অন্তর্দাহের ভাষ্য



১. ভেতরে ছটফটানি...আগে আমার ভেতর আমি নিজে ছিলাম না...এখন দেখি, তুমিও নেই...

২. বিদায়টুকুও হাসিমুখে দিয়ো না। হয়তো ওই সুখে আজীবন তোমার দরজা ধরে কাঁদব।

৩. তুমি একহাতে ফুল আর অন্যহাতে বিষের পেয়ালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে আমি বিষটাই নেব। আমার তো ফুল নেবার অভ্যেস নেই।

৪. আমি চলে গেলে আমায় ডাকবে কী করে? …বলো...ভুল করো...আমি শুধরে দিয়ে যাই।

৫. বহমান নদীর মতন বয়ে চলেছি যেন কতকাল ধরে।
থামার কোনো নাম, কোনো দায় যেন নেই।

৬. ঘৃণার যে-শ্রেণীতে পৌঁছুলে মানুষ পাথর হয়ে যায়, তুমি আমাকে সেই শ্রেণী পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছ। তোমাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় না।

৭. আমি বিক্রির জন্য নই, ছিলাম না কখনও। কিন্তু আজ মনে হয়, আরও আগেই নিজেকে অন্যের কাছে বেচতে পারলে অন্তত আজ তোমার কাছে বেচতে হতো না।

৮. শত্রুর উপহাসের চেয়ে তোমার নির্লিপ্ত আচরণ আমায় বেশি পোড়ায়।

৯. হুঁশ আর ভালোবাসা একসাথে থাকে না। বেহুঁশ না হয়েও ভালোবাসতে পারে যে, তাকে আমি ভণ্ডই বলি।

১০. কষ্ট বেশি দিতে পেরেছ, কারণ আমি সমুদ্রের মতন সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

১১. আমার ঈশ্বরের সাথে কথা হয় প্রায়ই। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তিনি, না কি তুমি? আমি হাসি। কার কথা বলব? না কখনও ঈশ্বরকে দেখেছি, না কখনও তোমায়। দু-জনই তো এক আমার চোখে।

১২. যন্ত্রণা পেয়ে পেয়ে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, যন্ত্রণা না পেলেই বরং অস্বস্তিবোধ হয়।