এই যে মশাই! খুব তো চালাক! এখন এসব ছলচাতুরি
আমি চটজলদিই ধরতে পারি!
যখন দেখ, খুব রেগেছি, অভিমানের ভাঙছে পাড়
তখন এসে খুব জড়িয়ে বলবে ধরে মিষ্টি করে…
বাবুই সোনা, ভালোবাসি তো! সরি সরি!
তখন ভাবি, ঢের হয়েছে, রাগটা এবার জল করে দিই!
সত্যি বলছি, তোমার মতন বুদ্ধি অত কেউ রাখে না!
এমন করে বললে সরি, মান-অভিমান কোথায় ধরি!
এক দিন তোমার মুখোমুখি বসব কাছে,
ঠোঁটের খুব কাছে যাব, জানতে চাব, কখনও কি সত্যি করে এসেছিলে আমার মাঝে?
কখনও কি ছুঁয়েছিলে সত্যি করে? নাকি ওসব শুধুই শরীরছোঁয়ার বাহানা ছিল?
তোমার যে ঘ্রাণ আমাকে মাতাল করে, কাছে আসতে ইশারা করে সারাদিনই,
সে কি সত্যি তুমি ছিলে? নাকি তোমার ভেতর অন্য মানুষ?
এই যে এত প্রতিদিনই বকতে থাকি…ভালোবাসা আর ভালোবাসা,
তোমার বুঝি ক্লান্ত লাগে? বিরক্ত হও?
এত ভালোবাসার কবিতা লিখ, কখনও কি মনে এসে যায়…এবার থামি?
কখনও এমন হয় কি মনে…ঢের হয়েছে ভালোবাসা…ভালোবাসা---সে তো হয়েছে বাসি?
নাহয় অন্য কিছুই হোক না এবার!
মনে কখনও অমন এলে দ্বিধা রেখো না, বলেই ফেলো!
আজকে বড্ডো বিপদে আছি…বাসায় কারেন্ট নেই সেই সকাল থেকে…ওয়াইফাইও বন্ধ আছে,
মোবাইলটাও অফ হয়ে আছে…বাইরে খুব ঝড় হচ্ছে, বৃষ্টি সাথে!
তোমার সাথে কথা বলব, তোমাকে যে টেক্সট পাঠাব…উপায়ই নেই!
আজকে আমার খুব ঝামেলা…আজকে আমি খুব অসহায়!
যাও…এবার ভালোবাসা নয়, ঝক্কি দিলাম…পোহাও তো দেখি!
ওদের সবার খুব ভাগ্য, জানো…যারা সবটা সময় পায় তোমাকে চোখের কাছে!
তোমার বাড়ির মানুষ, কাজের লোকটা…ওদের কথা ছেড়েই দিলাম,
তোমার গাড়ি চালায় যে লোকটা…সেও তো তোমায় প্রতিদিনই দেখে দুইবার!
অথচ দেখো, দুনিয়াতে একটা মানুষ আমিই আছি…যে তোমাকে দেখবে বলে কাঁদতে থাকে,
সপ্তা শেষে মাসও ফুরোয়…এসে যায় আর একটা মাস…তবু তুমি আস না…
তখন আমার কেমন লাগে…এক বালিশ জানে, আর জানে ঈশ্বর!
তুমি যে আমায় পাগলি বল, বলো তো দেখি,
পাগলিটা যদি না-ই হতাম, তোমাকে তখন কীভাবে পেতাম?
সত্যি আমি অল্প পেয়েই অনেক খুশি…
তোমাকে আমি পেয়েছি যেটুক নিজের করে, আমার কাছে ওটুকই সব!
কখনও এক পুরোটা বিকেল লিখে দেবে আমার নামে?
আর কতটা অপেক্ষাতে অপেক্ষাটা পূর্ণ হবে?
কতকত দিন চলে গেল…দেখি না তোমায়…
তোমার কি এমনই শপথ…আমায় দেখা আর দেবে না,
ভুল করেও আর ছোঁবে না,
কণ্ঠটাও শুনতে দেবে না…আর কখনওই?
এই যে এমন করে অনেক দূরে সরিয়ে রাখ, সুখ কী তাতে?
নাহয় যা খুশি হয় করেই ফেলো আমার সাথে…
দুটো কড়া কথাই দাও না শুনিয়ে…ইচ্ছে হলে নাহয় আঘাতই করো,
তা-ও তো একটু কথা বলো, দেখা করো!
আমারও যে জানতে খুব ইচ্ছে হয়…
তুমি কেমন আছ, কোথায় আছ, ওরা তোমার যত্নআত্তি করছে কি না, শরীর ভাল আছে কি না…
এসব জানার ইচ্ছে তো হয়ই…হয় না, বলো?
আরও কত কিছুই জানার আছে…সে ইচ্ছে তো বাদই দিলাম!
আমাকে তুমি বুঝেই তো নাও চিঠির ছলে…আমারও বুঝতে ইচ্ছে হলে আমি তখন কোথায় যাই?
এ যে বোবা ভালোবাসা…ব্যথা পেলে, খুব কাঁদলেও…বোঝার কোনও মানুষই নেই!
আচ্ছা, তুমি কি আমায় বাচাল ভাব?
ভাবলে ভাবো! আমি তোমায় বলব না তো কাকে বলব?
সবার তো সবই আছে, আমার যে শুধু তুমিই আছ!
এক সময় কেমন ভাবতাম, জানো?
ওরা যখন বকত ভীষণ, ভুল বুঝত, কষ্ট দিত…
ওদের দেখে ইচ্ছে হত, গলা ছেড়ে বলেই ফেলি…
তোমরা আমায় এমন করে বকছ যে খুব…
যে দিন কেউ আমায় ভালোবাসবে, সে দিন তোমরাও গুনেগুনে একশো একটা বকা খাবে!
সত্যি কী যে বোকাই ছিলাম!
আজ…ভালোবাসার মানুষ পেলাম,
ভালোবাসাও একটু পেলাম,
শুধু মানুষটাকে কাছে পেলাম না!
ইচ্ছে হলেই দেখার মতো ভাগ্য হল না,
মানুষটা থাকল দূরেই…দেখা হয় না, কথা হয় না,
তবুও ভাবি, পেয়েছি যেটুক, সেটুকুই-বা কম কীসে?
সে আমায় পড়ে প্রতিদিন…মনের চোখে আমায় দেখে…আমায় বোঝে…
কখনওবা স্বপ্নে দেখি, তুমি আমার বাড়ির কাছে এসে ফোন করেছ…
এই, চট্ করে নিচে আসো তো! তোমায় দেখতে এসেই গেলাম!
…আহা, এমনটা কেবল স্বপ্নেই হয়!
ভালোবাসা নাকি পূর্ণ করে…তোমাকে না পেলে পূর্ণতাটা কীসের আমার?
লোকে নাকি প্রেমে পড়লে সুন্দর হয়!
তুমি যদি স্পর্শ না কর, তবে অমন রূপ যে কেবল পাপই বাড়াবে!