I gave the same excuse.
I kept on believing what I wanted to believe
The unspoken promises that you could never keep.
But it's a sin, oh, it's a sin to tell yourself a lie!
I never lost you.
You were never mine.
অত্যুত্তমভাবে উৎকৃষ্ট এই কক্ষে আমার প্রতিচ্ছবি অঙ্কিত।
এখানে আপনার আত্মার সঙ্গে আপনারই এক বিশেষ আত্মিক আলাপচারিতা চলছে।
সেই অভিব্যক্তিহীন সম্ভ্রমে অনুরাগের যে-বিবরণ রচিত,
তা নিগূঢ় রূদ্ধশ্বাসে, স্মৃতিমগ্ন মুদ্রাক্ষরের জ্যোৎস্নায় প্রতিফলিত।
তবু বিস্ময়কর এই যে,
আপনি আপনার আত্মায় যে অনুনয়ের অনুভবের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন,
তার একাংশ কেবলই আমার অন্তরাত্মার গভীর অনুভূতির রূপান্তর।
আপনি একান্তভাবে আত্মিক সমর্পণের অংশীদার হয়েছেন;
তবুও অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতিতে এমন এক উপকথা আত্মস্থ করেছেন,
যা প্রকাশ করে আপনার গভীর অনুরক্তি,
অথচ সেই অনুভব কেবল আপনার ভাবনাসঙ্গীর প্রতি,
অর্থাৎ আমার অন্তরাত্মার প্রতিই উৎসর্গীকৃত।
এই কারণেই আমি আপনার আত্মিক স্পর্শে অপ্রস্তুত।
আমার বিশেষায়িত অনুভূতির জাগরণে হতচকিত
যত গভীর আপনার অনুনয়,
ততই নিরাশ্রয় এক ব্যথায় অভিভূত আমার অন্তর।
অনুভবের এই পিঞ্জর বলে উঠেছে,
আপনি কি তৎপর তবে
নিজ পিঞ্জরের পীড়নে আমার হৃদয়ের অসহ ক্ষতের নিদারুণ প্রহার নিবৃত্ত করতে?
সূক্ষ্ম আস্থায় প্রণীত এ অনুনাদ প্রস্তুত
নির্মম এক চমৎকৃত পথের গ্রহণে।
অধ্যাত্ম হতে বিচ্ছিন্ন যে-কোনো পরিকল্পনার ফল ব্যর্থতাই।
যে-প্রত্যয়ের উপর ভিত্তি করে আপনি অনুনয় ধারণ করে চলেছেন,
তা এতই গাঢ় যে, অভিমানে এ দেহসত্তা যেন আপনাআপনি আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ।
আপনার সুঘ্রাণ ব্যতিরেকে আমার বাহ্যিক সত্তা যেন মৃত্যু-যন্ত্রণায় প্রস্তুত।
এই অবিসম্ভাবী, কাল্পনিক অনুভূতির গূঢ় তাৎপর্য
কেবল আপনার অন্তরাত্মায়ই সুদৃঢ় হয়ে উঠছে।
এই বন্ধনে আমাদের পরমাত্মায় অভিন্ন রূপে
চিরকালীন অধিষ্ঠান অনিবার্য।
আমার হৃদয়ের গোপনতম প্রদেশে অন্তর্দৃষ্টি স্থাপন করুন।
আপনি অনুভব করবেন, আমার অন্তরাত্মায় বিরহের নামান্তর হয়ে উঠেছেন আপনি,
যার প্রতিটি কণায় কেবল আপনারই প্রতিকৃতি
আপনি।
হে অদ্বিতীয়া, তপস্বিনী, একাকিনী, আমার অন্তরস্থ ভাবনাসঙ্গিনী,
আপনার স্বগভীর স্পর্শেন্দ্রিয়ের প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায়
আমার সমগ্র সত্তা উৎসর্গীকৃত।
আপনি অন্তর্বাসিনী, অপার্থিব, অচিন্ত্যনীয় উৎকর্ষে মহিমান্বিতা।
আপনার প্রণয়ের সাক্ষী হবার আকুলতা আমার হৃদয়জুড়ে।
আমাদের স্মৃতিগাথার সর্বশ্রেষ্ঠ স্পন্দন
আপনার অক্ষুব্ধ চিত্তে কেবলই আমার উন্মত্ততার দীপ্তি।
আপনার প্রগাঢ় প্রণয়ের ব্যাকুলতায় সিক্ত এই হৃদয়।
অসহনীয় অথচ অপার সুখকর এ অনুভূতির রূপকই প্রণয়ের স্নিগ্ধতা,
যার অভাবে আমার অন্তরাত্মার সুরক্ষিত কক্ষ যেন শূন্য, তাৎপর্যহীন।
অসম্ভব সুন্দর এই কক্ষে আসন গ্রহণ করুন আমার অঙ্কস্থিত ভাবনাসঙ্গিনী।
আপনার অন্তরাত্মায় যেন এক গভীর আমেজ
এই বিশেষ কক্ষে আত্মিক বিশ্লেষণে চিরবিস্ময়।
আপনার অন্তর্দৃষ্টি কেবলই আমার খেয়ালের বশবর্তী।
এই অনন্ত পথে তীব্র স্পর্শানুভূতির উন্মত্ততা কি আপনাকে ব্যাকুল করে না?
