হই,
তোর ভাবনায় ডুবে থেকে আমি লিখি—
আমাদের এলোমেলো রূপকথা।
অশ্রুর অগোচরে তোকে নিজের করে ভাবলে
আমি এক অদ্ভুত শান্তিতে থাকি।

ডায়েরির পাতাগুলো আজও অক্ষতই আছে—
সেই পাতায় আমি লিখেছি তোর নামেই
আমার বেদনার কালি দিয়ে, ভালোবাসার আদরে।

: আমি আছি বলেই তুই আছিস।
আমার ভেতরটা জুড়ে শুধু তুই—
তোর লেখাতে, আমাদের প্রতিচ্ছবিতে।
শোন, তোর অনুভূতির মেঘাচ্ছন্ন আকাশে
আমাকে বাঁচিয়ে রাখিস...!!
আমি আছি, থাকব... তুই চাইলে।
Content Protection by DMCA.com