শিরোনাম: একতরফা চিঠি
শৈলী: আবেগঘন নাট্যধর্মী আবৃত্তি
বর্ণনা: পুরুষকণ্ঠে একতরফা মনের কথা, মাঝে মাঝে স্মৃতিমেদুর অংশে নারীকণ্ঠের হালকা অনুরণন।
[Intro: আবহসংগীত – হালকা বৃষ্টির শব্দ + দূরে হাওয়া বইছে + পিয়ানো ব্যাকগ্রাউন্ড]
পুরুষকণ্ঠ (নিম্ন ভরাট গলা):
যখন খুব একা লাগে, তখন তোর কথাগুলোই... বার বার বুকের ভেতর রক্তাক্ত করে তোলে।
[একটু থেমে দীর্ঘশ্বাস]
আচ্ছা, তোকে কি আমি এ জীবনে ভুলতে পারব না?
[হালকা স্ট্রিং মিউজিক ঢুকে পড়ে]
পুরুষকণ্ঠ:
তোকে ভীষণভাবে ভাবছি... শুধু ভাবছি আর ভাবছি।
তুই নিশ্চয়ই খুব ভালো আছিস, তাই না?
[একটু আবেগময় টান]
তোকে মনে করি না—তুই-ই বরং এসে পড়িস!
নারীকণ্ঠ (ফেইড-ইন, স্মৃতির মতো):
“ভালো থেকো... আমি আছি, নিজের মতো করে।”
[আবহসংগীতে সামান্য কুয়াশাচ্ছন্ন প্যাড যুক্ত হয়]
পুরুষকণ্ঠ:
জানি, তুই আমাকে আর ভাবিস না।
আর ভাববিই-বা কেন? ভাবার মতো তো অনেক কিছুই আছে তোর...
তোকে পাইনি বলে কী হয়েছে?
আরেহ্ বোকা... আমি তো তোকে ভালোবাসি!
[পিয়ানো নোটস একটু জোরালো হয়]
তুই আমাকে দূরে সরিয়ে দিলেই কি ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে?
[আবেগের চূড়া – কণ্ঠে ব্যথা]
না রে, যাবে না!
হয়তো তোকে আর কখনও ছুঁয়ে দেখতে পারব না,
তবু এই ভালোবাসার তীব্র অনুভূতি নিয়েই
আমাকে একা বেঁচে থাকতে হবে...
[দূর থেকে নারীকণ্ঠ স্মৃতির মতো ফিসফিস করে আসে]:
“ভালোবাসা তো বিসর্জনও জানে…”
[আবহসংগীত হালকা গিটার এবং বাতাসের শব্দে বদলে যায়]
পুরুষকণ্ঠ:
আমি তোর কাছে কৃতজ্ঞ—তুই ছাড়া আমার আর কেউ নেই।
তুই শুধু ভালো থাকিস... কেমন?
তোর আমাকে শেষবার জড়িয়ে ধরার সেই মুহূর্তটা...
আমি কোনোদিন ভুলতে পারবো না।
[সাউন্ডইফেক্ট– হৃদয়ের ধুকপুক শব্দ, ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়]
যদি মৃত্যুও এসে পড়ে, তখনও আমি সেই মুহূর্তটাই ভাবতে চাই...
[একটু থেমে, নিচু কণ্ঠে]
আমাকে মাফ করে দিস।
পৃথিবীর সব সুখ যেন শুধু তোরই হয়...
তোর মঙ্গল হোক।
[শেষ অংশ: আবহসংগীত ধীরে ধীরে থেমে যায়, একটানা বাতাস বয়ে যায়]
[স্ক্রিন ব্ল্যাকআউটের আগে শেষ লাইন দেখায়]:
“ভালোবাসা শেষ হয় না, শুধু মানুষ বদলে যায়…”