তুমি আমার মন শান্ত-করে-দেওয়া বাংলা কবিতায় ডুব, কখনওবা, আনন্দপাঠ---হাজার বছর ধরে কিংবা আবেগের এক রক্তাক্ত প্রান্তর। তুমি হচ্ছ আমার সমস্ত রচনার অধ্যবসায়, আর তোমাতে আমাতে মিলে ব্যাকরণের সমাস-সন্ধি। তুমিই আমার ইংরেজির রিঅ্যারেঞ্জটা। আমাকেও ওরকম রিঅ্যারেঞ্জ করো তো দেখি, তোমার মনের সহজ কাদামাটি দিয়ে! প্রিপজিশনের মতন আমায় তোমার সাথে জোড়া লাগিয়ে দাও না এবেলা! তুমি আছ আমার সারাদিনের সবকটা ভার্ব জুড়ে। তুমিই চোখের সামনে-থাকা প্রতিটি অ্যাডজেকটিভের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, এমনকি পরিমাণটাও। আবার তুমিই আমার এক্সক্লেমেটরি! পাটিগণিতের পৌনঃপুনিকের মতন যত্ন করে তোমার কপালে আমি একটা কালো ফোঁটা দিয়ে রাখি। তুমি আমার বীজগণিতের শুদ্ধিকরণ---রোজ রোজই তো আমি শুদ্ধ হচ্ছি এক তোমারই গুণে! তুমি আমাদের ইতিহাসের ছয় দফা দাবি, অবশ্য তুমিই তো আমার নয় ছয়…সব সবই! ভূগোলের ট্রেসিং-পেপারটাও, সেও তো তুমিই! তুমিই ও গো জীববিজ্ঞানের মাইটোকন্ড্রিয়া কিংবা সবুজ পাতার ক্লোরোফিল। তুমি আমার রসায়নের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন কণিকা কিংবা আমি আর তুমি মিলে হচ্ছি সোডিয়াম সালফেটের ঘন দ্রবণ। তুমি পদার্থবিজ্ঞানে এসে আমার নিজস্ব লজিক-গেইট কিংবা প্লবতার একেকটি সূত্র। গার্হস্থ্য-অর্থনীতির সুঁই-সুতোর বাক্স, শারীরিক শিক্ষার ফার্স্টএইড-বক্স...সেসবও তো তুমিই! আমার সারাটা শরীর জুড়ে তুমিই জখম, আবার তুমিই মলম! পুরো একরিমের বিশাল সাদাখাতাটি জুড়ে থাকবার তুমি আমার একটাই দোয়াত-কলম!