অপ্রকাশের অন্তরালে



আমি নিজেকে সঁপে দিই—কেননা, জানি…
তুমি আবারও আমায় ভালোবাসতে শেখাবে।

আমি অশ্রু লুকোতে পারি না—
একধরনের যন্ত্রণা আছে…
যা কখনও চিৎকার করে না।

এটি নিঃশব্দে স্থির থাকে,
হৃদয়ের চারপাশে আঁটোসাঁটো হয়ে থাকে—
যতক্ষণ না তোমার গভীর আলিঙ্গন…
আমার দেখার ভঙ্গি বদলে দেয়।

আমি আমার অনুভূতিকে ব্যবহার করেছি…
তোমাকে শাব্দিক রূপে প্রতিষ্ঠিত করব বলে—
এই রোগ, ক্ষত, অসহায়ত্ব সবই পরিত্যক্ত হবে
এবং তোমায় ভুলে যাব সেই মুহূর্তেই।

পবিত্রতা ব্যাপারটা প্রায়শই কেবল দুঃখকষ্টের মধ্যেই থাকে…
তা উপলব্ধি করবার ক্ষমতা ঈশ্বর সবাইকে দেয় না।

আমার কাছে, তোমার আংশিক মনোযোগই ছিল
আমার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল—
একটি পাহাড়ের ধারে দাঁড়িয়ে উড়তে-বলা হাওয়ার মতন।

তুমিই আমার জীবনের বড়ো "সত্য"—
এটি কি কেবলই একটি সুপরিকল্পিত বিভ্রম?

ভালো এবং মন্দের বাইরে
দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে-থাকা
এক বিকলাঙ্গ পতঙ্গ আমি—
অভিশপ্ত, অনেকটাই।

এরপর যা ঘটে, তা হলো
আমার জীবনের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী মুহূর্তগুলির একটি—
যেখানে বিদ্রূপ এবং কোমলতা নিখুঁতভাবে মিশে যায় তোমার স্পর্শে।

এ আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত—
যেখানে তুমি এলে প্রেমরূপে,এক শান্ত সাহস হয়ে,
প্রত্যাশাহীন ভালোবাসা হয়ে।

তোমার বুকের গভীরে সত্যের এক মৃদু ফিসফিসানি শুনতে পেলাম, এবং
আমাদের কথোপকথনকে শিল্পে রূপান্তরিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।

এতটাই ব্যস্ত যে, সব বুঝেও থেকেছে আড়াল
তোমার ক্ষীণ হাসির আড়ালে এমন একজন ব্যক্তি…
যে কখনও আমাকে গ্রহণই করতে পারেনি।

তা সত্ত্বেও, টিকে থাকার এক নিঁখুত মিনতি করে চলেছি।
অবশেষে, যখন আমি তোমায় মুক্তি দিলাম—
তুমি নির্বাক হয়ে আমার চোখে অপলক তাকিয়ে ছিলে।

অথচ, এই রহস্যময় পথটি ধরে আমরা একসাথে অনেকটা সময় হেঁটেছিলাম…
যা ছিল সম্পূর্ণ অচেনা।

তবু, তুমি আমায় এক বারও কর্কশ গলায় বলোনি—
সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে।

কেন এই তিক্ততাকে সাথে নিয়ে আমায় বিদায় দিলে?
আমি আমার আত্মার শেষকথাটিও অস্বীকার করেছি—আমি লিখতে পারি।
কিন্তু কেন সেই সম্ভাবনাকে নিজহাতে ধ্বংস করলাম?