নিঃশব্দে মনের ভেতর আসা কথার ধাক্কা—
কে জানত, হবে এতটাই তীব্র?
এতখানি কড়া, এতখানি কাঁপন-জাগানো?
ভাবিনি তখন,
অন্তর্গত রক্তপিণ্ডের হঠাৎ ছুটোছুটি—
সজোরে আঘাত-করা কিছু কথা,
মনের প্রাচীর ভেদ করে
বেরিয়ে আসতে চাইছে বলেই কি
এত ছটফট, এত বিদ্রোহ?
তাই শব্দে বেঁধে ফেললাম তোমাকে, আমাকে—
অব্যক্ত ব্যাকুলতায় ভরা কথার প্রতিটি পিণ্ডকে।
এইভাবে খানিকক্ষণ
শান্ত রাখি এই ক্ষুধিত আত্মা।
সৃষ্ট কথার রেশে, অদ্ভুত এক পীড়ন—
হৃদয়ে গলে যায়,
রূপ নেয় ভাষার অলিখিত তীর্থে।
সেই রূপ, সেই বেদনা—
বলতে হয় শুধু আত্মার সাথে,
কারণ এই শব্দরাই তো আজ—
আমার সর্বস্ব,
আমার ভাবনার অনুচ্চারিত ছায়া,
আমার একমাত্র সত্য,
আমার অস্তিত্বের আশ্রয়।
লেখালেখি ও জাগতিক জীবন—
এদের মাঝে কোনো সংঘর্ষ নেই;
বরং এমন এক পরিণতিতে পৌঁছেছি,
যেখানে না লিখলেই
জীবন হয়ে ওঠে যন্ত্রণাময়!
তৎক্ষণাৎ, কল্পনার অনন্ত বৃষ্টিতে—
অপ্রত্যাশিত ব্যাকুলতায়
আবদ্ধ করে নিলাম তোমাকে—
আমার সৃষ্টি,
আমার অন্তরীক্ষের ধ্বনি।