কিছু প্রশ্ন, নিঃশব্দের মতো নরম...
"তোমার পছন্দের ফুল কোনটি?"
"প্রিয় রঙটা কেমন?"
আর, "সেই অভ্যেস—যেটা না করলে দিনটা অসম্পূর্ণ লাগে?"
আচ্ছা,
"কোন পথে দীর্ঘসময় হেঁটে গেলেও তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়ো না?"
বলতে পারো?—
"পাহাড়, না কি সমুদ্র?"
"নিস্তব্ধতা, না কি মৃদুবাতাস?"
"প্রিয় মুখ, না কি মধুর কোনো পুরোনো স্মৃতি?"
"ক্লান্তিশেষে তোমার কী করতে ইচ্ছে করে সবচেয়ে বেশি?"
আচ্ছা, বলো তো,
"তোমার কি আর ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করে না?"
"কোন সময়টায় তুমি সবচেয়ে বিষণ্ণ হয়ে পড়ো?"
"তুমি কি বৃষ্টি ভালোবাসো, না কবিতা?"
"চা, না কফি?"
"গান, না বই?"
"একাকিত্ব, না প্রিয় কারও নরম আলিঙ্গন?"
আরও একটা প্রশ্ন—
"তোমার যন্ত্রণাগুলোর কি কোনো ছুটি নেই?"
"তুমি কি এখনও অন্ধকারে ভয় পাও?"
"তোমাকে কি কেউ এখনও আগলে রাখে?"
"তুমি কি এখনও নিয়ম করে দুঃখগুলোকে বুকে আগলে রাখো?"
বলো না...
"সুগন্ধ, না কি স্পর্শ?"
"অপেক্ষা, না আমি?"
শুনছ?
তোমার জন্য কিছু উপহার এনেছিলাম—
রাখবে তোমার কাছে?
এই যে গাছটা দেখছ—
ওর নাম ‘দীর্ঘশ্বাস’।
এই বাক্সটা—
ওতে রাখা আছে ‘কল্পনা’।
আর এই চিঠিটা...
এখানেই লেখা আছে—
আমার ঠিকানা।