তবুও তুই



: কতদিন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম তোকে ছাড়া—ওসব দিন পার হয়ে গেল নিমিষেই, এখন আর পারছি না!

আমায় যেতে বলিস না; এই মুহূর্তটা আমাদের হতে পারত! কখনও চাইনি আমাদের এই দূরত্ব, বরং চেয়েছিলাম, কিছুটা অতৃপ্তিতে হলেও বয়ে চলুক আমাদের গল্পটা।

: এ ব্যবধান স্বল্পক্ষণের; তুই ভাবছিস কেন? আমি আছি, এ অবাস্তব ভাবনা পুষে রাখতে চাইছিস তবু্ও? তুই আমার অস্তিত্ব বিশ্বাস করতে কেন পারিস না?

: তোর অস্তিত্বের সংকটে ভুগেছিল আমার প্রতিশ্রুতির অপূর্ণতা, যে-আক্ষেপে কোনো জায়গা নেই আমার অনুভূতির একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার।

: আমি যে অনুভূতির পরোয়া করি না, তা বুঝি তোর জানা নেই?

: তুই যে অনুভূতিশূন্য নোস, তা আমি জানি; কেউ কি তা পারে হতে, বল? তোকে খোঁজার কারণ জিজ্ঞেস করিস না, ওতে কোনো স্বার্থের আশ্রয় নেই।

: তোকে স্পর্শ করে দেখেছি, সে বিশুদ্ধতায় নিজেকে বাঁধতে পারিনি কখনও; তবু তোর অনুভব আমাকে ভীষণভাবে ভাবায়, আজ‌ও আমার অনুভবে তুই বর্তমান।

আমাদের বিচ্ছেদ কি তবে হয়েছিল না কখনও?