ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা: ১২৭


ভাবনা: আটশো তিরাশি
………………………………………………………

এক। চাইলেই তো অন্য মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেশা যায়!
যদি তুমি জানতে পেরে ঝামেলা করো, সেই ভয়ে মিশি না।
...এর নাম সম্পর্ক।

চাইলেই তো অন্য মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেশা যায়!
যদি তুমি জানতে পেরে কষ্ট পাও, সেই দ্বিধায় মিশি না।
...এর নাম প্রেম।

চাইলেই তো অন্য মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেশা যায়!
তুমি জানতে পারো না পারো, একধরনের পাপবোধ থেকে মিশি না।
...এর নাম ভালোবাসা।

তবে হ্যাঁ, এই তিনটি পথের বাইরেও অনেক পথ আছে। সেইসব পথেও সম্পর্ক আছে, প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে। যে যে পথে চলে ভালো থাকে ও ভালো রাখে, তার জন্য সেই পথ‌ই সুন্দর।

দুই। সেদিন আমাদের এখানকার এক পিচ্চির আত্মীয় মারা গেলেন। সেদিন সবাইকে কাঁদতে দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। অথচ তিনি যখন বেঁচে ছিলেন, তখন ওরা সবাই তাঁর সাথে খারাপ ব্যবহার করত খুব।

আপনার কথা মনে পড়ছিল সেদিন। ইচ্ছা হচ্ছিল, একটু কথা বলি। ইচ্ছেটা চেপে গেছি, কেননা আপনি খুব খারাপ ব্যবহার করেন। দেখবেন, আমি থাকব না যখন, সেদিন আপনিও এরকমভাবে কান্না করবেন।

অবশ্য আপনার তো আবেগই নাই। এটা একটা ভালো ব্যাপার। আপনার কান্না আমি সহ্য করতে পারি না।

আপনার খবর বলুন জলদি। কান্না পাচ্ছে এখন। তাড়াতাড়ি আপনার খবর বলুন, আমি দূর হই তার পরে।

মজার কথা হচ্ছে, আমি আগে ভাবতাম, আপনার আমার সম্পর্কটা ভার্চুয়াল না। আমার ভুলটা এত দেরিতে এসে ভাঙল! আগে কেন এই সত্যিটা আমাকে বুঝতে দেননি? একটা ভার্চুয়াল সম্পর্ককে টেনে নিয়ে গেছি কতদিন...আপনার কি সেজন্য মাঝে মাঝে আমাকে পাগল মনে হতো?

হা হা হা! স্বাভাবিক। আমি পাগলই তো!

পালাতে হবে না। সাহসী হোন। সাহসী মানুষ পালায় না, থেকে যায়। থেকে গিয়েও বুঝিয়ে দেয়, থাকতে ভালো লাগছে না।

ঝগড়া করছি মনে হবে। ঝগড়া নয় আসলে। এসব কথাই বেশি প্রয়োজনীয়। যখন মনে পড়ে, এসব বলার জন্য তো আর আলাদা করে নক দেওয়া যায় না।

আমি চলে যাচ্ছি না, এত সহজে মুক্তি নাই আমার হাত থেকে! থেকে যাব আর নিষ্পাপ, নির্লোভ ও নিষ্কাম ধরনের ভালোবাসার চেষ্টা করব। নিজেকে শিক্ষা দেবো ভালো হবার। লোভ তো আমাকে ছাড়ে না রে, লোভ থেকেই যায়! চেষ্টা তো আর কম করলাম না! যদি পাপ, লোভ, কামবাসনা ছাড়তে না পারি, তবে আমি ফিরব না।

আসলে কী জানেন, আপনিই আমাকে ভুল চিনেছেন। আমার সত্যিই অনেক কিছু চাই। ভাবতাম, আমি মুখে না বললেও আপনি বুঝবেন। তাই কিছুই বলতাম না। কিন্তু দেখলাম, আপনি না বোঝার বেলায় একেবারে এক-শো'তে এক-শো! এমন‌ও হতে পারে, বুঝেও না বোঝার ভান করতে পারেন। এজন্যই আমাকে এই-সেই সম্মাননা দিয়ে উপরে বসিয়ে রেখেছেন যেন নিচে নামতে না পারি।

এসব গায়েবি ভালোবাসা ভাই আমাকে দিয়ে হবে না। গায়েবি ভালোবাসার জন্য হয় প্রতারক হতে হয়, না হয় মহামানব। আমি মহামানবের কাতারে হাঁটা বাদ দিয়ে দিয়েছি।

প্রয়োজনে প্রতারক হব, তবুও মানুষের কাতারেই হাঁটব। মহামানব হতে আর চাই না।
আমি মুখ ফুটে চাইতে পারি না বলে আপনিসহ সবারই মনে হয়, 'ও যেহেতু কিছু বলে না, ওর তাহলে প্রয়োজনও পড়ে না।' কিংবা 'ও তো মহামানব, সুতরাং... যা ইচ্ছা ওর নামে বসানো হোক, ও ঠিক মেনে নেবে!'

