: আমার না-থাকা... তোমায় ব্যথিত করবে না, নীড়?
: এমন করে বলছ কেন?
: তোমাকে নিয়ে অনুভূতি লেখার নেশাটা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
: তোমায় অনেক বকেছি... এখন নিজেরই খারাপ লাগছে।
: তোমার শাসনে যে-ব্যথা বাড়ে সময় সময়ে, তা আমার প্রাপ্যই ছিল।
: আমি আসলে... তোমাকে ওভাবে করে বলতে চাইনি।
: তোমাকে পেলে এই জীবনটায় সবই পারতাম। পারতাম না, বলো? এই যে দেখো, এখন পারছি না—তোমায় ভেবে এতটা লিখতে; আর কখনও তা সম্ভব হয়নি আমাকে দিয়ে।
: তোমার হৃদয়ে আমার জন্য যতটা শুদ্ধ অনুভূতি আছে—তা আমার কল্পনাতীত।
: এসব থেকে কী হবে, বলো? তোমাকে তো নিজের করে চাইতেই পারছি না। এই চরম অক্ষমতা আমি চাইনি, নীড়। তুমি বরং চলে যাও... এভাবে করে আমার যন্ত্রণা আরও বাড়বে। আমি এতটাই অযাচিত—এটা কবে শেষ বার মনে হয়েছিল, মনে নেই।
: আমি চলে গেলে... তুমি আমাকে নিয়ে আর লিখবে কী করে, তিথি?
: জানি না... আমি মরে যাব। আমি আর কখনও তোমায় নিয়ে লিখতে পারব না। কিন্তু এভাবে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে যন্ত্রণা বাড়াতে আর চাইছি না।
: তোমার লেখাগুলো পড়তে গিয়ে প্রতি বার গভীরভাবে তোমার অনুভবের খেয়ালে ক্ষয়ে গিয়েছি আমি।
: তোমার বুকে আমায় রাখতে পারবে কি এভাবে?
: পারব।
: আমি কখনও ভুলব না—তুমি আমায় যতটা সময় দিয়েছ। তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তে আমি নিজেকেই খুঁজে পেয়েছি, নীড়। এই সুর থাকবে না আর... এই দিন মিশে যাবে আঁধারে। জানি, আমি তোমার নই।
: আমি তোমায় আজ সাহস করে ফোন দেবো। দেখি না কী হয়... তুমি রিসিভ করবে না! আমার কল কেটে দেবে—আচ্ছা, দিয়ো।
: তোমায় তো কখনও বারণ করিনি। তুমি নিজেই কখনও আমায় ফোন করোনি।
: আমি ওসব পারি না। আমি হয়তো অনেক কিছু সামলাতে পারি—কিন্তু শুধু তোমাকেই বুকের গভীরে রাখতে পেরেছি। তোমায় নতুন করে হারানোর কিছু নেই, ফিরে পাবারও না। ভালোবাসি তো তোমায়—তাই নিজের থেকে আলাদা করতে পারি না।
: তোমার মতো এত অদ্ভুত চিন্তাশক্তির মানুষ খুব কম দেখেছি।
: আমি এমনই। তোমার জন্য আমার ভালোবাসা ভয়ংকর রকমের বেশি—তুমি চিন্তাও করতে পারবে না।
: কিছুটা অনুভব করতে পেরেছি।
: আমি তোমাকে কখনও ধরে রাখতে চাইব না, তবুও চাই... তোমার পুরোটা জুড়ে শুধু আমিই থাকি। কখনো-না-কখনো তোমার মনে আমাকে ভীষণভাবে মনে পড়বে—এটাই আমার ভালোবাসা।
: তোমার অন্তর্দৃষ্টি ভীষণ প্রখর, তিথি। তোমার সঙ্গে নিঃশব্দে কথা বলে আমি অনেক কিছু আয়ত্ত করেছি।