১. যাকে আমি স্বপ্ন ভাবি, সে আমায় শখ ভাবে। যাকে আমি শখ ভাবি, সে আমায় স্বপ্ন ভাবে। ২. একদিন যাকে নিজেই বিদায় বলেছি অসংখ্য বার, আজ তারই বিদায় মেনে নিতে কেন এত কষ্ট হচ্ছে? ৩. যে পুণ্য দেখে না কেউই, তার পাল্লাই ভারী! ৪. হাতের রেখার দিকে তাকিয়ো না, বন্ধু; বাহুর দিকে তাকাও! তোমার রেখার সঙ্গেই যার ভাগ্য লেখা, তারই দেখানো ভাগ্যটাকে মানছ কেন? ৫. তোমার হাতে হাত রেখেই নিয়েছি বুঝে, পৃথিবীটা শীতল আরও! ৬. চলে গেলেও-বা কী এসে যায়? শেষের মানেই তো আরেকটা শুরু! ৭. তুমি যত বারই কাছে টেনেছ, আমায় তত বারই শায়েরি টেনেছে! আজ আমি শায়েরি গুনেই তোমায় গুনি! ৮. আমি জানি না, তুমি চাঁদের মতন, না কি চাঁদ তোমার মতন! আমি জানি না, তুমি গাছের মতন, না কি গাছ তোমার মতন! আমি জানি না, তুমি নদীর মতন, না কি নদীর তোমার মতন! আমি জানি না, তুমি বৃষ্টির মতন, না কি বৃষ্টি তোমার মতন! আমি শুধু জানি, তোমার যা-কিছু, তার সবটাই আমার মনের মতন! ৯. তুমি আমায় বাঁচতে শেখাচ্ছ!? আরে ভাই, আগে আমার জীবনে বেঁচে দেখো! এরপর নাহয় মাস্টারি করতে এসো! ১০. আমি তোমার সঙ্গে নেই মানে কারও সঙ্গে আছি, তা নয়। তুমি আমার সঙ্গে নেই মানে কারও সঙ্গেই আছ, তা-ই হয়! ১১. বন্ধু, রাস্তা বড়ো নয়, তোমার সাহস ছোটো! হয় সাহস বাড়াও, নয় রাস্তা বাড়বে! ১২. যে গড়তে পারে, কিন্তু বোঝাতে পারে না, সে-ই স্রষ্টা! যে বোঝাতে পারে, কিন্তু গড়তে পারে না, সে-ই দ্রষ্টা! ১৩. আমি তোমায় বোঝার চেষ্টা করি না, কেবলই অনুভব করি। বুঝলে তো কত আগেই হারিয়ে ফেলতাম! ১৪. যে সময়টাতে তুমি পাশে থাকো না, সে সময়ের বিচারেই আমি তোমার বিচার করি! ১৫. এতটা ভেঙে পড়তে আমি একলাই তো পারতাম! আমায় ভেঙে ফেলার দামটা মেটানোর আগে নিজেকে গড়ে নেবার কথা মাথাতেও এনো না! ১৬. তুমি কি সেই মানুষটাই, যার যন্ত্রণা কমাতে একদিন আমি দু-হাত তুলেছিলাম! আজ নিজের জন্য সেই দু-হাত আবার তুলি কোন মুখে! ১৭. তুমি সারারাত শিশির ঝরতে দেখো, আমি সারারাত ফুলেদের কাঁদতে দেখি। ১৮. যে আমার নয়, সে-ই আজও আমার! একদিন যাকে আমার দেখে রাখার কথা ছিল, তাকে আজ আমি শুধুই দেখি! ১৯. এত পুড়ছ কেন আজ? তোমাকে আর আগের মতো পোড়াই না বলে? ২০. আমাকে পাগল করে দিয়ে আজ কিনা বলছ, আমি পাগল!?