সদ্য বৃষ্টি-ঝরানো আকাশরঙা তোমার ওই ছোট্ট বাড়ি থেকে পাথর-ছোড়া দূরত্বে ছিলাম মাত্র। পুরো একটা বিকেল! ভাবা যায়! অমন মনকেমন-করা রঙের বাড়িটা এখন বড়ো আপন আপন লাগে; অথচ দেখো, সরষে-মাঠ দেখলে আগে মনটা কেমন হাওয়ার তালে কিশোরী-নাচ নাচত! কিশোরী ছিলাম বলেই কি তবে তোমার জন্য অমন অযথাই অপেক্ষা করতাম!? অপেক্ষারা বুঝি এমনই হয়? কী জানি… অপেক্ষায় তখন হারানোর ভয় ছিল না, হয়তো তাই নির্দ্বিধায় অপেক্ষা করতাম… এখন ভয় হয়…হারানোর; তাই অপেক্ষাটা আর করি না, তবুও অকারণেই... ঘাসেদের রং চেনার বাহানা করে সূর্যডোবা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি আজ… যদি তুমি নেতিয়ে-পড়া সূর্যকে ভালোবেসে অন্তত বিদেয়টুক জানাতে আসো… ঠিক যেমন করে আমাকে জানিয়েছিলে… মনে আছে তো, হুঁ? তুমি বিদায় দিলে, আমি ফিরে এলাম, তবু এখনও তোমাতেই রয়ে গেলাম… একদম পুরোটাই। তুমি হারালে ঠিকই, কিন্তু তোমাকে হারালাম আর কই, বলো! চলে গিয়েও… আজও পুরোটাই রয়ে গেলে। পরিপূর্ণ ভালোবাসা বুঝি এ-ই… নেই, তবু আছ গো পুরোটাই!