তোমার দৃষ্টিতে থমকে থাকে আমার অনুভূতির একাগ্র সৃষ্টি—
যে রহস্যময় চোখজোড়ায় থেমেছিল আমার ক্লান্তি,
এ দ্বিপ্রহর যেন তোমারই আলিঙ্গনের প্রাপ্তি।
আঁধারে শূন্যে ফেরে আমাদের দূরত্ব,
অপ্রস্তুত পরিচয়ে বদলে গেল আমাদের সচিত্র
তবুও—
তোমার বুকের গভীরে হাতটা রেখে নিয়েছি শেষ নিঃশ্বাস,
ভুলের অজুহাতে যেদিন প্রথম ধরেছিলে আমার হাত।
যার চুম্বনে লিপ্ত আমার অফুরান প্রাণের স্পন্দন,
সে চোখে কাজল মেখে চেয়েছ কি দেখে কখনো?
তোমার চোখে নামে যখন একপশলা বৃষ্টি,
আমার সমস্তটা জুড়ে বয় করুণ অতৃপ্তি।
এ যেন থামে না কভু…
এ দৃশ্যে নই যে আমি স্থির—
এ হৃদয় ভেঙেচুরে একান্তে বসে আছে ঠাঁয়;
যেন তোমার কষ্টের ভার বইতে
আমার চেয়ে বিশ্বস্ত আর কাউকে না পায়।
তোমাকে আজ দুঃসংবাদটা দিতে চাইছে না মন,
তোমার চোখে বিষণ্নতা নামুক আর ক্ষত বাড়ুক,
এ যেন এক পীড়াদায়ক সহানুভূতি—
যার স্পষ্টতায় চোখ পুড়ে ছাই
সে অন্ধকারাচ্ছন্ন পথের বাঁকে তোমারই দেখা পাই।
জ্বর এলে আমি খুঁজি কেবল তোমাকেই,
পেলাম আর কই?
এভাবে এক যুগের হলো অবসান,
পরিশেষে—
তোমার কণ্ঠে আবারও শুনলাম আমার ডাকনাম।
একই ছন্দে বাঁধা তোমার-আমার সুর,
এ স্রোতে চলো ভেসে যাই বহু বহুদূর...
যে পথে তুমি দিয়েছ আত্মাহুতি
সে পথে পা মাড়িয়ে হাঁটব কী করে আমি?
আবার ফিরে এসো,
আবার তুমি হয়ে ওঠো—
নামহীন কোনো অচেনা দেবী
যাকে স্পর্শে নয়, অনুভবেই আলোড়ন।