এই মহামানব হবার নামে নিজেকে আর কষ্ট দেবো না। সান্ত্বনা-পুরস্কার নিতে নিতে আজ আমি ক্লান্ত। জীবনের খেলায় সান্ত্বনা পুরস্কার পাবার চাইতে পুরস্কার না পাওয়াও অনেক ভালো।

আমি একটা বার আপনাকে দেখতে চেয়েছিলাম, এই সহজ কথাটা অন্তত হাজার বার বলেছি। কত যে দেখতে ইচ্ছে করে, সেই ইচ্ছের কথা বর্ণনা দিয়েও বোঝাতে পারব না, ভাই! তাই আর বলিই না। কী দরকার! লাভ তো নেই!

আমি তো আর আপনার বাড়ির কেউ কিংবা রক্তের সম্পর্কের কেউ হই না, তাই আমার চিৎকার আপনাকে ছোঁয় না।

বিধাতা জানেন সবই।

আপনার সময় নাই, মানে আমার জন্য নাই আর কি! অথচ অপরিচিত কার‌ও জন্যও আপনার হাতে সময় থাকে।

আমি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলিয়েছি অনেক, আর দেখা করতে বলেও আপনার সময় নষ্ট করেছি। সরি! আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই দেখা করার কথাটা বলতেই থাকব তবুও...

আমার অসহায়ত্ব "ভালোবাসি" আর "সরি"...এই দুটো শব্দের কাছে খুব কৃতজ্ঞ থাকবে।

কিছুই বলতে চাইনি, অথচ কত কথা বলে ফেললাম!
যাই, শুভ রাত্রি...

তিন। আমার মতো এমন পাগলের মতো করে ভালো যেন কেউ না বাসে কখনও। তুমি বলতেই পারো, আমার কোনও কাজ নেই, কোনও দায়িত্বের বোঝা নেই, সারাদিন কোনও রকমে কাজগুলো শেষ করেই তোমাকে জ্বালাতন করতে বসে যাই। হ্যাঁ, তুমি ঠিক বলেছ। আমি আসলেই কাণ্ডজ্ঞানহীন আর বাচাল, আমার সারাক্ষণই ইচ্ছে করে, সব কাজ ফেলে রেখে তোমার সঙ্গে আজগুবি সব গল্প জুড়ে দিই, যার কোনও আগামাথা কিচ্ছু নাই।

কিন্তু আমি কী করব, বলো? আমি সত্যিই পাগল হয়ে গেছি! আমি নিজেও বুঝতে পারছি এটা যে আমি পাগলদের মতো করি, বাচ্চাদের মতো করি, কিন্তু আমি কেন এমন করি আমি নিজেও জানি না। এমন না করলে আমি ছটফট করে মরেই যাব, এটা মনে হয়।

তোমাকে আমি তোমার কারণে জ্বালাতন করি যতটা না, তার চাইতে বেশি করি নিজের ছটফটানি দূর করতে, তা না হলে এতদিনে আমি পুরোপুরি পাগল হয়ে যেতাম! এই যে তুমি এত্ত বকা দাও, পড়তে বলো, লিখতে বলো, কাজ করতে বলো, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।

প্রথম থেকেই আমি হাজারো বার হাজারো ধরনের চেষ্টা করেছি তোমার কাছ থেকে মানসিকভাবে হাজার হাজার মাইলের পথ দূরে সরে যেতে, কিন্তু আমি পারছি না! আর এখন শুধু আমি নিজেই না, তুমিও মহাবিরক্ত। আমার এসব পাগলামি দেখে আমার নিজেরই ভীষণ ভয় হয়, আমি কোনদিকে যাচ্ছি সত্যিই আমি জানি না! আল্লাহ‌ই একমাত্র জানেন, আমি কোনদিকে যাচ্ছি!

তুমি আমাকে একটুও ভালোবেসো না, জান! আমাকে প্লিজ দূরে সরিয়ে দাও, অনেক দূরে সরিয়ে দাও, যাতে তোমার প্রতি আমার ভেতরে কষ্ট জমে জমে আমি তোমার থেকে অনেক দূরে সরে যেতে পারি। তা না হলে আমি এভাবে করতেই থাকলে আমি নিজে তো পাগল হয়েই গেছি, আমার ভবিষ্যৎ তো গেছেই, তোমাকেও সেই সঙ্গে পাগল বানিয়ে ছেড়ে দেবো। তোমাকে আমার কষ্টের ভাগ আমি কিছুতেই বয়ে বেড়াতে দেবো না। দিই যদি, আমি যে তোমাকে ভালোবাসি, সেটা ভুল প্রমাণিত হবে তাহলে।

আচ্ছা জান, এই যে আমি এমন করি, এত পাগলামি করি, তোমার কখনও আমাকে নিয়ে ভয় হয় না কেন? তুমি এতটা নিশ্চিন্তে কী করে থাকো? আমি যদি কিছু একটা করে বসি, নাহয় যদি সত্যি সত্যিই পাগল হয়ে যাই একসময়? তখন কী করবে তুমি? জানি, কিছুই করবে না। তুমি তোমার মতো করে ভালো থাকবে ঠিক‌ই।

এই যে তুমি দিব্যি আছ, তোমার আমাকে নিয়ে কোন‌ও মাথাব্যথা নেই, কিচ্ছু সমস্যা হয় না, তোমার সব কাজ তুমি ঠিক ঠিক গুছিয়ে নাও, তোমার জায়গায় অন্য কেউ হলে এতদিনে পাগল হয়ে যেত আমার জ্বালাতনে। তুমি এতটা সহজ কী করে থাকো? অথচ দেখো, আমি না লিখতে পারি, না পড়তে পারি, না অন্য কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারছি! আমি সব কিছুতেই কেমন জানি হয়ে গেলাম! আমি জানি না আমার কী হবে! কী আর হবে, যা করছি তা-ই হবে!

