: আমাকে তোমার কাছে চোখের অতলে, ঠোঁটের উষ্ণতায় কিংবা বুকের পাঁজরে আত্মস্থ করে নেবে, নীড়? আমি মিশে থাকব তোমার অস্থিরতায়, আর দু-জনের নিঃশ্বাসে তীব্রভাবে মিশে থাকবে অপ্রকাশিত আবেগ।
: তোমার স্পর্শে এত উন্মাদনা লুকিয়ে থাকে, যা ভালোবাসার অনুভূতিকে অসহনীয় করে তোলে।
: আহ্! তোমার অবয়ব আমার অন্তরে অসামান্য সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করেছে বার বার।
: তোমায় ছোঁয়ার পর থেকে জাগতিক কোনো কিছুই আর আমাকে টানে না, কারও ভালোবাসা আমাকে আকৃষ্ট করে না।
: শুনেছি, লেখকদের অন্তর্দৃষ্টি খুব প্রখর হয়। তুমি কি তাহলে বুঝতে পারো—আমার নিঃশব্দে কাঁদতে-থাকা ইচ্ছেগুলোর মৃত্যু-যন্ত্রণা?
: শুনছ? এভাবে নিজেকে রক্তাক্ত করে বার বার কী বোঝাতে চাও তুমি?
: ভালোবাসার আত্মাহুতি, বিশেষ কিছু নয়।
: অসম্ভব সুন্দর কিছু সুরের ঘোর আমাদের ভালোবাসাকে রোজ জাগিয়ে রাখত। তোমার সাথে আরও কয়েক শতক পেছনে ফিরে যেতে চেয়েছি আমি। আমৃত্যু তোমায় অনুভব করতে চাই শুধু।
: নিস্পৃহতায় সময় কাটছে, আমার সব আয়ু যেন শুধু তোমার হয়! জীবনের অর্থটা, তোমার নিঃশ্বাস আমাকে নতুন করে বুঝতে শেখাল।
: তুমি স্বর্গের ছটফট-করা নীলকণ্ঠ পাখিটা, যাকে ভেবে মৃতপ্রায় মানুষেরা সুখ খুঁজে চলে। এই ভয়ংকর সুন্দর, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন থামিয়ে-দেওয়া মানুষটিকে আমার খুব কাছে থেকে ছুঁয়ে দেখার, অনুভব করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তুমি আমার এই একজীবনের সুখের অপ্রাপ্তি।
: তোমার কী হয়েছে? সত্যিই কি তুমি জানতে না—তুমি স্থবিরতার মায়াজাল?
: তোমার 'তৃতীয়-দৃষ্টি' কী বলে? আমি আর কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারব?
: কী-একটা অসুখ, সেটাও নাকি তোমার কাছ থেকে আমাকে আলাদা করতে পারে!
: আমার তোমাকে দেবার মতো কিছুই নেই। আমি এতটা অক্ষমতা চাইনি।
: তোমার সব আছে; হয়তো আগে কখনও উপলব্ধি করোনি।
: এভাবে বোলো না। আমি তো যৎসামান্য। তুমি ফিরে তাকালেই আমি তলিয়ে যাব।
: তোমার চোখে, আমার শেষ-আবেগ কতটা প্রকাশিত?
: বুকের পাঁজর ক্ষয়ে গেছে ঠিক যতটা।
: মুছে ফেলতে চাও না কেন আমায়?
: স্পষ্টত ক্ষত মেরামতের চেষ্টা করা ছাড়া, দূর করে ফেলার দুঃসাহস আমার নেই।
: তোমার সব লেখাতেই পুরোটা আমি! অথবা বলা যায়, তোমার সব লেখাই আমি।
: আচ্ছা, আমার সাথে পরিচয় হবার আগেও কি তুমি এভাবে লিখতে?
: শুনেছি, তীব্র ভালোবাসা মানুষের আত্মাকে অসীম ক্ষমতায় ভাসিয়ে নিতে পারে। শুদ্ধতম সেই অনুভূতির খোঁজে আমি কেবল তোমায় পেয়েছি।
: যদি বলি— তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি আমি, তুমি কি তা মেনে নেবে?
: লেখার জন্য হয়তো শব্দের প্রাচুর্য প্রয়োজন, অভ্যস্ততায় নিজেকে বেঁধে ফেলা জরুরি; কিন্তু আমার তো এসবের কিছুই নেই। আমার শুধু একটা 'তুমি' আছে, যা আর কোথাও নেই।
তাই আমার লেখাগুলো জুড়ে 'শুধুই তুমি' থাকো, এ শূন্য মনের খেয়ালখুশিমতো। তোমার স্পর্শই আমাকে লিখতে শিখিয়েছে। আগে তা কোথায় পাবো, বলো?
: তোমার প্রতিটি লেখাই গভীর অনুভূতির সৃষ্টি করে আমার হৃদয়ে।
: 'নভেম্বর রেইন' হোক আমাদের জীবনের সেরা একটি মুহূর্তের সাক্ষী।
: আমার অনুভবে আজ ভীষণভাবে যন্ত্রণার প্রলয়ে আচ্ছন্ন তুমি। হাত কাঁপছে, তোমাকে শব্দে রূপ দিতে।
: জানো, তোমার লেখাগুলো আমাদের ভালোবাসার অমূল্য দলিল।
: নিজেকে পুড়িয়ে নিঃশেষপ্রায়, তবুও তোমার বুকে আমার অস্তিত্বের আবির্ভাব এখনও দৃঢ়। দেখো, আমাদের জন্য 'নভেম্বর রেইন' অপেক্ষা করছে।
: তোমার দরজার ওপাশে রেখে গেলাম আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত-বন্দি কিছু শব্দের কোলাহল। আমাদের ভালোবাসার মুহূর্তগুলো এই ডায়েরিতে রাখা আছে। আমি মারা গেলে, তুমি খুব যত্নে রেখো। এতে আমার শেষ স্পর্শ আছে।