একধরনের দূরত্ব



আজ তোমাকে ভীষণ মনে পড়ছে।
আকাশটা দেখেছ?
আজ খুউব বৃষ্টি নামবে, তাই না?

তোমাকে ছুঁয়ে থাকতে দেবে কিছুক্ষণ?

বুকের ভেতরটা হঠাৎই একদিন
ভীষণ যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকল!
সেদিনই প্রথম জেনেছিলাম—
তুমি আমায় কক্ষনো ভালোবাসোনি।

আচ্ছা, নিয়ম মেনে কি ভালোবাসা যায়...
তুমিই বলো?

আর অস্থিরতা?
তা-ও কি জোর করে আড়াল রাখা যায়?
কিংবা, তোমার জন্য রাখা অনুভূতিগুলো...
সেগুলোকে ফিরিয়ে দিই কী করে?

তুমি চাইলেই যে আমি...
সবটা সহ্য করে নিতে পারি!
এখন পারছি না? বলো?

দেখেছ—আমি এখন তোমাকে...
একটুও শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে বলি না;
আমার চোখে জল এলেও—
তোমার সামনে আসি না;
মনটা বড়ো অশান্ত থাকলেও—
তোমাকে জানিয়ে বিরক্ত করি না।

জানাব কী করে?
তোমায় যে আর...
আমার অনুভূতির খোঁজ দিই না।

আমি পেরেছি তো—
ঠিকঠাক দূরত্বে থাকতে তোমার থেকে?
এখন আর তোমার মনে হচ্ছে না তো—
আমি তোমায় বেঁধে রেখেছি?

আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে,
কেমন আছি আমি?

তোমাকে ঘিরে যে আমার মনে এত ব্যাকুলতা...
সে কথা তুমি জানলে কী করে?
আমার চিঠি পড়ে?
ওতেই কি তবে রাখা ছিল—
একসমুদ্র অধিকারবোধে মোড়ানো...
গাদাগাদা অক্ষরে লেখা শব্দগুচ্ছের ভিড়?

এই লেখাই—
একটা সময় আমাদের কাছে এনেছিল;
এখন কি তবে দূরত্বও দিল?

জানা নেই—
আমার জানতে চাইবার সাহসটুকুও নেই।