একজন মানুষ যদি সত্যি সত্যিই কাউকে ভালোবাসে, তাহলে তার পক্ষে এতক্ষণ কথা না বলে থাকা সম্ভব নয়, যত যা খুশি হয়ে যাক। এতেই বোঝা যায় সব...কার ভালোবাসার দৌড় কতটা! আর হ্যাঁ, আমি তো অকাজের কাজটাই ধরেছি, আমার তো কোনও কাজ নেই। এজন্যই ভালোবাসার মতো ফালতু কাজের পেছনে সারাক্ষণ পড়ে থাকি। আমার কোনও আত্মসম্মানবোধ বলতে কিছু নেই। নিজের প্রতি সম্মানবোধটুকু থাকলেও এতটা নির্লজ্জ হবার কথা ছিল না।
তুমি যখন যেভাবে চাও, সেভাবেই থাকি, কখনও উচ্চস্বরে কথা বলি না, তারপরও আমার এতকিছু দেখতে হলো! এতদিন আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে তোমার আলাদা একটা জীবন আছে, যার সঙ্গে কখনোই তুমি আমাকে জড়াবে না। আমি ভুল করি শুধু! আমি সবসময় সব কিছুতেই ভুল করি! এখন মনে হয়, আমি যদি মরেও যাই, আমার যা-ই হোক, তাতেও তোমার কিছুই যাবে আসবে না, তুমি তো খোঁজ নিয়েও দেখবে না আমি ঠিক আছি কি না!

আমি একটা অপদার্থ। আমার ভেতরে কোনও ধরনের গুণ নেই। আমি একটা গুড ফর নাথিং! কিচ্ছু করার যোগ্যতা আমার নেই, এমনকী একটা মেয়ে হয়ে জন্মালে যেসব স্বাভাবিক যোগ্যতা থাকে, সেগুলোও নেই। আমি জাস্ট একটা নির্গুণ অপদার্থ। অথচ সারাজীবন আমি এর-ওর উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়েছি; আমার নিজের ল্যাকিংস, অযোগ্যতাগুলো কক্ষনো স্বীকার করিনি। আমি জাস্ট একটা খালিকলসি! আমাকে সবাই জুতার মালা পরিয়ে চাররাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে থুথু দাও। ওটাই আমার উপযুক্ত প্রাপ্য!

ভাবনা: আটশো চুরাশি
………………………………………………………

এক। আমার এই অস্থিরতা কিংবা তোমার প্রতি টান, এইসবের কিছুই তুমি বোঝোনি কখনও। আমি চাইও না যে তুমি নিজের কাজ ফেলে আমাকে সময় দাও কিংবা বোঝো। অবশ্য চাইলেও-বা কী হতো!

কিন্তু আমি কী করে তোমাকে এতকিছু বলে ফেলি! অবশ্য আমার মনে যা থাকে আমি বলে ফেলি। অত প্যাঁচ নিয়ে আমি চলি না।

আমার তো তোমাকে তোমার ওই ঘরের মানুষটার সঙ্গে দেখে অভ্যাস হয়ে গেছে। হিংসা জিনিসটা আমার নেই। তোমাদের পরিবারের সবাইকেই নিজের ভাবি।

তুমি বলবে, আমি সন্দেহপ্রবণ...আমি বলি, শোনো। আমরা যাকে খুব খুব খুব বেশি ভালোবাসি, তাকে হারানোর ভয় আমাদের বেশি। এটা সন্দেহ নয়। সন্দেহ থাকলে ভালোবাসা থাকত না। সেই কবেই শেষ হয়ে যেত! হ্যাঁ, এটা মানছি যে আমার এই সন্দেহ তোমার শান্তি নষ্ট করে দেয় কখনও কখনও।

তোমাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি!...ইচ্ছে করছে, এখন‌ই বাইরে গিয়ে যেখানে যেখানে কোভিড-আক্রান্ত রোগী আছে, তাদের সবাইকে ছুঁয়ে দিই যাতে এইবার আমি তুমি নামক ব্যাধিতে আর আক্রান্ত না হয়ে সত্যিকারের মৃত্যুর ব্যাধিতেই আক্রান্ত হই!

