তোমার কাছে, আমার ভালোবাসাটা পুরনো হতে হলে, ওকে আর কতটা বুড়ো হতে হবে? তোমাকে কতটা দীর্ঘসময় আরও ভালোবাসলে পরে তুমি বুঝবে, এ সত্যি ভালোবাসাই, কোনও ছেলেমানুষি নয়? কী দিয়ে বোঝালে বুঝবে তুমি, আমি কতটা তোমারই হয়ে থাকতে চাই? তোমার চোখে, এই যে আমার নতুন প্রেম, এই প্রেমটা কতদিনের শেষে এসে পুরনো হবে? যদি বাকিটা পথ এভাবেই এই গাছের আড়ালে ঠায় দাঁড়িয়েই কাটিয়ে যাই, তবুও কি শেষবেলায় এসে তুমি বলবে ঠিকই, ধুউর, বোকা মেয়ে একটা! তোমার হাতটি এই দু-হাতের মাঝে শক্ত করে জড়িয়ে যদি বলি, ছাড়বই না, তবুও কি যাবে ছেড়ে? প্রতিটি রাত যদি তোমার নামে, তোমার ধ্যানেই কাটিয়ে দিই রোজই, তবুও কি কম পড়ে যাবে কোথাও ভালোবাসা? তুমি আর কবে আসবে? আর কতটা কষ্ট পেলে আমি, তুমি এসে এ দু-চোখ মুছে দেবে তোমার হাতের নরম স্পর্শে? আমি যে পুড়ে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছি,... আমি যে ছিঁড়ে খুঁড়ে মরে যাচ্ছি ভেতরে ভেতরে, তুমি কি বুঝবে না তবুও? তবুও কি আসবে না? নেবে না টেনে ওই বুকে কোলে এই শ্রান্ত শিয়র? আমি যে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছি, আমি যে ব্যথার তীব্রতায় বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছি, আমি যে বরফশীতল হয়ে জমে যাচ্ছি ক্রমশই, এর পরেও তুমি বুঝবেই না? ভালোবাসা নাকি কঠিন ইস্পাতকেও গলিয়ে ফেলে খুব সহজেই, তবে আমি কোন সে ভালোটা বেসেছি, যা তোমার মন গলাতে পারেনি এতদিনেও?