১. আমি নেশায় জড়ানো ঘুমঘুম চোখে তোমার দু-চোখে চাই, তোমার ঘুমটা পায় তখনই যেন! তুমি সবাইকে সবটা উজাড় করে দাও, শুধু আমার বেলাতেই সময় হয় না কেন? ২. আমি যেন কেমন তাড়া অনুভব করি সারাক্ষণই, আমায় কি তবে চলে যেতে বলছ এক্ষুনি? ৩. কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য এমন একটা পৃথিবী তৈরি করো, যে পৃথিবী তোমার থেকে শুরু হয়ে তোমাতেই শেষ হয়। ৪. কী সঠিক সময়ে তোমার আগমন, আর সঠিক সময়েই চলে-যাওয়া, প্রেম শিখিয়ে পালিয়ে গেলে, হলো না আর তোমাকে পাওয়া! ৫. আমি ভালোবেসে বেসে করেছি বিষপান, তবুও কিন্তু মরিনি; অবহেলা যে বিষের চেয়েও বড়ো, আগে তো খেয়াল করিনি! ৬. মাঝরাতে যখন তুমি বাতিটা নিভিয়ে শুয়ে পড়ো, নতুন মানুষটাকে সত্যিই কি শক্ত করে জড়িয়ে ধরো? ৭. তুমি আর কবিতা দিয়ো না, তোমার কবিতার উত্তরে যদি এই আনাড়িহাতে মহাকাব্য লিখে ফেলি, সে দায়টা কে নেবে, বলো? ৮. এসেছি কবিতার ছন্দে জীবনের ছন্দহীনতা লুকোতে, নতুন ক্ষতের লোভে পুরনো ক্ষত শুকোতে। ৯. শোনো, কবিতার জবাবে যে মানুষটা কবিতা লেখার সাহস করে, তাকে মেরে ফেলা অত সোজা না! ১০. আমার ভালোবাসা প্রেম থেকে কামনাকে পৃথক করেছে, প্রেমিকের চোখে নামিয়েছে মায়ার অশ্রু, আর তুমি কিনা আমায় ভালোবাসা শেখাতে এসেছ!? ১১. তোমাকে লিখতে লিখতে কোমরের হাড় ক্ষয় করে ফেলেছি, নিজেই নিজের মৃত্যু ডেকে এনে আগুনে পাখনা মেলেছি! ১২. দেখে নিয়ো, একদিন এই মৃত আমার অক্ষরেরা কথা বলবে, জীবনে ভালোবাসতে না-জানা তোমার বুকটাতেও সেদিন আগুন জ্বলবে। ১৩. তোমার আমার যোগাযোগ নেই, অথচ আমরা দু-জন অন্য যে দু-জনের সঙ্গে আছি, তাদের সাথে আমাদের মনের মিল নেই! ১৪. আমার ভালোবাসার অভাব, তোমার অবহেলাই স্বভাব। ১৫. যত অক্ষরের রাজত্বই আমাকে দেওয়া হোক না কেন, তোমাকে নিয়ে ঠিক করে কিছুই লিখতে পারব না! ১৬. রাত জাগতে শিখে গেলে দেখবে, তুমি অন্য কাউকে জাগিয়ে দিচ্ছ! ১৭. তোমার মনে সন্দেহ, সবটা হারিয়ে ফেলার ভয়, যা-ই ঘটুক, আসলে কোনও ভয়ই দীর্ঘস্থায়ী নয়! ১৮. আমার মন তোমার নামে লিখে দিয়ে যাচ্ছি, অভাবে পড়লে যেন আবার বিক্রি করতে যেয়ো না! ১৯. আমাকে যেতে দিয়ো না, আমাকে যেতে দিয়ো না! কারণ শুধু আমিই জানি, এই ভয়ংকর দুনিয়ায় তোমাকে সবাই রৌদ্র উপহার দিলেও, ছায়ার ঠিকানাটা আর কেউই দেবে না। ২০. যে শরীরে আমি নিজহাতে আতর মাখিয়ে দিতাম, সেই শরীরে তোমরা কোন সাহসে কর্পূর মাখাতে চাইছ!?