হঠাৎই... চোখের পাতা ঝাপসা হয়ে এল।
বিদঘুটে অন্ধকার... ধীরে ধীরে নামছে চারপাশে।
অনুভব করলাম—
আমি তলিয়ে যাচ্ছি...
গভীর কোনো অজানা গন্তব্যে!
শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে...
চারপাশে... কেউ নেই!
শুধু এক দমকা হাওয়া—
সে যেন ছড়িয়ে দিচ্ছে এক বিক্ষিপ্ত, অচেনা ভয়!
...এই শিহরনে,
শরীর, মন—দুটোই থেমে গেল!
তোমার মুখটা...
আবছাভাবে ভেসে উঠল চোখের সামনে!
শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি...
অনিশ্চিত... ছেঁড়াখোঁড়া...
[হালকা বাদ্যযন্ত্রের ছোঁয়া—জলের শব্দ]
দীর্ঘ সময়ের অবসান।
চোখে-মুখে জলবিন্দুর ছিটে এসে পড়ল...
একটা প্রশান্তির সঞ্চার হল!
অবচেতনভাবে...
তোমার শরীরের চেনা ঘ্রাণ খুঁজতে লাগলাম—
কিন্তু কিছুতেই পেলাম না!
তুমি কি তবে...
আসোনি?
আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে!
তুমি... আর দূরে থেকো না!
তুমি কি বুঝতে পারছ না—
তোমার স্পর্শহীন উপেক্ষা...
আমার এই যন্ত্রণার কারণ?
[আলতো বাদ্যযন্ত্রের মৃদু ওঠানামা]
এসেছ?
এই শান্তির পরশে...
আমার শরীরটা জুড়িয়ে এল।
এবার... পাচ্ছি
তোমার শরীরের চেনা ঘ্রাণ!
ঘুম আসছে... ভীষণ!
জানো, তুমি যখন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও—
মনে হয়...
আমি যেন স্বর্গে আছি!