এখন জানালা দিয়ে নারকেল গাছটা দেখছি
অমাবস্যার রাতে, ভূতের মতো তার রূপ।
মাথায় ঝাঁকড়া চুল—হাইজ্যাকারের মতো,
বাতাস স্থির।
কীরকম বিভীষিকাময় কালো
দাঁড়িয়ে আছে এক পা হারিয়ে আরেক পায়ে।
অথচ এই তো সেদিন—যেদিন চোখে-মুখে
টাটকা সবজির আনন্দ সবার,
সেদিন রাতেও, সেই নারকেলের ডাল চুঁইয়ে পড়েছিল
জোৎস্নার সাদা আলো . . . জানালার পাশে শাদা বিছানাটায়,
আরও সফেদ রং ঢেলে দিতে।
এখন সারা বন-উপবন ছেয়ে গেছে
আমার হারানোর গভীর বেদনায়।
হঠাৎ করে অসময়ে শীত পড়ে সব পাতা
হলুদ করে ঝরে গেছে ধূসর ধুলায়
গৃহহীন পৃথিবীতে।
আকাশের নীলাচোখ ভরে যায় নির্জন
দ্বিপ্রহরের চিলের সকরুণ কান্নায়।
আমার পৃথিবী কাঁদে—ছোট্ট ছেলের মতো
রঙিন বেলুন ফেটে গেল বলে;
হিজলের ডালে একটি কোকিলের ডাক
আমার হৃদয়ের অশ্রু ঝরায়।
আমার গিটারের কুমারী নাভীমূলে, কণ্ঠে
যন্ত্রণার বিষণ্ণ চিৎকার এখন।