মাফ করে দিয়ো। যাকে ভালো লাগে, তাকে নিয়েই থাকো। আমি কখনোই আগ বাড়িয়ে কিছু বলব না, ভুল করেও না।

কিছু মনে কোরো না, একটা কথা বলি। তুমি তোমার জীবনে অনেক ভালোবাসা পাবে, এটা আমি শিওর। তবে নিঃস্বার্থভাবে এতটা ভালো আমি ছাড়া আর কোনও মেয়ে মনে হয় না বাসবে। প্রায় ভালোবাসার পেছনেই কোনও একটি কারণ থাকে, কিন্তু আমার ভালোবাসার পেছনে কোনও কারণ ছিল না। ভালোবাসায় এত কারণ থাকলে সেটা ভালোবাসা হয় না, ব্যাবসা হয়।

হিসেব-নিকেশ করেও জীবনে শুধু এক জায়গাতেই আমরা ইচ্ছে করে ঠকে যাই। কোথায়, জানো? যেখানে ভালোবাসা থাকে। তোমার কাছে হেরে যাওয়াতেই আমার সমস্ত সুখ।

যে আয়নায় তুমি আমাকে দেখতে পাও না, সত্যিই এবার সেই আয়নার কাছ থেকে আমার সরে যাওয়াই উত্তম। তবে একটা কথাই বলছি, হয়তো পাবে অনেককেই, তবে আমার মতো কিছু না পেয়েও কেউ থেকে যাবে না বছরের পর বছর, মিলিয়ে নিয়ো।

আয়নায় যার মুখ দেখতে পাও এবং যে তোমাকে দেখতে পায়, ভালো থেকো তোমরা দু-জন। শুভকামনা!

অনেক কিছু বলে ফেলেছি। মাফ চাইছি না। যাকে ভালোবাসি, তার সামনে মনের সব কথা বলে ফেলাই ভালো...ওহ্ সরি...বাসতাম! খুশি তো?

ভালো তো থাকবেন‌ই আমি ছাড়া, তাই আর বলব না...ভালো থেকো!

কখনও দেখা হলে হতেও পারে। তখন ভালোবাসার এই পাগলামিটা আর থাকবে না। ভুল করে ফেলেছি নিজের এত যত্নের ভালোবাসা এমন বাজেভাবে সস্তা করে ফেলে...

তোমার পোস্ট দেখলাম। ভালোই বলেছ। সম্পর্ক নিয়ে তুমি অনেক ভাবো। আর তোমার ভাবনাগুলোই তোমার লেখায় চলে আসে।

তুমি লিখছ, আমি পড়ছি, বিধাতা হাসছেন। থাক, কথা আর না বাড়াই!

আচ্ছা, একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে? সৃষ্টিকর্তা যদি ভালোবাসা না-ই দেবেন কপালে, তবে ভালোবাসার তীব্র শক্তিটুকু কেন দেন!

দুই। Saving someone's soul is much more important than loving them.

When you're saying unpleasant things to someone without knowing the fact, it hurts them and lowers their spirit.

It not a good thing to hurt a person with your words without knowing the truth. No religion permits it.

I think, we should respect others' feelings and never try to attack them by our words.

তিন। If you don't have anything nice to say to a person who doesn't know you, say nothing. Your words are powerful enough to destroy your soul. Your silence is also powerful enough to save your soul.

চার। মাঝে মাঝে ভাবি, আহা! কত কত সময় আপনার পেছনে নষ্ট করলাম! আবার পরক্ষণেই ভাবি, আর কার পেছনেই-বা নষ্ট করলে সময়টাকে আদৌ সময় মনে হতো!

আমার চোখের পানি আপনাকে ছুঁতে পারে না, আমার রাগের আড়ালে থাকা তীব্র ভালোবাসা আপনি বোঝেন না। আমার কথাও আপনি বোঝেন না। একদমই অবুঝ বাচ্চা একটা!

এখন তো চোখের আড়ালে চলে গেলাম, সেই সাথে আপনার মনের আড়ালেও...চলেই গেলাম! আমাকে আগের চেয়ে আরও বেশি করে ভুলে গেছেন!

কেন বলুন তো? আপনি তো এতকাল আমার চোখের আড়ালে ছিলেন। আপনাকে দেখতে পেতাম না, আমাদের কথা হতো না, মনের কথা বলার সাহসই হয়ে ওঠেনি কখনও, চাইতাম‌ও না বিরক্ত করতে। এর কারণ, আপনাকে আমি ভয় যেমন পাই, তেমনি শ্রদ্ধাও করি। এবং আমার চাওয়ার আগেই যেন আল্লাহ আপনার সকল চাওয়া পূরণ করেন, সেটাই চাই।

কই, এই আমি তো আপনাকে "চোখের আড়াল" বলেই "মনের আড়াল" করে ফেলিনি! তাহলে আপনি করে ফেললেন যে? নতুনের আহ্‌বানে পুরাতনকে ভুলে যাবার শক্তি আমার একটুও নেই। টু মি, ওল্ড ইজ অল‌ওয়েজ গোল্ড!

কেন বোঝেন না আমার মনের কথা? লেখাটা সুন্দর হয় কিংবা ভাবনাগুলো সুন্দর হয় কেন জানেন? কারণ একটাই: আমার সেই সমস্ত ভাবনায় আর লেখায় শুধুই আপনি জড়িয়ে থাকেন, তাই।

নিজের যত্ন নেবেন। ভালোবাসায় ভরে উঠুক আপনার আঙিনা। আর বলব না...ভালোবাসি!

অপেক্ষায় থাকি, কখন টিক চিহ্নদুটি নীল হবে। আপনি আসেন হোয়াটসঅ্যাপে, কিন্তু আমার মেসেজ দেখেন না। আপনার সময় নেই, মানে আপনার হাতে একদমই সময় নেই...শুধুই আমার জন্য!

