দাওয়া পেরিয়ে

আমি ভীষণ রকমের এক পাপী।




ভয়ানক, কুৎসিত, হৃদয়বিদারক কোনো পাপ নয়।
আমি আনন্দ, উল্লাস, মোহে ঘেরা এক পাপ করেছি!
দগ্ধ হয়েছি এর স্তম্ভিত সৌন্দর্যে!




এ পাপ দাওয়া পেরিয়ে আমার শিয়রে এসে বসে,
আমি এক-আধবার তার বৃষ্টিভেজা মাটির মতো স্নিগ্ধ গন্ধে মাতি!




আঁতুড়ঘরের বাইরে নবজাতকের কান্নার মতন
আমার সমস্ত শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে পড়ে এ পাপ।




এ পাপের নাম ভালোবাসা কে দিয়েছিল? পৌরাণিক কোন দেবতা? জাত-হারানো কোনো পথিক নয়তো, যার পুজোর সকল আয়োজন ব্যর্থ হয়েছে দেবীর চরণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে?
এদের মধ্যে কে পাপী? দেবী, না কি দেবীর পায়ে আত্মবিসর্জিত পথিক…দেবতা!




এ পাপে আমার এক সঙ্গী ছিল।
আমুর নদীর তীরে কোনো এক প্রাচীন মন্দিরের ঈশ্বরের মতোই আদিহীন এক সঙ্গী...।
আমার এ পাপে সে-ও কি সমান সুখী ছিল? না তারও বেশি?
বোধ হয় সে নিজেই জানে না…
Content Protection by DMCA.com