তুমি জানতে চেয়েছিলে,
আমি কেমন আছি।
তুমি বুঝতে চেয়েছিলে,
আমার মনটা ঠিক কতখানি যন্ত্রণায় আবদ্ধ।
তুমি আমায় বেঁধেছিলে
তোমার বুকের বিশ্বস্ত পাঁজরে,
ধীরকণ্ঠে শুধোলে—
এই ক্লান্ত শরীর তোমায় কতখানি ছুঁয়ে থাকে।
এই অবসন্নতা কাটছে না কেন?
তুমি কি আমায় দেখেছ?
মানুষের বিদায়ের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে না কেন?
মনের ভেতরটাকে নিয়ন্ত্রণের ভাষা আমার জানা নেই আজও।
তোমার জন্য প্রতীক্ষার দীর্ঘরাতে সাজাই নিয়তি,
এই তীব্র শ্বাসকষ্ট কমানোর প্রচেষ্টায় আমি ব্যর্থ—
তাই আর তোমার খবর নিই না।
আমি বিশ্বাস করি—
তুমি ভালো রেখেছ নিজেকে,
তুমি খুঁজে নিয়েছ আমাদের টুকরো স্মৃতিকে…
যেমন করে আমি তোমায় আগলে রেখেছিলাম—আমার নিষ্প্রাণ শিরাতে।
তুমি যত্নে রেখো…
আমার অনুভূতির রক্তাক্ত ডায়েরিটাকে।
যে-কথামালা আমি আত্মায় ধারণ করে বেঁচে আছি—
তোমায় তার সন্ধান দিলে ক্ষতি কী?
আমাদের মাঝে একটাই দূরত্ব—
স্পর্শ।
আমাদের মাঝে একটাই শক্তি—
ভালোবাসা।
আমাদের মাঝে একটাই দৃশ্য—
মৃত্যু।