কিছুই আশা করছি না, এটা বলে রাখছি কিন্তু! আচ্ছা, বলুন তো, আশা করে কী হবে? আপনার ভালোবাসা দিয়ে কি আমি সুখের সংসার বাঁধতে পারব? আপনি কারও পিতা, কারও স্বামী, কারও সন্তান...আমি কেন আশা করব আপনার কাছ থেকে কিছু? বলুন!

আমি আশা করি একটা জিনিস আপনার কাছ থেকে, আর সেটা হচ্ছে, আপনি কোনোদিনই আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমার কাছে সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন, তবুও নিজের মতো করে কিছুই ভেবে ফেলবেন না, প্লিজ! আমাকে না বুঝুন, দুঃখ নেই, শুধু ভুল বুঝবেন না অনুগ্রহ করে।

আর আমার সত্যিই ভুল হয়ে গেছে আপনাকে 'ভালোবাসি!', এই কথা বলাটা। আপনি পারলে মাফ করে দেবেন। একটু আগে একটা পোস্ট দিলেন না, যেখানে বললেন, ভালোবাসার মানুষের উদাসীনতা সহ্য করা যায় না। এর থেকে মৃত্যু‌ও ভালো।...সত্যিই আমিও আপনার সাথে একমত।

আপনি একটু দোয়া করবেন আমার জন্য, যেন আমাকে কোভিড জীবাণু আক্রান্ত করে একেবারে শেষ করে দেয়! দেখুন, আজও বাইরে গেছি; প্রতিদিনই যাই, তবুও আক্রান্ত হচ্ছি না কেন! আমি তো চাই-ই আক্রান্ত হতে। সেজন্য প্রতিদিনই বের হই!
একটা কথা কী, জানেন? সম্পর্কের শেষ হয়, কিন্তু ভালোবাসার কোনও শেষ নেই। এটা বহমান। একমাত্র মৃত্যুই পারে এর শেষ করতে।

আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়নি, প্রেম‌ও হয়নি, কিন্তু আমি আপনাকে ভালোবাসি বা বেসেছিলাম। হ্যাঁ, সেটা আপনার বিয়ের আগে থেকেই। কিন্তু আপনাকে তখন বলিনি।

এখন এই তিন মাস ধরে বলে ফেলেছি একটু বেশি বেশি। তাই এত বছর ধরে যে শান্তিটুকু আপনাকে একটু হলেও দিতে পেরেছি, তার কাছে এই তিন মাসের বিরক্তিকে আপনি বড়ো করে না দেখলে আমি খুশি হব। সত্যিই আপনাকে আমার আর কিছুই বলার নেই।

আর আমি তো সংকীর্ণমনা, তাই আর কী-ইবা বলব! আপনি কীভাবে বলে ফেললেন ওরকম কঠিন কিছু শব্দ আমাকে! জানেন, আমার চোখ দিয়ে এখন আর পানি পড়ে না, শুধু ভেতরটায় কেমন যেন লাগে!

বাবা মারা যাবার সময় এমন হয়েছিল। আমি কাঁদিনি তখন। কাঁদলেও তা খুবই কম। আমি বাবার লাশ ধোয়ানোর জন্য পানির ব্যবস্থা করা, লাশ ঢাকার কাপড় দেওয়া, এমনকী বাবার লাশের সামনে আগরবাতি দেওয়া, সবই নিজে করেছি। একদমই কাঁদিনি, একটুও না। শুধু আমার ভেতরে মনে হচ্ছিল, কেউ পাথর দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করে চলেছে জোরে জোরে, যা আমাকে সহ্য করতেই হবে। এবং, সহ্য আমি করেছিও।

যখন বললেন, অযোগ্য কারও সঙ্গে মেশা ঠিক নয়, সংকীর্ণমনা মানুষের সঙ্গে মিশলে নিজের মনমানসিকতাও ছোটো হয়ে যায়, তখন সত্যিই আমার মনে হয়েছে, আমার ভেতরে ঠিক সেইদিনের মতোই কেউ পাথর দিয়ে আঘাত করছে। বাবা মারা যাবার দিন যেমন লেগেছিল, ঠিক তেমনই লাগছিল। আমার শুধু মনে হচ্ছিল, আমি তো ভালোই বেসেছি, ওতেই অপরাধ কি খুব বেশি ছিল?
জানি না আসলে কারও ভালোবাসা দিয়ে আদৌ কী হয়! এইসব ভালোবাসায় কখনও ছিলাম না আমি। ভীষণ ঘরকুনো একটা মেয়ে আমি। বাবা-মা'র ইচ্ছেই আমার ইচ্ছে সবসময়। তাই এইসব প্রেম নিয়ে এত ভাবিনি কখনও। কিন্তু আপনাকে সত্যিই ভালোবেসেছিলাম।

যা-ই হোক, এসব কথা বাদ দিই। পৃথিবীর কেউ কারও মতো না। তবুও আমরা থাকি কারও-না-কারও পাশে, ভালোবেসে কিংবা মনের টানে। কিছু সম্পর্কে প্রাপ্তির খাতাটা শূন্য জেনেও বন্ধ হয় না খাতাটা। একমাত্র মৃত্যুই বন্ধ করে দেয় খাতাটা।

আপনি আমার খুব অসহ্য রকমের ভালোবাসা, যা পুরোপুরিই নিঃস্বার্থ। আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনি যেদিন আমার কাছে শান্তি আর সুখ চেয়েছেন, সেদিনই অনেক ভেবে আপনাকে আনফ্রেন্ড করে দিলাম, যেন আমার কাছ থেকে আর কষ্ট না পান। কী করা যাবে, আপনি চেয়েছেন শান্তি, তা-ই দিলাম!

