নির্বাক ডায়েরির পৃষ্ঠা



তোমার সব লেখাতেই আমি রয়েছি—তা তো দেখতেই পাচ্ছি!
তুমি চাইলে অন্য কোনো ভঙ্গিতে লিখতে পারতে।
কিন্তু তুমি তা করো না—ইচ্ছা করেই করো না, আমি জানি।
হা হা হা...

তোকে আমি আর সবার মতো করে ভালোবাসতে চাই না।
ধরে নিস, এটাই আমার ভালোবাসার ভাষা।
তোর অনুভূতিই থাকবে আমার প্রতিটি লেখায়।
তোর চোখের আকুলতা রয়ে যাবে আমার স্মৃতির গভীরে।
তোর আদর ছুঁয়ে থাকবে আমার অস্পর্শ শরীরকে।
তোর নিঃশ্বাসের অস্পষ্ট ব্যাকুলতা মিশে থাকবে আমার তীব্র অনুভূতির খেয়ালি স্রোতে।
...আমি এভাবেই তোকে ভালোবাসি।
এই গন্ডির বাইরে তুই আমাকে কখনও খুঁজে পাবি না।

আচ্ছা, আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল কবে?

ওসব আমি নিজেই মনে রাখি না—আর তোর মনে থাকার কথাও নয়।
তবে, তোর সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত আজও স্পষ্ট আমার ভেতরে—যেভাবে তা হবার কথা ছিল না।
কল্পনায় তোর সঙ্গে প্রতিদিন শেষের দিনগুলো কাটিয়ে যাচ্ছি।

মাসের পাতায় লেখা অনুভব দেখবি?

সেপ্টেম্বর:
আমার এলোমেলো চুলে হাত রেখে
তুই আমাকে কাছে ডেকেছিলি।
উদাস বাতাসে শুধু তুই ছিলি—নিঃশব্দ, নিকট।

অক্টোবর:
তোর স্মৃতির উদ্দেশে শুরু হয়েছিল অনুভূতির যাত্রা।
ব্যস্ত শহরের কোলাহলের মাঝেও তোকে খুঁজে পেয়েছি।

(পরের পৃষ্ঠাগুলো ছিঁড়ে ফেলেছি...)


আজ:
আমি ভীষণ খুশি।
কারণ, তুই বলেছিস—তুই আর আমাকে ভুলে থাকতে চাস না।


নভেম্বর:
তোর মনটা খুব খারাপ—এই কথাটা আমায় জানিয়ে রেখে গেছিস।
তাই তোকে হারানোর ভয়টা আজ একটু বেশিই অনুভব করছি।

তোর চোখে তাকিয়ে ছিলাম
তোকে হারানোর সেই গভীর ভয়ে—
যা আসলে আমার অসমাপ্ত ভালোবাসার ছায়া।

ডিসেম্বর:
মনে হচ্ছিল, তোকে পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছি।
ঠিক তখনই তুই বলেছিলি—
ডিসেম্বরের শহরে... আমাদের আরেক বার দেখা হবে।
[শেষ পৃষ্ঠায় অদেখা কালি—শুধু এক দীর্ঘশ্বাস…]
Content Protection by DMCA.com