শুকনো দুটো পাপড়ি

আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে,
সাথে আমার বুকটাও ভাঙছে অবিরাম তোমার জন্য…
পুড়ছে এ মন, আর আমি ভস্ম হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ তোমার জন্য…
কেন এমন হলো, বলতে পারো?


সেদিনও এমন আকাশভাঙা বৃষ্টি ছিল,
যেদিন আমি তোমায় প্রথম দেখেছি।
মনে পড়ে? শেষরাতের অন্ধকার সরে গিয়ে আলো ফুটতে শুরু হয়েছিল তখন!
কী হয়ে এসেছিলে তুমি আমার জীবনে?
আলো, না কি এক জলপাই রঙের ম্লান অন্ধকার?


ঈশ্বর কি তখন সৃষ্টির আদিম দিনটার মতো করে বলেছিলেন---
এবার তবে আসুক আলো!
সেইদিন ছাতার নিচে যতটা জায়গা দিয়েছিলে,
তোমার মনের মধ্যে কি তার অর্ধেকটাও জায়গা হয়েছে আমার?


দেখো, কেমন হিসেব কষছি তোমার ভালোবাসা নিয়ে!
অথচ ওদিকে, তোমার কোথাও নেই আমি…
আর এদিকে, আমার সবটা জুড়েই শুধু তুমি।


আমি পারি না কিছুই!
আমি পারি না হতে তোমার দুঃখের মেঘ,
তোমার কান্নার বৃষ্টি হতে, পারি না তা-ও,
তোমার ব্যথার বীণা হতেও পারি না কখনও,
তোমার আর্তনাদের প্রাসাদ কিংবা কিছু অপূর্ণ আশার লেখা হতেও পারি না আমি।


কিছুই পারি না, তা-ও, তোমায় মূর্খের মতো বলি, ভালোবাসি!
আমার থাকা না থাকায় তোমার তো কিছুই যায় না এসে!
তোমার জীবনের মালা, সেও তো অন্য কারও!
এ জীবনে না-ইবা পেলাম কিছুই!
মরণে নাহয় শুকনো দুটো পাপড়ি পেয়েই পূর্ণ হব!