চিরকুটে বিষাদ

১.
: তোমাকে বিদায় দেওয়া কঠিন নয়, কঠিন হচ্ছে, চোখের দিকে তাকিয়ে 'যাই' বলা।
: 'আসি' বলো। তুমি তো আবার আসবে।
: বোকা ছেলে, 'আসি' বললে যে একেবারে চলে আসব, সেটুকু তুমি কখনও বুঝতেই পারলে না!

২. আমার কিছু কান্না একটা চিরকুটে লিখে পাঠাচ্ছি, তুমি চোখ মুছে দিয়ো।

৩. আমাকে রেখে পালিয়ে গেলে!
আমিও পালিয়ে এসেছি তোমার মন নিয়ে।
কে জিতল, বলো?

৪.
: কী লিখবেন?
: বরং জিজ্ঞেস করো, আপনাকে দিয়ে আজ কে লিখিয়ে নেবেন?

৫.
: আপনার প্রেমিকা নেই?
: লেখকের তো অনেক প্রেমিকা থাকে, কিন্তু লেখককে কেউ ভালোবেসে আগলে রাখে না কখনও।

৬.
: আপনি ভালোবাসেন এখন কাউকে?
: না, কিন্তু ওই মেয়েটার বুকভর্তি ভালোবাসা অপরাধী করে রাখে আমায়।

৭.
: আপনার অনেক লেখা আমার ভালো লাগে।
: হা হা . . . তুমি লেখা বোঝো না, তাই ভালো লাগে। আমি তো জানি, এগুলো হয় না কিছুই।

৮.
: আপনার চেহারায় কী যেন একটা আছে।
: উঁহু, চেহারা নয়, আমার কলিজা আছে, সাহস আছে।

৯.
: আমি আপনার মতন লিখতে চাই।
: তার চেয়ে বরং আত্মহত্যা করো, আমি সাহায্য করব।

১০.
: আপনি নিজেকে চেনেন?
: নিজেকে খুঁজে পেতেই তো লিখি।
: পেয়েছেন নিশ্চয়ই এতদিনে!
: আরও বেশি করে হারিয়ে ফেলেছি। এখন নিজেকেও চিনি না, অন্যকেও চিনি না।

১১. কখনও ভালো না বাসলে বুঝতেই পারবে না, কেন মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হয়।

১২. আমার তো মাঝেমধ্যে মনে হয়, কাউকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসার চেয়ে কারুর জন্য জীবন দিয়ে দেওয়া সহজ।

১৩. আমার তোমায় দেখার লোভ, আর তোমার হাতভর্তি টাকা! কী লজ্জা! কী লজ্জা!

১৪. কেউ কেউ নিজেকে খুন করতে পারে না বলে অন্যের হাতে খুন হয়। তবে, অন্যের হাতে খুন হওয়াটা মোটেও সম্মানজনক নয়।

১৫. তুমি আমার ভালোবাসা দেখেছ, অবজ্ঞা দেখোনি। দেখতে চেয়ো না, নিজেকে চিনতে পারবে না।

১৬. মানুষ কতটা অসহায় হলে ভালোবাসা পান করে ছটফট করে, তুমি কি ভেবে দেখেছ?

১৭. নিজেকে কষ্ট দেওয়াটা যখন সীমানা ছাড়িয়ে যায়, তখনই ভালোবাসা আত্মায় ভর করে; অথচ তোমরা একটুখানি দুঃখ পেলেই অন্যের হাত ধরে ফেলো!

১৮. কখনও অপেক্ষা করার অভ্যাস করবে না। করলে সারাজীবন অপেক্ষাই করে যেতে হবে।

১৯. এই বুঝি তুমি প্রেমিকের বুকে মাথা রাখলে . . . এটা ভাবতেও আমার বুক কাঁপে।

২০. হাতটা ছেড়ে দিতে হবে জেনেও ধরেছিলে। আরে . . . তোমাকে ঈশ্বরই-বা কী শাস্তি দেবেন!
Content Protection by DMCA.com