নিজের হৃদয়টাকে বাঁচাও। না বাঁচালে তা ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। কীভাবে? এক। বেশি প্রত্যাশা কোরো না; কারও কাছ থেকেই না, তা সে যতই আপনজন হোক না কেন। তুমি যার উপকার করছ, তার মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ না-ও থাকতে পারে। দুই। চাহিদা কমিয়ে ফেলো। ভাবো, আগে তো আরও অল্প নিয়েও বাঁচতে! যদি বেশিতে বাঁচতে আগে, তবে ধরে নাও, এই অল্পতে বাঁচার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনও কল্যাণ নিহিত আছে। তিন। কোনও কিছুই অনুমান করে নিয়ো না। অনুমান করে কিংবা না জেনে কখনওই কিছু বোলো না। অনুমাননির্ভর মন্তব্য করার লোভ সামলাও। চার। তোমার সীমাবদ্ধতাগুলি খুব ভালো করে জেনে রাখো, এবং নিজের কাছে তা স্বীকার করে নাও। এরপর সেগুলি দূর করার চেষ্টা করো। পাঁচ। তুমি কোথায় দাঁড়িয়ে আছ এবং কোথায় যেতে চাও, এই দুটো ব্যাপার জেনে নেবার জন্য যথেষ্ট সময় খরচ করো। না বুঝে দৌড়ানোর চেয়ে বুঝে হামাগুড়ি দেওয়াও ভালো। ছয়। তোমার শক্তির জায়গাগুলিকে চিনে নাও। চিনে নেবার পর সেগুলিকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগাও। শক্তিকে মহাশক্তিতে পরিণত করো। সাত। চট করে কোনও কিছুতেই প্রভাবিত হয়ে যেয়ো না। মানুষ কিংবা অন্য কিছু তোমাকে যত সহজে প্রভাবিত করে ফেলবে, তুমি তত সহজে সঠিক সিদ্ধান্তটিও বদলে ফেলবে। আট। জীবনে কখনও কাউকেই ঈর্ষা কোরো না। ঈর্ষা করে অক্ষম লোকেরা, সক্ষম মানুষ অনুপ্রাণিত হয়। ঈর্ষা মনের শক্তি কমিয়ে দেয়। নয়। অন্যরা কে কী করছে, সেটাকে সম্মান করো। শুধু নিজেরটা দেখলেই হবে না, অন্যের সুবিধা-অসুবিধা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা এসবও দেখতে হবে। অন্যের মতামতকে সম্মান করো। দশ। পরিবর্তন মেনে নাও। নিজেকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নাও। তোমার পছন্দমতো পৃথিবী ঘুরবে না, পৃথিবীর পছন্দমতো তোমাকে ঘুরতে হবে। পরিবর্তনকে মনে মনে যত দূরে ঠেলবে, ততই দুঃখ পাবে। তোমার মতামত জরুরি নয়, কী ঘটছে কিংবা কী ঘটছে না, সেটাই শুধু জরুরি।