রোদকে নিয়ে লেখা যায়, লেখা যায় মেঘকে নিয়েও; অথচ ছায়াকে নিয়ে লিখতে গেলেই কোত্থেকে যেন বৃষ্টি এসে যায়!
লিখি মাঝে মাঝে...ভুল করে। আর তখনই এই ঘরে, এই মেঝের গায়ে বৃষ্টি ঢুকে পড়ে জানালার ফাঁক গলে।
বুকের মধ্যে বৃষ্টির জলে আলপনা আঁকা হয়, থালায়-বাটিতে সাজে জলের ভোজ, এই শরীর পরে নেয় জলের কিছু দাগ।
বুকের ভেতরটা একসময় কেমন শূন্য হয়ে যায়… রোদকে ডেকে মন বলে, বাইরে যে? ভেতরে এসো! মেঘকে ডেকে মন বলে, ঘরে এসো গো…ঘরে! …ওরা কেউ আসে না। বৃষ্টি বাড়ে।
এ বড়ো ভারী…বহন করতে চেয়েছিই-বা কবে! তবু কেন জল বলে, বৃষ্টির নিমন্ত্রণে এলাম! মিছেই কেন বৃষ্টি বলে, তুমি ডাকলে বলেই এলাম!
অনাহুত অতিথিকে সেবা করতে গিয়ে আজ স্বপ্ন দেখি কেবলই ফুলের, ধূপকাঠির, চন্দনকাঠের।