তোমায় দেখতে চাইনি বহুদিন তো হলো,
এবার অভিমান কমাও…একটু? আকস্মিক দুঃসংবাদ যে ভালো নয়!
তুমি ফেরোনি, আমিও ডাকিনি।
একটা বিষাদি সুর বয়ে গেল মাঝপথে, শুধু কেউ কারও চেনা হলাম না!
বৃষ্টির ভারী ফোঁটাগুলো চোখে-মুখে পড়লে মনে হতো, তোমার হৃদয়ের সুর বুঝি বেজে উঠল!
বৃষ্টি হলেই তুমি বলতে, এ হৃদয় তোমায় খুব চাইছে!
বৃষ্টি হলে বুঝি প্রেম জাগে?
না, বিরহ জাগে; তোমার হৃদয়ে সুর হয়ে না বাজার বিরহ জাগে।
আকাশে চাঁদ উঠলে তুমি চিঠি লিখতে,
তোমার লেখায় আমার জন্য ঝুড়ি ঝুড়ি আদর মেখে রাখতে,
জানলার ভারী পর্দাগুলো সরিয়ে, মুঠোয় মুঠোয় জ্যোৎস্না কিনে আনতে।
বলতে, জ্যোৎস্নার টিপ তোমার কপালে, জ্যোৎস্নার আলো তোমার ওষ্ঠে,
জ্যোৎস্নার ছোঁয়া রাতের বাতাসে-ওড়া তোমার এলোমেলো চুলে।
শুধু জ্যোৎস্নার রুপোলি বিরহ রেখে দিতে জরিকাটা তোমার হাতব্যাগে!
চাঁদ উঠলে প্রেম জাগে?
না, তোমায় ছুঁতে না পারার বিরহ জাগে।
নিস্তেজ দুপুরে তুমি কিটস পড়তে; পাশে বসিয়ে বলতে, কিটস কী বলেছেন, জানো?
বলেছেন, কবিতারা কখনও মরে না।
বলেই কেমন চুপ হয়ে যেতে, আমি দু-চোখ ভরে তোমায় দেখতাম,
কবিতার চেয়ে তোমায় দেখাটাই বরং আমার কাছে সুখের ছিল!
তুমি আবার বলতে, আজ কিটস নেই, একদিন আমিও থাকব না, তুমিও থাকবে না;
কিন্তু পৃথিবীর গান কখনও থেমে যাবে না।
আমি ভাবতাম, শুধু তোমাকে দেখার তৃষ্ণাই আমার কখনও মিটবে না!
তোমাকে দেখিনি বহুদিন তো হলো,
এবার কিছুটা আমায় পড়ে দেখো, হঠাৎ শেষপাতায় দাঁড়ি—ও যে সুখের হয় না!
একদিন আমাদের দেখা হবে, জানি।
বিকেলের শেষে পথের ধারে, কৃষ্ণচূড়ার ডালগুলো মলিন;
সেদিন তুমি নিশ্চুপ নীল পাথর, আর আমি…এক নীল মানুষের খোলস!