কত জোড়া-চড়ুইয়ের ঘর ভেঙে আবার নতুন করে ঘর জুড়েছে, কত শতবার সূর্যের দীপ জ্বলে আবার নিভেও গেছে, কত অগুনতিবার ফুটেছে মল্লিকা, আবার ঝরেও গেছে, কত কী এল, কত কী গেল, শুধু তুমি এলে না কখনও ফিরে। কত যে ফাগুন, রূপের আগুন, ফুলের পাপড়ি ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেল, কত কত রাত, জোছনা-মিছিল…জীবন থেকে ক্ষয়েও গেল, কত গোটা গোটা চাঁদ উঠল, শেষে গলেও গেল, কত কী-ই তো পালটে গেল নানান ছলে, শুধু তুমি এলে না ভুল করেও। কত প্রেম ভাঙে, আবার নতুন গড়ে, কত পাখি যে ঘুরে ফিরে ঘরেই ফেরে, কত পুরাতন মুখ পৃথিবী ছাড়ে, কত নতুন মুখের আদল নেয় দখল ঠিকই, কত কী এল, কত কী গেল, শুধু তুমি এলে না আগের মতো। কত নদী বয়ে মিলে মোহনায়, সাগরের মাঝে পথ হারাল কত যে নাবিক, কত নদীর বুকে চর জাগল, কত চরেই তো ঘর উঠল গড়ে, কত রঙে শত রং মুছল, শুধু তুমি এলে না অলস ক্ষণেও। এই পৃথিবীর বয়েস দুম-দুমা-দুম বেড়েই গেল, কত প্রেমিক-প্রেমিকা প্রাক্তন হলো, কত প্রাক্তনই তো নগদ হলো, বর্তমানটা ঘুরল অতীতে চোখের পলকে, শুধু তুমি এলে না ঠেলে অভিমান। প্রিয়, শুধু আসোনি তুমিই, হাতটা ধরে বলোনি, ‘চলো, ঘাসের গালিচায় হেঁটে আসি’খন!’ ভাঙাওনি রাগ, আদর করে ডাকোনি কখনও, ‘এবার নাহয় ঘরে ফিরে চলো!’ আহা, কত অনাহূত ঠিক এসে যায়, শুধু তুমিই আসো না!