নিজের পেছনে এক-পা



কখনো কখনো সাধারণ মুহূর্তেই লুকিয়ে থাকে গভীর শিক্ষা। যেমন—একটি ছবির জন্য দাঁড়ানো, আর ফটোগ্রাফারের নরম কণ্ঠে উচ্চারিত সেই অদ্ভুত নির্দেশ: অনুগ্রহ করে এক-পা পেছনে গিয়ে দাঁড়ান।

প্রথমে মনে হয়—নিজের পেছনে গিয়ে দাঁড়ানো কি আদৌ সম্ভব? এ যেন এক অদ্ভুত, হাস্যকর বাক্য। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বোঝা যায়—এ কথার মধ্যে লুকানো আছে এক গভীর আধ্যাত্মিক ইঙ্গিত।

নিজের পেছনে এক-পা দেওয়া মানে—শরীর আর অহংকারের আবরণ থেকে সরে গিয়ে সেই অন্তর্লীন সত্তায় স্থির হওয়া, যে কেবল “সাক্ষী”—সব দেখে, সব জানে, কিন্তু জড়িয়ে পড়ে না।

সত্যিকার পরিচয় হলো এই সাক্ষীসত্তা, যা সর্বদা রয়েছে শারীরিক রূপ ও মানসিক ভূমিকাগুলির “পেছনে।”

শিক্ষকরা সবসময় গেরুয়া পোশাক পরে আসেন না। কখনো তাঁরা লুকিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষের ভেতর, একটি সাদাসিধে বাক্যেই ফেলে যান আলোকিত সচেতনতার দরজা খোলার চাবি। নিজের ভেতরের সাক্ষীসত্তায় এক-পা পিছিয়ে দাঁড়ালেই খুঁজে পাওয়া যায় আসল পরিচয়।