অনস্তিত্বের বিনির্মাণ



১. প্রেমের গল্প ছেড়ে গেছে আমায় বহু আগেই, তাই আজকাল কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমিও জানি, ওসব কবিতা হয় না। তবুও দুঃখ ভুলে থাকতে, সুরার মতন, অক্ষরের নামে কবিতা-পান করি।

২. যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, আমি হাতড়ে বেড়াই আমার ছোটোবেলার আমি-কে।

৩. আমার সৃষ্টিকর্তা আমাকে সবচেয়ে দামি যে-জিনিসটা দিয়েছেন, তা হচ্ছে অশ্রু; আর সেই দামি জিনিস‌ই কিনা আমি একটা নোংরা লোকের জন্য খরচ করে যাচ্ছি!

৪. প্রেম আর ভালোবাসার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা খুব মুশকিল। তাই আমি প্রেমিকাকে বিদায় জানাতে আকুল হয়ে আছি।

৫. পড়াশোনা খুব বেশি করতে পারিনি বলে তোমরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করো, অথচ এত জানাশোনা-কম আমি'টার রুচি, আভিজাত্য এতখানি উঁচুমানের কী করে হলো, তা নিয়ে একটুও ভাবতে চাও না।

৬. চোখের জলেও যে অতটা শিল্পের মিশ্রণ থাকে, তোমার সাথে দেখা না হলে কোনোদিন জানাই হতো না।

৭. তোমায় বিদায় দিলাম ঠিকই, কিন্তু বাড়ি ফিরতেই তো আমার বুক কাঁপছে!

৮. তোমার মাকে আমার মা প্রচণ্ড ঈর্ষা করেন। বলতে পারো, কেন?

৯. আমাকে বসন্তের বাতাস ছুঁতে এলে আমি মুখ ফিরিয়ে নিই, কারণ আমার আয়ু ফুরিয়ে আসছে। এই মিতালি আমায় আর মানায় না।

১০. যখন চলে যাবে এখান থেকে, বিদায় না বলে বরং গান ধোরো। আমি গানে মজে না গেলে হয়তো তোমার চলে যাওয়া অনেকটা পিছিয়ে দেবো।