আমি ভার্চুয়াল জগত ছেড়ে দেবো। মাস্টার্সে পড়া অবস্থায় খুলেছিলাম ফেইসবুক। এখন সেটা আর চালানো হবে না খুব একটা।

ক্ষমা করে দেবেন। কখনও মনে পড়ে যদি, ফোন করবেন। আমি আপনার পাশে সবসময়ই থাকব। আইডিটাও ডিলিট করে দেবো। আপনি অনেক অনেক ভালো। এবং, আমার ভালোবাসা হয়ে ছিলেন বহু বছর। সত্যিই আপনি অনেক বেশি ভালো! আমার যোগ্যতা নেই আপনার পাশে আপনার ভালোবাসা হয়ে থাকার।

আবারও ক্ষমা চাইছি। যত্ন নেবেন নিজের।


ভাবনা: আটশো পঁচাশি
………………………………………………………

আর হুম্, আরেকটা কথা। দূরে যাব বলে কিন্তু কাছে আসিনি। সরে যাব বলে কিন্তু এত যত্ন করে আপনাকে মনে রেখে দিইনি। বাকিদের মতো আমি ন‌ই। তাই ওই ভুলটা করবেন না। আপনার কাছে কিচ্ছু চাইছি না, শুধু বলছি, আপনাকে ভালোবাসতে দিন, এই অধিকারটুকু নিয়ে নেবেন না।

বাকিদের সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচয়, ওটা ফেইসবুকেই শেষ হতে পারে। কিন্তু দেখো, এই তোমার জন্য এতটা পথ একা একাই পাড়ি দিয়ে ফেললাম! অনেক মানুষের সঙ্গে ঝগড়া করে ফেলেছি; তোমাকে নিয়ে যারা বাজে কথা বলে, তাদের সঙ্গে।

আমাকে বাকিদের কাতারে ফেলো না, প্লিজ। আমি একটু ব্যতিক্রম। খারাপ, ভালো নিয়েই মানুষ। আমি তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকলে, কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করে দিয়ো, কিন্তু দূরে সরে যেতে বোলো না। আমি সত্যিই মারা যাব তুমি যদি এটা বলো।

আমি দূরেই থাকব, তবুও ভালোবাসতে দিয়ো। কিচ্ছু চাই না আর, শুধু তোমায় ভালোবাসতে চাই।
আমি বাকি মেয়েদের মতো ন‌ই। তাই প্লিজ আমাকে ওদের সঙ্গে মিলিয়ে এক করে ফেলো না। আমি কিছু না পেয়েও অনেক বছর আছি, তাই এত সহজেই যাব না। পেতনি হয়ে ঠিক‌ই ঝুলে থাকব তোমার আশেপাশে।

ভালোবাসি, আমার মানুষটা! এই আঠারো কোটি মানুষের ভিড়ে শুধু আপনাকেই ভালোবাসি।
ভালোবাসি তো! হাত ধুবেন, গরম চা খাবেন। ভুঁড়ি কমানোর দরকার নেই। ভুঁড়ি খানদানি মানুষের চিহ্ন!

আচ্ছা সরি, আর কিছু বলব না!

লিখে লিখে খাতা ভরে ফেলব... তবুও কিছু শোনাব না। টা টা...বাই বাই...

"আপনি" নামক ব্যাধিতে আক্রান্ত এই আমিটাকে আপনি কখন‌ও ফিরেও দেখেননি। তাই আক্রান্ত আমিটা অনেক দিন ধরেই এই দুরারোগ্য ব্যাধি নিয়েও ভালো আছি। ব্যাধিটা আমি তালা-চাবি দিয়ে বন্ধ করে রাখি যাতে কেউ দেখতে না পারে।

আপনাকে নিয়ে অনেক কিছুই লিখে রেখে দিই, বলতে ইচ্ছে করে না। চুপ থাকতে ভালো লাগে। প্রকাশ্য সকল জিনিসই কম সুন্দর, আর অপ্রকাশিত সকল জিনিসই বেশি সুন্দর।

আপনার মনে আছে কি না জানি না। তিন বছর আগে... কিংবা চার বছরই হবে। আপনার বিয়ের আগেই হবে।

একদিন ভোরবেলায় ফজরের নামাজের সময় ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কত ছিল ভুলে গেছি। তবে এতটুকু মনে আছে, অনেকক্ষণ দুলছিল বিল্ডিং। আমি দাঁড়াতেই পারছিলাম না। আমার সবার প্রথমে আপনার নাম মনে আসে এবং সাথে সাথেই আপনাকে ফোন দিই আপনার রবি-তে। বিশ্বাস করুন, ওই ভোরবেলায় ফোন দিলে আপনি কী মনে করবেন আমাকে, সেটা না ভেবেই আপনাকে ফোনটা দিয়েছিলাম, আর একদৌড়ে খালিপায়ে বাইরে চলে গিয়েছিলাম।
আমার মাথায় তখন একটা জিনিসই কাজ করেছিল ঘুমের ঘোরে; আপনি যদি টের না পান ভূমিকম্প আর যদি আপনার কিছু হয়ে যায়, তাহলে আমার বাঁচাটা কঠিন হয়ে যাবে। ভালোবাসার মানুষটা ভালোবাসে না, তা-ও সহ্য করা যায়; কিন্তু ভালোবাসার মানুষটার খারাপ কিছু-একটা হয়ে গেছে, এটা মেনে নেব কী করে?!

