বুকের ভেতর ধরফর করছে।
সম্ভবত, মানুষের চেয়ে অদ্ভুত প্রাণী
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আর নেই।
মানুষের সহ্যক্ষমতাও
অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে বহুগুণ বেশি।
মানুষের ভেতরকার চিত্র
সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই।
মানুষ বৃদ্ধ হলে যতটা অসহায়...
আক্ষরিক অর্থে,
একটা শিশু ততখানি অসহায় নয়—
শিশুর প্রতিও মায়া জন্মে,
নতুন প্রাণের সঞ্চরণকে গ্রহণ করতেই যেন...
মানবকুল ব্যাকুল।
অতীতকে পেছনে ফেলাই কি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি?
যে-প্রাণের স্পন্দন বিলোপের পথে...
ও নিয়ে আর কেনই-বা থাকবে বাড়াবাড়ি!
তবে, খুব সহজে বৃদ্ধদেরকেই
বোঝা-বানিয়ে-ফেলা এই পরিসরে...
শরীর খোঁজে নির্বাক চুক্তি।
মানুষের এই দেহটা
একটা সময় পর—
আর কোনো কাজেই আসে না।
শরীরে ছুটে-চলা রক্তকণিকার
দুর্বার গতিবেগ কমতে শুরু করে।
এই অবশ শরীর নিয়ে এখন কোথায় যাই?
আমাকে পুড়িয়ে দিচ্ছ না কেন?
অথর্ব এই দেহ টানবে আর কত?
কতখানি ভাগ্য নিয়ে জন্মালে পরে—
এই শক্তিহীন দেহটা নিঃশব্দে ঈশ্বর টেনে নেয়?
শেষসময়ে মানুষের কাছে বোঝা হয়ে কাটাতে হয় না?