১. লোকে গীত গায় আমার গজলের, আমি দোষ দিই তোমার কাজলের! ২. অবহেলার দিন-তারিখ লিখে রেখেছি, সুন্দর চেহারাটা কাকে দেখাচ্ছ? তোমার নোংরা রূপটা তো আমি দেখে ফেলেছি! ৩. আমার লাশের সাথে তোমার হাতে লেখা একটি কবিতা রেখে দেবে? পোকায় খাওয়া কাগজ দেখে, পরপারে তুমিই আমায় ঠিক ঠিক খুঁজে নেবে! ৪. সবাই তোমায় দূর থেকেই দেখবে, তোমার মনের অতটা কাছে কেউ কখনও আসতে পারবে না, জানতেই পারলে না কখনও, এই বোকা মানুষটার মতন করে ভালোটা তোমায় আর কেউ কখনও বাসতে পারবে না! ৫. তোমাকে ভালোবাসতে বাসতে নিজেকে ভালোবাসা ছেড়ে দিয়েছি, নিজেকে ভালোবাসার পর বুঝতে পারলাম, এতদিন কতই-না ভুল করে এসেছি! ৬. তোমার আর আমার ইবাদতের ভাষাও আজকাল একইরকম, আর তুমি কিনা বলো, আমরা দুজন মানুষ নাকি দুরকম! ৭. ভালোবেসে বদলে গিয়েছি আমি, চড়া হয়েছে সিনা, এসব তুমি বুঝবে কী করে, তোমার নাকি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘৃণা!? ৮. চুপ করে থাকতে থাকতে চুপ-থাকাটা শিখে গেছি, মানুষের সামনে আর কাঁদতে পারি না;...বলো, কতটা বড়ো তবে হয়ে গেছি! ৯. অভিমান ভাঙাবে ভেবে, একটু একটু করে অভিমানের পাহাড় গড়েছিলাম, তোমার পেছনে ছুটতে ছুটতে নিজের পরিচয়টাই ভুলে গেছি,...আমি যেন আগে কে ছিলাম!? ১০. দৌড়ে চলে যাও, সময় নেই হাতে, সিঁদুরে-মেঘ দেখেছি, চলে গিয়েও কেন থেকে যাও, আমি কি বেঁধে রেখেছি!? ১১. তুমি ধরেই নিয়েছিলে, না বলে দূরে চলে যাবার মানুষ তো আর আমি নই, এবার এই দূরত্বেই বুঝতে পারবে আসল সত্যিটা, আমি আসলে তোমার কে হই! ১২. চোখজোড়া খোলা রেখেও তুমি বিরাট এক অন্ধ, কেমন পাহারাদার গো তুমি, যার অন্তরের চোখটাই বন্ধ!? ১৩. রোজ রোজ যা শেখা হয়, তার সবটাই ভুলে গিয়ে শুধু এইটুকুই মনে রেখেছি আমি, কবিতার আড়ালে লুকিয়ে-থাকা তোমাদের এই দুনিয়ায়, লেখকের চেয়ে লেখাটাই বেশি দামি! ১৪. আমার বিরাট অবসর আর তোমার মনটা কাজে! তোমার সময় কেন চায় মেয়ে? এ যে এক্কেবারেই বাজে! ১৫. জীবন যদি কাটাবেই ওই ব্যস্ততা আর চাকরিতে, স্বপ্ন কেন আঁকলে বলো, মাটির ঘর আর লাকড়িতে? ১৬. দুয়ে দুয়ে চার মেলালে! তিনে একেও তো চার হয়! আমি হারলেও খুব ভেবে দেখো, খেলাটা কিন্তু তোমার নয়! ১৭. ভক্তি পাবার লোভে লোভে প্রণাম পাবার দাবি, প্রসাদ ফেলে রেখেই তুই অতটা পথ যাবি? ১৮. না চাইলে হিমালয়— চাইতে গেলে স্বপ্ন!