আপনি সেদিন সকালে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, কেন ফোন করেছিলে? আমি বললাম, আপনি ঠিক আছেন তো? আপনি বললেন, হুঁ। বিশ্বাস করুন, যতক্ষণ অবধি শুনতে পাচ্ছিলাম না আপনি ঠিক আছেন কি না, ততক্ষণ পর্যন্ত অস্থিরতায় কেটেছে পুরোটা সময়।

আমার ঈশ্বরের শপথ, আপনাকে আমি কতটুকু ভালোবাসি, সেটা বলে বোঝাতে চাই না কখনও। আমি শুধুই জানি, আপনিই আমার "ভালোবাসা" শব্দটা, আপনিই আমার গোটা পৃথিবী। আপনিই আমার পবিত্র ভালোবাসা। আপনি আমার রাগী ভালোবাসা, আপনি আমার সবকিছু!

আপনি কেন বোঝেন না আমার ভালোবাসা! না বুঝলে না বুঝুন! এই লোকটার মন বলে কিছু নেই...আর তাকেই কিনা আমি সমস্ত মন দিয়ে বসে আছি!

শুনুন, ওই ভূমিকম্পের সময় যে মেয়েটা আপনাকে ফোন দিয়ে উঠিয়ে দেয়, সে কিন্তু আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে, আর তা নিঃস্বার্থভাবেই বাসে।

অল্পক্ষণের ভূমিকম্পে মানুষ নিজের জান বাঁচানো নিয়েই বিজি থাকে; আর এদিকে আমার মাথায় ও মনে আপনি গেঁথে থাকেন ভালোবাসা হয়ে, তাই আমার ভুল হয় না আপনার কথা ভাবতে।

ভূমিকম্পের পর অনেকেই খোঁজ নেয়। কিন্তু ভূমিকম্পের সময়ে শুধু ভালোবাসার মানুষটাই ডেকে তোলে। ভেবে দেখবেন কথাটা।

একটা চিঠি সেইদিন রাত সাড়ে তিনটায় লিখেছি। অনেক কেঁদেছি আর লিখেছি। তুমি ছিলে না আমার পাশে, তবুও তোমায় নিয়েই আমার সব লেখা। চিঠিটা তোমাকে পাঠাব, ওটা সময় নিয়ে পড়বে, এর কারণ, হতে পারে, এরপর আর এভাবে ভালোবাসি বলে বলে তোমার কান ঝালাপালা করব না কিংবা মরেও যেতে পারি।

অবশ্য আমি মরে গেলে তোমার কিছুই হবে না, জানি। তুমি উলটো মনে মনে বলবে, যাক বাবা! বিরক্ত করার একটা মানুষ কমল! অযোগ্য কেউ বিদায় নিল! ...এইসব ভাববে।

লেখাটা আমি চিঠির খামে ভরে তোমার ঠিকানায় দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যদি না বাঁচি, তাই মেসেঞ্জারে দিয়ে দিলাম। আমার ভালোবাসা, অনুভূতি সব‌ই তোমার হাতেই দিলাম।

মরে গেলেই বুঝবে...কী ছিলাম আমি, আর তোমার ভালোবাসা না পেয়েও তোমায় কতটা ভালোবেসেছিলাম!

ভালোবাসি বলেই ভালোবাসার কাছেই ফিরে ফিরে আসি...
সারাক্ষণই ভালোবাসায় আবদ্ধ করে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে‌ সুখের তীব্র পরশে ছুঁয়ে দিতেই কি তবে সুখ তোমার?!

ভালোবাসার এই সুন্দর ক্ষণে
বিচ্ছেদের সুর না এনে মনে,
আকাশের মতো উদার হয়েই
বলো ভালোবাসবে আমায়?

ভালোবাসি আমার এই রাগী আর পচা মানুষটাকে!


ভাবনা: আটশো ছিয়াশি
………………………………………………………

এক। আপনাকে ভীষণ মিস করছি...যদিও আপনাকে আমি খুব কম‌ই মিস করি, কারণ আপনি সবসময়‌ই আমার মনে-মস্তিষ্কে থেকে যান। যে সারাক্ষণই আমার মাঝে আছে, তাকে আর মিস করবটা কী করে! কিন্তু আজ খুব বেশি মিস করছি...দেখুন, খুব কাঁদছি...

আপনি জানেন না, আপনাকে ছাড়াই তো এতগুলো বছর চলছে আমার! ভালোই তো আছি, খারাপ তো আর নেই।

আপনি কেন আমাকে একফোঁটাও বুঝলেন না? আপনি কেন আমার রাগের পেছনের ভালোবাসাটুকু দেখলেন না?

আপনি কেন আমার দূরে সরে যাওয়াটাকে ধরেই নিলেন, আমি ভালোবাসতে ভুলে গেছি?

