আচ্ছা, ‘আপনি’ নামের শহরে কি আমার ছোট্ট একটা ঘরও নেই?
ঠিক আছে, ঘর না থাক! অন্তত এই শহরটার একটা ফুটপাতের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সুযোগ তো দিন…নাকি এটাও সম্ভব নয়!
কী অদ্ভুত ‘আপনি’ নামের শহরটা, যেখানে ঢোকার রাস্তা খুব সহজ, অথচ বের হবার কোনো রাস্তাই নেই! কেননা, এই শহরে একবার প্রবেশ করামাত্রই যে মায়াভর্তি কায়াটুকুও বিলীন হয়ে যায়…
দেহ-মনের কোনো অস্তিত্বই থাকে না, হয়তো তাই ফেরাও যায় না!
কী জানি, কেন যে বিলীন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও, স্বপ্নে হলেও ‘আপনি’ নামের শহরটায় প্রবেশ করতে বড্ড ইচ্ছে জাগে!
শুনতে পাচ্ছেন?
আচ্ছা, আমি তো এখন একটা আহত পাখি; একটা আহত পাখির চাহনি দেখে তো যে কারুরই বুকটা কেঁপে ওঠে, মায়া হয়।
আপনার এতটুকুও মায়া জাগে না আমার প্রতি?
হঠাৎ করে মারা গেলে তো দেখা যাবে, আপনি খুবই খুশি হবেন—বিরক্তি থেকে বাঁচবেন বলে!
আপনি এমন হয়ে গেলেন কবে থেকে? টেরই পেলাম না!
এই যে…আপনি যে কী, তা বুঝতেই পারি না! কবে যে বুঝতে পারব আপনাকে!
শহরতলির অলিতে-গলিতে কোথায় যে হারিয়ে যান…খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে যাচ্ছি, তবু পাচ্ছি না!
দয়া করে একটু রাজপথে আসুন, যেন সহজে পেয়ে যাই।
আর পারছি না…!
আমি বড্ড পরিশ্রান্ত!
কোনো একটা পথের বাঁকে দাঁড়ান—বাম পায়ের উপর ডান পা হেলিয়ে; আমি দমকা হাওয়ার বেগে ছুটে এসে ছুঁয়ে যাই শেষ বারের মতো!