মেয়ে, এবার বরং তুমি মেয়ে হও।
কত কত দিনই তো এল-গেল, আসবে-যাবেও; সময়গুলো একদিন ফুরিয়েই যাবে; মেয়ে, অযথাই কেন থাকবে পড়ে ঘরের কোণে? তারচে’ বরং ভিজে-যাওয়া মনটা এবার শুকোতে দাও। জলটুকু নিংড়ে ফেলে কড়া রোদে মনটাকে এবার মর্মর ধ্বনিতে বাজিয়ে নাও।
না পাবার হাহাকারে আর কত থাকবে, মেয়ে! হেলায় হেলায় জীবনের গায়ে কম তো আর শ্যাওলা জমল না!
এবার নাহয় সেসব উপড়ে ফেলো, এবার বরং তাতে পদ্ম ফোটাও, আর কিছু হোক না হোক, অন্তত নাগচাঁপার চাষ করো, মেয়ে! ভগবানকে তুষ্ট করতে সে-ওবা কম কীসে! মেয়ে, এবার নাহয় অঞ্জলি হও।
এবার নাহয় খটমটে রাত্রি নয়, বরং ফুরেফুরে বাতাস-মাখা সকাল হও, বোঝা না হয়ে তুলো-পেঁজা হও, আকাশ হও, নদী হও, শরৎ হও, কিংবা… কিংবা ভাবনাহীন চায়ের ধোঁয়া হও; হও তানজানিয়া-হারানো ফ্লেমিঙ্গো।
মেয়ে, এবার বরং তুমি মেয়ে হও।