তবু ছবি আঁকি



কিছু অনুভূতি রয়ে যায় নীরব,
শুধু হৃদয়ের গভীরে জেগে থাকে স্পষ্ট।
তার চোখদুটি বন্ধ—
যেন রহস্যের ইন্দ্রজালে বোনা
অজানা কোনো উপাখ্যান।

চিড়-ধরা প্রণয়,
অবিশ্বাসে নিমগ্ন!
শূন্যতায় বিলীন প্রহর,
ঈষৎ উষ্ণ এক চুম্বন,
যতটা না স্পর্শ—
তার চেয়েও বেশি সময়ের দীর্ঘতা।
আঁধারের ভেতর ছিল তোমারই ঠাঁই,
তবু বিষাদে ছুঁই না তোমায়—
অশ্রুবিন্দুতে জ্বালি না-বলা আকুলতা।

মনের ক্যানভাসে আঁকি তোমারই ছবি,
দেখি না বহুদিন—
তবু তুমি কেন একদিন দিলে
আমায় রক্তজবা ফুল?

সেদিন তুমি কেঁদেছিলে,
ঝুমবৃষ্টির ধারা ছুঁয়েছিল পথ।
বুকের গভীরে কান পেতে শুনছিলে কি—
নিস্তব্ধ দীর্ঘশ্বাসে
লুকোনো সেই চুম্বন,
যা লোমকূপে মিশে যেত ধীরে ধীরে?

পরিচয় থেকে পরিণয়—
এক দীর্ঘ বিস্তার,
কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িতে লিখেছি তোমার নাম
বার বার, নিঃশব্দে।
নিষ্ঠুর নিয়তির পরিহাস—
বহন করি আজও,
অসহ্য যন্ত্রণার ভার।

অসম প্রেমে
শ্রেষ্ঠত্বের খোঁজ—
পাপ কি সে?
যা-কিছু শুদ্ধ,
তা-ই তো প্রেমের প্রকৃত রূপ।
এই সত্য বুঝতে গিয়েই,
হঠাৎ বেজে উঠল কঙ্কণের ঘনঘোর—
মৃত্যুর এক নিঃশব্দ সুর।
Content Protection by DMCA.com