: পুরোনো কথা মনে পড়লেই তোকে খুব কাছে জড়িয়ে রাখতে ইচ্ছে করে।
তোর উপেক্ষায় তবুও অপেক্ষা বাড়ে।
: তুই তো আমার কাছেই থাকিস।
: তোকে রোজ বলতে পারব তো?
: কী?
: ভালোবাসি!
: হা হা...
তুই না বললেও আমি আজও শুনতে পাই।
: আচ্ছা, তোর তো আমার ওপর রাগ করে থাকার কথা, তাহলে আমাকে এখনও সহ্য করছিস যে?
: এত ভাবি না।
: শোন না, তোর স্পর্শে নিজেকে অনেক পোড়াতে ইচ্ছে হয় আমার।
তোকেই বলি—
কাছে এসে ছুঁয়ে দেখার সুযোগটা যেন আমাকে আর কখনও না দিস।
তবুও, মিথ্যে করে একবার বলিস— দেখা হবে।
: কেন দেবো না?
: কারণ, আমি তোকে হারাতে চাই না।
সত্যিই কি কখনও মনে রেখেছিলি আমায়?
: নিজেকে নিজেই ভুলব কীভাবে?
: শোন।
: বল না...
: তোকে নিয়ে অনুভূতি লিখতে আমার কোনো দূরত্ব চোখে পড়ে না,
নিজেকে কোনো নিয়মে বেঁধে রাখতে হয় না।
তোর লেখাই তো তোর মন।
সেই লেখার ভেতরেই আমাদের জগৎ—
সেখানে তুই শুধুই আমার হয়ে থাকিস।
: কিন্তু দেখ, বাস্তবতা কত ভিন্ন!
বাস্তবতায় তোকে ছোঁয়াটা কত কঠিন—
অতটা সামর্থ্য তো আমার নেই।
জানিস, আমি প্রায়ই ভাবি—
তোর সঙ্গে আমার কথা হয়, আগের মতো।
এটা ভাবতেই ভালো লাগে।
কেন জানি না, এসব আর কিছুই হয় না আজকাল।
: সময়গুলো ফুরিয়ে যায়,
অপেক্ষা দীর্ঘ হয়,
ভালোবাসা তীব্র হয়,
তুই নিখোঁজ থাকিস,
আবেগের নীড়ে আর ফিরে যায় না আমাদের অনুভূতি।
হারিয়ে যায় চেনা ছন্দ,
নীরবে থাকি আমি,
ক্ষয়ে যায় স্মৃতি।
একরাশ ব্যর্থতা নিয়ে তবুও ভাবি তোকে, ভাবি নিজেকেই।
কেন জানি অন্য কাউকে ভালো রাখতে চাইছি—
কিন্তু আমি যে ভালো নেই,
তা নিয়ে ভাবছে কে?
: খুব তাড়াহুড়োতে তোকে ভীষণ সুন্দর দেখায়।
: কতটা দূরত্বে দূরে যাওয়া হয়?
কতটা দূরে গেলে কাছে আসা হয়?
তোকে ফোন দেবো ভেবেও দেওয়া হয় না,
কাছে ডাকব ভাবলেও ডাকা হয় না।
তোর হাত ধরে থাকতে চাইলে— চাইতেও পারি না।
তোকে বলতে পারিনি কখনও,
তুই থাকলে এই জীবনটা কতখানি রঙিন!