একটা মিনিট চেয়ে



গতরাতে আমি যা বলেছি, সব ভেবেই বলেছি, ঠিক বলেছি। আমি প্রতিদিন রাতে তিন রকমের ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাই, তা-ও ঘুম হয় অল্প। কিছু-একটা হয়েছে আমার। আমি এখন আপনার কাছ থেকে গুরুত্ব চাইছি, তা কিন্তু নয়। গুরুত্বের কাজ নয় এটা। এসব ব্যাখ্যা করারও দরকার নেই। "ডাক্তারের কাছে যা" বলার প্রয়োজন নেই। আমি গেছি।

নিজের তাগিদে, মায়ের তাগিদে বেঁচে থাকার খুব চেষ্টা করি। এখন শরীর নিয়ে হেঁয়ালি করি না, আমাকে আর মানায় না। আমাকে টিকে থাকতে হবে। আমি ভালো না থাকলে মায়ের কী হবে, এটা ভেবে আমি খুব ভয় পাই। আপনি আমাকে কষ্ট দিলে আলটিমেটলি ক্ষতি হয় আমার মায়ের।

আমাকে একা থাকতে দিন, প্লিজ। মায়ের সাথে, মায়ের জন্য একটু বাঁচতে দিন, প্লিজ। আমি জাস্ট এখন আম্মুকে চাই পাশে। আর কিছুই চাই না। শুধু মায়ের মেয়ে হয়ে যেতে চাই, আর কিছু নয়। প্লিজ, আমাকে দম নিতে দিন। আমি আর কিছু নিয়েই ঝগড়া করব না আপনার সাথে, কিছুর জন্যই দৌড়োবো না, ওই শক্তিই তো নেই। আমি আম্মুকে ছুঁতে চাই, গলার আওয়াজ শুনতে চাই বার বার। মা নিশ্চয়ই আমাকে ফেলে দেবে না। নিশ্চয়ই অত ব্যস্ততা তার নেই। আর যা-ই হোক, মা যেন বুঝতে না পারে, আমি নিজেকে শেষ করে ফেলেছি।

ভিক্ষে দিন আমাকে আমার জীবন, প্লিজ। আর কোনো উত্তর দেবো না, ক্লান্ত লাগে এত কথা বলতে, এত বর্ণনা করতে। একাকিত্ব ভয় পেতাম বলে বিদায় বলতে পারতাম না। এখন একাকিত্ব নয়, আপনাকেই ভয় পাই।

আমার কাছে আসবেন না। আমি অনেক দিন ধরে অসুস্থ। অসুস্থতা আমি সবার মতন নরমালি ক্যারি করতে পারি না। অসুস্থ হলে আমার অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করে, আপনাকে দেখতে ইচ্ছা করে। অসুস্থ আমাকে আমি চিনতে পারি না, ভারও বহন করতে পারি না।

ছবি পাঠান কেন, বলুন তো? আপনি তো এমনিতেই ছবি হয়ে গেছেন আমার কাছে, জলজ্যান্ত কোনো মানুষ আপনি নন। একটা অসুস্থ মানুষকে দয়া করুন অন্তত, সময় দিতে তো বলছি না। ইগনোর করাটা আধাআধি নয়, পুরোপুরিই করতে শিখুন। অসুস্থতার কথা জানালাম, কারণ পরে আবার বলবেন, "আগে তো বললি না!"।

জানানোই কাজ ছিল, জানালাম। আমি জানি, আপনি আসতে পারবেন না কিংবা আসবেন না। এই উইকে কেন, কোনো উইকেই আপনি আসবেন না, জানি। কোনো সমস্যা নেই।

যদি পারেন, একমিনিটের জন্য শুক্রবার একবার ভিডিয়োকল দেবেন? একমিনিট তো সহ্য করাই যায়। আমি এক মিনিট বলেছি মানে, এক মিনিটই নেব, এর বেশি নয়। পারবেন না একটা মিনিট আমাকে সহ্য করতে?
Content Protection by DMCA.com