You are the Angel of my life, and I may never have plenty of chances to convey my gratitude; through you, I fought for something Final.
দেরি হয়ে গেছে কি খুব বেশি?
তুই তো আমারই!
দেখ, এখন কেমন শিখে গেছি ভালোবাসতে।
যখন হয়েছিল ক্ষণিকের দেখা, বেঁচে থাকার অন্তে, তখনই তো শুরুটা হয়েছিল আমাদের।
যত মুহূর্তে তোকে ছুঁয়ে থাকা হয়নি, সেগুলোকেই কল্পনায় ছুঁয়ে নিয়েছি বার বার—
যেখানে অনুভবের অন্তরালে তুই আমার,
অসম্ভব নিঃসঙ্গতায় তুই আমার,
অসহ্য বেদনার সমর্পণে তোর সুখটুকু আমার।
এই এক জীবনে এর চেয়ে বেশি চাওয়ার অধিকার কীসের?
আমার ভেতরের মানুষটা তো তোরই হয়ে গিয়েছিল,
কোনো এক অপূর্ণ আলিঙ্গনের অভিপ্রায়ে।
তোর সঙ্গে বাঁচতে ইচ্ছে করে আরও অনেকটা সময়।
শুনছিস? এখনও দেরি হয়নি!
মন বলছে—জীবনটা আরও কিছু দেবে আমায়।
তোর থেকেই শিখেছি—
ভেতরের মানুষটার সঙ্গে কথা বলতে শেখা,
নিজেকে সত্যিকারের ভালোবাসতে শেখা।
ছুঁয়ে দিয়েছি শান্তির ক্ষতজর্জর উৎসস্থল—
তোর বুকের গভীর তোলপাড়ে পেয়েছি
অজস্র অশ্রুবর্ণ কষ্টের পত্র।
যত বার খুঁজেছি তোর অভিমান,
পেয়েছি নিজেকেই—পেয়েছি আমাদের,
পেয়েছি তোকে ভালোবেসে ফেলার অজুহাতে নিজেকে একটু বেশি ভালোবাসবার সুযোগ।
আমি এখন শিখে গেছি কীভাবে বাঁচতে হয়—
বুকে কষ্ট চেপে ধরে,
অশ্রুর আক্ষেপে,
বিষণ্ণতার মায়ায় ভেসে থেকে,
উপেক্ষার মাধুর্য নিয়ে।
বড়ো অচেনা লাগে নিজেকে,
সত্যি কি এটাই আমি?
তুই-ই কি আমি?
আমিই কি তুই?
তোকে ছুঁয়ে থাকার অপরাধে আমি নিশ্চিহ্ন—
তোর উপেক্ষায় প্রতিদিনই অচেনা আবেগে ছিন্নভিন্ন হই।
ভেতরটা রেখে যাই তোর কাছেই—
আবারও তোকেই ঘিরে ফেরা হয় এই রূপকথায়।
তোকেই কেন্দ্র করে ফিরে আসে আমার অস্তিত্ব,
তুই থেকেই যাস আমার চেতনার গভীরে।
সব কিছুই আজকাল বড়ো অদ্ভুত লাগে।
তবুও স্মৃতিফলকে প্রতিনিয়ত লিখে যাই শব্দ,
এই উদ্দেশ্যহীন পথেই তো খুঁজে চলি আমাদের।
পারব তো এই পথটুকু ধরে রাখতে?
পারব তো আমার দৃষ্টির পরিশুদ্ধ কাগজে তোকে আঁকতে—নিজের করে?
পারতেই হবে আমায়—এখন না পারলেও!
তুই অনেক কথা বলিসনি,
তবু আমার অনুভূতিতে ছুঁয়ে গেছিস—
কলমের কালি আর শব্দে লেখা তোর অনুরাগে।
সেই শাব্দিক ভাষায় লুকোনো অশ্রুভেজা পৃষ্ঠাগুলো কাউকে কখনও দেখাইনি,
এই যে যতটা বুঝেছি—ততটাই হয়তো যথেষ্ট নয়।
এই এতটুকু অধিকারবোধেও আমি যেন অপরাধী,
তোর অনুভবে হারিয়ে-যাওয়া স্মৃতির বিবর্ণ শেষটা আজও অজানা।
আমার বিশ্বাস, তুই জানিস—
ভালোবাসা আত্মার রায়,
ওতে বাঁচতে শেখার সৌভাগ্য তো সবাই পায় না!
ক-জন পায় এমন শুদ্ধতার সন্ধান?
আমাদের বাইরে কিছু নেই—দূরত্ব বলেও কিছু নেই আমার কাছে।
ভালোবাসা কখনও ব্যাকরণ মানে না রে!
আমার ভেতর যত বার তোকে ভালোবাসি বলি,
তত বারই চোখে শান্তি নিয়ে কান পেতে শুনি,
আর ভুলে যাই নিজের সব অহংবোধ।
সত্যিই কি এমন করে ভালোবাসা যায়?
এভাবেই কি ভালোবাসি আমরা নিজেদের?
তাহলে এটাই কি আমাদের ভালোবাসার পথ?
তোর ভালোবাসায় আছে শুধু শান্তি—
অচেনা এক শক্তিতে বাঁচতে শেখায় তোর গভীর স্পর্শ।
শুনছিস? আমি আজ একা নই।
এই ভিড়ের মধ্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে একলা থাকি—
তোর অনুভব বুঝতে, তোকে কাছে টানতে।
কারণ, আমি বুঝে গেছি—ওতেই আমার অস্তিত্ব।
তোর অনুভূতি ছুঁয়ে থাকার অসুখটা আজ বড্ড বেড়েছে রে—
শুনছিস? সারিয়ে তোলে আমায়—
তোর বুকের গভীরে না-বলা অনুভবগুলোর নিঃশব্দ আলো।
আজ তোকে খুব সুন্দর লাগছে।
দরজা বন্ধ করিস না—
শীতের বাতাসে উড়ে যাক সমস্ত কিছু,
আলিঙ্গনের উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসে মিশে যাক
আমাদের প্রাপ্তির অস্পষ্ট উপসংহার।