অসীম শূন্যতা যায় কি কখনও অনুমানেও আনা? কিংবা অগাধ প্রাপ্তি, সে-ও যায় কি মাপা? এই শূন্যতা কিংবা পূর্ণতার ওপাশে আর এমন কী থাকে, যাকে ছুঁতে গেলে হাত বাড়ালেই হয় না যথেষ্ট?
আমাকে তুমি যা দিয়েছ, তা অসীম শূন্যতা কিংবা অগাধ প্রাপ্তির কম কি কিছু? তুমি নিজেও কি জানো, কতটা দিয়েছ কিংবা কতটা দাওনি? যেটুকু দিয়েছ, তা নিয়ে একটা জীবন পাড়ি দেওয়া যায় চোখের পলকে, কিংবা দাওনি যা যা, সেসব কিছুর হিসেব করতে গেলেও একটা জীবন যথেষ্ট কি? এই প্রাপ্তি আর শূন্যতার হিসেবটুকু একপাশে রেখে দিয়ে এই মুহূর্তে এসো নাহয় একটু বাঁচি?
তোমার ভালোবাসাটুকুই আমার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল, তোমার ভালোবাসার এই ওমটুকু নিয়ে বাকিটা জীবন দিব্যি কাটিয়ে দিতে চাই, তোমার স্পর্শের সুখ, তোমার ভালোবাসার মিষ্টি ঘ্রাণটুকু... এই জীবনের সাথে, এই শরীরের সাথে জড়িয়ে প্রতিরাতে আমি শুতে যাব, আবার ভোরবেলা তোমার এই ঘ্রাণে মাতাল হয়ে ঘুম ভাঙবে ঠিকই!
জীবনটা কী ভীষণ তুচ্ছ, তাই না, বলো? তোমার স্পর্শের যে স্মৃতিটুকু আমার শরীর কিংবা মনের সাথে জড়িয়ে আছে, সেটুকু ঝেড়ে ফেলতে একসমুদ্রসমান আপত্তি আছে আমার! চাদরের মতো করে তোমার ভালোবাসা আমার সারাটা শরীর জুড়ে পড়ে থাকুক।
আচ্ছা, বলতে পারো, সাদা কিংবা স্বচ্ছ সাদা ঠিক কতটা শুভ্রতার সাথে মেশে? সে শুভ্রতা কি আমাদের ভালোবাসার চাইতেও শুভ্র, সত্যি বলো? কিংবা শূন্যতার রঙ নিয়ে জানা আছে তোমার? কেমন হয় ওটা দেখতে? শুভ্রতা কিংবা শূন্যতার যেমন কোনও রঙ নেই, তেমনি আমাদের ভালোবাসার যে গভীরতা, তার কি আছে কোনও রঙ?
তোমাকে একচিলতে কাছে পেতে আকুলতা যতটা, তোমাকে না পাওয়াতেও প্রাপ্তি ঠিক ততটাই। সত্যি করে বলতে গেলে, পার্থিব বিচারে, আমি আসলে পাইনি কিছুই বলার মতন তোমার কাছ থেকে! কিন্তু যা পেয়েছি, যতটা পেয়েছি, সে এমন সম্পদ, যাকে একজীবনেও পেতে অনেক ভাগ্য লাগে! এই যে রোজ রোজই বেহিসেবি ভালোবাসি তোমাকে, তাতে আমার বিন্দুমাত্রও কম পড়ে না নিজের জন্যে। যেন যত দিই, ততই নিজের আরও বাড়তে থাকে! বলতে পারো, স্রষ্টা ঠিক কতটা ভালোবাসা নিজের কাছে ধরে রাখে?
থাকবে তো এভাবেই, সারাজীবনের নরম ওম হয়ে?