১. লোকে বিন্দু বিন্দু জলও নাকি চোখে দেখতে পায়, অথচ বুকে বাসা-বেঁধে-থাকা হাজার হাজার দুঃখের খবর জানে না।
২. তুমি সমুদ্রে গেলে আমার জন্যে জল নিয়ে এসো। আমি দেখব, সমুদ্রের জলে বেশি দুঃখ, না কি আমার চোখের জলে।
৩. আমি অবশ্যই আসব। মৃত্যুর পরে হলেও এই আমিই...শুধু আমিই আসব।
৪. তা-ও ভালো, মোবাইল ফোনটা ছিল, নইলে নিঃসঙ্গতায় কবেই তো মরে যেতাম!
৫. তুমি যদি এবার জিতে যাও, তাহলে আমি জিতব। এবার যদি তুমি হেরে যাও, তাহলেও আমিই জিতব!
৬. ক্ষুধার কষ্ট করেনি যে, তার গল্প থেকে জীবনের মধু পাবে, বিষ নয়।
৭. আমরা আজকাল এত ব্যস্ত থাকি যে, একজন অন্যজনের চোখের ভেতরে থাকা, বড়ো বড়ো করে লেখা অভিমান দেখতে পাই না।
৮. আমার মনে হয়, কাঁদতে কাঁদতে একদিন ঠিকই তোমায় পেয়ে যাব। কী, পাবো না, বলো?
৯. তোমার ক্লান্তির ভাগ আমাকে দাও, আমার আত্মার ভার তুমি নাও।
১০. আমার মৃত্যুর পর তুমি যদি আসার সময় পাও, তবে কামিনী ফুল নিয়ে এসো। বেঁচে থাকতে তো এ ভয়েই চাইতে পারলাম না—যদি নাটুকে বলো! আমি জানি, আমার মৃত্যুর পরে তোমার হাতে অবশ্যই সময় হবে, অবশ্যই হবে।
১১. কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে, অথচ এই আমারই গোপন কথাগুলো জানলে লোকে সময় নষ্ট করে ঘেন্না পর্যন্ত করত না!
১২.
: ইদ মুবারক।
: ইদ মুবারক।
: আরেহ্, আমি ভাবতেই পারিনি, আপনি আমাকে উত্তর করবেন। অনেক শুকরিয়া।
: অপরিচিতকেও ইদের শুভেচ্ছা জানানো যায়, আর তুমি তো শত্রু কেবল!
১৩.
: আমি প্রতিদিন সকালে প্রার্থনা করে ঘুমোই যাতে পরদিন সারাদিন ভালো কাটে। আর আপনি?
: আমি প্রতিদিন রাতে প্রার্থনা করি যেন আগামীকাল সকালটা আমার জীবনে না আসে।
১৪.
: বিছানা থাকতে সবসময় মেঝেতে কেন ঘুমান আপনি?
: বিছানায় শুলে যদি একটু বেশি ঘুমোই, সেই ভয়ে মেঝেতেই থাকি।
১৫.
: আচ্ছা, আপনার জীবন কি সত্যিই এত যন্ত্রণার? না কি আপনিই নিজেকে কষ্টে রাখেন?
: শুরুতে জীবনই যন্ত্রণার ছিল। যন্ত্রণা পাবার নেশা অন্য সব কিছুকে হার মানায়। তাই এখন অভ্যাসবশতই যন্ত্রণা গিলে নেশা করি।