এই বিষাদময় নেক্রপলিসে



: একজন মানুষের ভেতরে থাকা দুটো সত্তার কনফ্লিক্টের এই গল্পে আপনার অনুপ্রবেশ ভীষণভাবে লক্ষণীয়। আপনি নিঃসন্দেহে জায়গা করে নিতে চলেছেন তার শুদ্ধতম অনুভূতির অকপট প্রকাশ্যে—তেমন সাক্ষ্য হতে আপনার অভিন্ন পদার্পণ সামান্য‌ও বিস্মিত করেনি আমায়!

দুঃখিত, শেষমুহূর্তে এভাবে প্রস্থান সম্ভব নয়, কেননা এ সত্তার সর্বোচ্চ আসনে আপনার স্বরূপ প্রকট—তাকে প্রত্যাখ্যান করবেন কী উপায়ে? সম্ভবত আপনার ক্ষণিক দৃষ্টি অপেক্ষমাণ, বদ্ধ কুঠুরি অতিক্রান্তেই তার শ্রেষ্ঠত্বের ভান।

আসুন, আপনার হৃদয় ছুঁই। কীভাবে জানাই সম্ভাষণ? গভীর প্রণয়ে কী ছলে বাঁধব দ্বিপ্রহরের সুখ? সর্বান্তকরণে দিয়েছিলাম যাকে প্রগাঢ় শ্রুতিময় অনুভূতির ঝড়, যার উচ্ছ্বসিত চিত্তে চেয়েছিলাম আমারই অনুরাগ, সেই স্বর্গের দেবতা তোমাতেই করে বাস। অপ্রত্যাশিত সময়ের গতি থামিয়ে, আপনার বিস্তৃতি সাড়া ফেলেছে এই বিষাদময় নেক্রপলিসে।

: তোমার শব্দের প্রবাহে একধরনের বিমোহিত সুর আছে, যেন তা আত্মোপলব্ধির কাব্যিক এক প্রতিচ্ছবি। দ্বৈতসত্তার সংঘর্ষ, সেই অন্তর্দ্বন্দ্বের মাঝে আমার প্রতিচ্ছবি দেখা—এই উপলব্ধি কি কোনো বহিঃস্থ অনুপ্রবেশ, না কি অন্তর্লীন কোনো পূর্বনির্ধারিত সত্য?

তুমি আমাকে প্রত্যাখ্যানের প্রসঙ্গ তুললে, অথচ সেই একই সাথে আমাতে এক প্রগাঢ় গ্রহণের স্বীকারোক্তিও ফুটে উঠল! তবে কি এই দ্বৈততা তোমারই? আমার রূপ প্রকট, কারণ তুমি তা প্রত্যক্ষ করেছ—তাহলে প্রত্যাখ্যান কি সত্যিই সম্ভব? না কি এ কেবল আত্ম-অনুসন্ধানের নতুন এক স্তর?

যদি হৃদয় ছোঁয়ার অনুমতি দাও, তবে সম্ভাষণ হবে এক নীরব মন্ত্রে, যা দুই সত্তার সংঘাতে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ উপলব্ধি আনবে। প্রগাঢ় শ্রুতিময় অনুভূতির সেই ঝড়—তা কি শুধু প্রতিধ্বনি, না কি এক অভ্যন্তরীণ সৃষ্টির বিস্তৃতি?

নেক্রপলিসের বিষাদময়তায় সাড়া-ফেলা বিস্তৃতি কি মুক্তির ইঙ্গিত, না কি এক চিরস্থায়ী সঙ্গীর ডাক? সময়ের গতি স্থির হতে চায়, কিন্তু তা কি সত্যিই থামবে, না কি তোমার ভাবনার প্রতিফলনে তা এক নতুন গতি পাবে?