রোজ রাতে আমি আমার আত্মার সঙ্গে কথা কই, আমার যে আমি মুখে কথা কয়, সে কিন্তু কিছুতেই এই আমিটা নই! যে মানুষ মুখে মুখে বেশি কথা কয়, তার আত্মাই যে নেই, হয়ে গেছে তার ক্ষয়! আমার অন্তর ও আত্মা, ভালোবাসে যে ওরা সবাইকেই, মমতা করে, ভীষণ মায়াও করে, আর এই বাইরের আমি হায় অন্যের সুখে সদা জ্বলে, সদা পুড়ে মরে। আত্মা আমার শান্ত হয়ে ভেতরেই বয়ে থাকে, বাইরের আমি দৌড়াই শুধুই মধুর মৌচাকে। ধন আছে, জন আছে, তবুও আমার ক্লান্তি, অথচ আত্মার দিকে তাকিয়ে দেখি, সে বড়োই প্রশান্ত, তার মনে বেজায় শান্তি! জিজ্ঞেস যদি করি আত্মাকে, তোমার সুখের কী কারণ? মুচকি হেসে ধীরে বলে সে, মরণ, মরণ...আহা, মরণ! বলি আমি, বলিস কী রে! জীবনের তো মাত্রই শুরু! এখনই মরার কথা কেন? উত্তর মেলে, মরণ মানেই যে বাঁচার শুরু, নিশ্চিত জেনো...বরাবরই মেনো!