এতটা যে ভালোবাসি, না বললে বোঝো কি আদৌ, ভালোবাসি আমি ঠিক কতটা? এই যে সারাক্ষণই নিই প্রতিমুহূর্তের খোঁজ, খুঁজতে খুঁজতে কোথাও না পেয়ে ঠোঁট উলটে অভিমানী চোখে, ভেজা টলমলে ঠায় দৃষ্টিতে বারে বারে ভালোবাসার আর তোমার সাথে আড়ি কাটি, ওসবের কিছু বোঝো তুমি? ঘুম আসে না, চোখের তারায় বৃষ্টি ঝরে, সবার থেকে মুখ লুকিয়ে, টসটসে ফোলা চোখ লুকিয়ে, আড়ালে যাই টুকুস করে, হারিয়ে ফেলতে চাই নিজেকে, বোঝো না কি কিছুই? আহত হয়ে, নত মস্তকে, দূরসীমানায় নৌকো ভেড়াই, চেয়ে থাকি রোজ একই সময় পথের পানে, কী এক আলগা সুতোর টানে দিন গুনে যাই, মাস ফুরোয়, বছর গড়ায়, অভিমানী চোখের ঝড় থেমে যায়, থেমে থেমে, থেকে থেকে কাতরাতে থাকি ছেলেমানুষি সব তালবাহানায়, কেন বোঝোই না সেসব? যদি না-ই বলতাম, খাইনি ভাত এবেলাও, বুঝতে কি তবে…অভুক্ত যে ছিলেম? যদি না জানাই, যাইনি কোথাও, যাবও না ভুলে,… বুঝবে কি তবে? জীবন এত কঠিন কেন হয়? জীবন সত্যি এতটা পানসে কেন? চোখের রঙগুলো সব কোথায় হারায়? প্রাণের মানুষ যায় চলে সে কোথায়? যাবার বেলায় রোদটুকু যা সঙ্গে করে এসেছিলে নিয়ে, তা সঙ্গে করেই ফেরত নিলে! যাবার বেলায়, যেতে যেতে শুধু দিয়ে গেলে মেঘ, সেই পুরনো সে মেঘ,… সেই থেকে অবিরত কেবল ঝমঝমাঝম ঝুপঝুপাঝুপ বৃষ্টি ঝরে, আষাঢ়ের বাদলা---আহা, বড্ড বেশিই একগুঁয়ে সে! তার আচরণের স্বঘোষিত কত নিয়মকানুন, ---ওসব খুব সহজে কাটেই না যে!