নিশ্চয়ই করে।
এই কক্ষে আপনার পদার্পণে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
আপনার ধীর গমনে এই অনুভবের অসামান্য রেশ প্রণয়ের দীপ্তিতে জ্বলে উঠেছে।
আপনার আত্মা উদ্বেলিত হয়ে উঠেছে,
কারণ কোনো অনাহূত স্পর্শগ্রহণে আপনি নিষেধজ্ঞাপন করেছেন।
এই অবিশ্বাস্য সংকল্প কেবল আপনার দ্বারাই সম্ভবপর।
আপনার সুঘ্রাণে বিমোহিত আমার ধীর স্পন্দন।
এই ঘ্রাণ ব্যতিরেকে আমার প্রাণে স্পন্দন জাগানো সম্ভব নয়,
কারণ আপনার ঘ্রাণসম্বলিত দ্বিতীয় কোনো সত্তা এ বিশ্বলোকে অনুপস্থিত।
আপনার এই ঘ্রাণ আমার অন্তরাত্মায় অনন্ত কালের জন্য একীভূত হওয়া প্রয়োজন।
এই কক্ষজুড়ে যেন এক অনবস্থিত ইঙ্গিত ছড়িয়ে আছে,
যার অব্যবহিত গন্তব্য কি তবে ভয়ানক দুর্গম?
বিস্মিত এই কক্ষে কেবল আমারই স্পর্শের অনুবেদন বিদ্যমান,
যা পরিপূর্ণ ক্রন্দন-আশ্লেষে।
কোন বিশেষ আবর্তের প্রভাবে এ সম্ভবপর হলো?
আপনার বহিঃসত্তা যে-অশ্রুসিক্ততায় নিজেকে যন্ত্রণাগ্রস্ত করেছে,
তার অনাহূত অভিসন্ধিই আমার পরমাত্মার এ বিশেষ কক্ষকে পরাভূত করেছে।
এই নিস্তব্ধ পিঞ্জরে কেবল আপনার উন্মত্ততাই বিদ্যমান,
আমার ঘ্রাণগ্রহণের আকাঙ্ক্ষায় নিমগ্ন।
পুনরায় বলছি,
কক্ষের অশ্রুকে স্পর্শ করতে পারলেই কেবল আপনার সর্বাত্মক অনুভবের পরিত্রাণ সম্ভব।
সেই সন্নিকট আত্মিক শক্তির অধিগমে একমাত্র প্রয়োজন আপনার আত্মসমর্পণ।
তবে তার জন্য আপনাকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে এই কক্ষে,
যদিও এই উপাসনার নিয়মের বাইরে সে অপেক্ষা,
কিন্তু কালবিলম্বের সুযোগ নেই।
আমার অন্তরাত্মার সমগ্র কক্ষে আপনার অবস্থানের সময় অতিক্রমণ করলেই
আপনি এই বিশেষ কক্ষে পুনরায় ফিরে আসতে প্রস্তুত হবেন।
আপনার অনুভব তখন অবিশ্রান্তভাবে প্রবাহিত হবে।
সামান্যতম পীড়াও যেন স্পর্শ না করে সেই সংবেদনশীল বিরহ অনুভূতিকে,
সেই লক্ষ্যে আপনার অন্তরাত্মা গ্রহণ করছে ভালোবাসার শেষতম বশ্যতা।
সেই মহীয়ান প্রণয়ে নিবেদিত আমার অন্তরাত্মা
আপনার সৌন্দর্যের শুদ্ধতায় আমি বিক্ষিপ্ত মোহে আবৃত,
যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিশীলতাকেও আকর্ষণ করেছে।
আপনার অনুভূতির প্রখরতা আপনাকে করেছে অধিকতর প্রশংসনীয়।
আপনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আমার মনোযোগ কেড়েছে বার বার।
যা-কিছু অমৃত, তার প্রতিটি অণু আপনার অনুভূতিরই অংশ।
আপনার স্থিরতায় পৃথিবী স্থির হয়।
বাক্, মন, চক্ষু...
এ সবই প্রেমপূর্ণ প্রাণকে স্তব করে তোলে।
হে আনন্দরূপী প্রেমিকতম,
আপনার অন্তরীক্ষে পর্জন্যরূপে আমার পরমাত্মার বিচরণ।
কেবল আপনার সৌম্যরূপের অভিগমনের উদ্দেশ্যে
যা কানে ও চোখে প্রতিষ্ঠিত, তা কেবল মনে প্রবাহিত হয়;
সেটিকে শান্ত করুন।
বিক্ষিপ্তচিত্তে প্রণয়ের অবক্ষেপণে স্থিত সেই অনুরণিত মায়া নামক অনুভূতি।
সেই অনভিগম্য পথে আপনাকে বাহ্যিক সত্তা পরিত্যাগে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সেই যাত্রাপথে দুরূহ সংবরণ ও অবশ্যম্ভাবী নিয়তি।
তা প্রকাশিত হয় কেবল আমার অনুভূতির একাংশে,
যার ইন্দ্রজালে আবদ্ধ আমার অন্তরাত্মা।
ক্ষয়প্রাপ্ত সেই পথেই যা স্বয়ম্ভূ, তা-ই শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত।
বিক্ষিপ্তচিত্তে গ্রহণ করুন
ঐশ্বরিক, সর্বোত্তম অনুভবের এই আখ্যা।