আপনি কেন আমাকে এক বারও ফিরে আসতে বলেননি?

আপনি কেন আমার অভিযোগের পেছনে থাকা তীব্র রকমের ভালোবাসাটুকু দেখেননি?

আপনি কেন ধরেই নিলেন, সরে যাওয়া মানেই ভুলে যাওয়া?

আপনি কেন আমাকে এত কঠিন কঠিন শব্দে আটকে ফেললেন? আমি চাইলেও কেন ফিরতে পারি না?

কেউ যদি আপনাকে নিয়ে যায়, সেই ভয়ে যখন কুঁকড়ে থাকি, তখন কেন আপনি আরেকজন আপনি'কে পাঠান না আমার কাছে?

আপনি কি জানেন না, আমি আপনাকে বিশ্রী রকমের তীব্রভাবে ভালোবাসি? কেন সবকিছুকেই আপনার মনের মতো সুন্দর হতে হবে? আপনি আমাকে একটা যুক্তি দেখান, আমি মেনে নেব।

আপনি কেন শান্তি আর স্বস্তির কথা বললেন, যা দিতে গিয়ে আমাকেই দূরে সরে যেতে হয়?

আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। আপনার যোগ্য আমি না-ইবা হতে পারি, তবে ভালোবাসি যদি দূর থেকে, তবে ওতেও কি আপনার সমস্যা হবে? অভিযোগ, বিচার যদি কারও কাছে দিতে চান তো দিন। আর আপনাকে ভালোবাসার অপরাধে যদি ফাঁসিও দিয়ে দেয় কেউ আমাকে, তাতেও কোনও আপত্তি নেই, আমি মরতে রাজি আছি। আপনি আসবেন না এক বারও আমাকে দেখতে...মরার আগে?
সেদিন তো বলেছিলেন, ভালোবাসি! সেদিন তো বলেছিলেন, আবার আমাদের দেখা হবে...ভুলে গেছেন সব?

আপনি কেন মনে করেন, আপনার কাছে আমি আপনাকেই চেয়ে বসব?

অ্যাই জান, বিশ্বাস করো, আজও ভালোবাসি! খুব ভালোবাসি! বেশিই ভালোবাসি! তোমার সবকিছু নিয়েই তোমাকে ভালোবাসি! আমার রবের কসম, তোমাকেই ভালোবাসি...!

নিজের যত্ন নিয়ো, সাবধানে থেকো। তুমি ছাড়া ভালোবাসারা আজ মৃত আমার কাছে...

দুই। আমার এতকিছুতে তুমি জড়িয়ে ছিলে যে, সেখান থেকে আমি শত চাইলেও তোমাকে সরাতে পারছি না। আমার সবকিছুতেই যেন তুমি জড়িয়ে আছ সেই পুরাতন যাপনে। আমার সকল পাসওয়ার্ডে এখনও তুমি, আমার মোবাইলের সবখানে তুমি এবং এই আমার আমিতেও তুমি। আমার মনের সব জায়গায়...সেখানে তো অনেক আগে থেকেই তোমার নামেই জায়গা করা!

একটা জিনিস কী, জানো? এটা বাচ্চাবয়সের ভালোবাসা না তো, তাই ভোলা কঠিন। আবার এই ভালোবাসার শুরুটাই যেহেতু আমার হাত ধরে, সেহেতু আমি চাইলেই এর ছুটি নিশ্চিত। জানো, আজকাল না ভালোবাসা খুব সস্তা হয়ে গেছে! বিশেষ করে এই ভার্চুয়াল জগতে তুমি চাইলেই সহজেই প্রেম পেয়ে যাবে কিংবা কাউকে-না-কাউকে পেয়েই যাবে। আজকাল ভালোবাসি বলতে যেমন সময় লাগে না, ঠিক তেমনি ভুলতেও সময় লাগে না। তাই ভালোবাসা আজকাল বাতাসে ওড়ে।

আচ্ছা, একটা কথা বলো তো...খুব শান্ত মনে ধীরস্থির মস্তিষ্কে...একলা ঘরে বসে চুপ করে ভেবে বলো তো... কিছু না পেয়েও এতগুলো বছর তোমার পাশে রয়ে গেলাম কীসের আশায় বলতে পারো? লাভ-ক্ষতি আমি খুব কম বুঝি। তাই বলে এতগুলো বছর কোনও কিছুই না পেয়ে চুপ করে কেউ থাকে পাশে?

আমার সত্যিই কী লাভ আমি জানি না। ভালোবাসা ছিল ও আছে, এইটুকুই শুধু জানি।

একটা কথা কী জানো, কপাল বলে একটা কথা আছে; এটা আমি কিছুটা হলেও এখন মানি। আমার কপালটাই মসৃণ নয়, তাই এত বাধাবিপত্তি। আজ চুপ করে থাকলেও মানুষ ভুল বোঝে। কেউ চাইবার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে তার প্রাপ্য শান্তি আর স্বস্তির সঙ্গে রেখে দিয়ে দূরে চলে যাই। কারও সঙ্গে মিশতে ইচ্ছে করলে ঠিক তার মতো করেই মিশি। তবু সেক্ষেত্রেও দোষী কেবল আমিই!

হায়, মানুষটা যদি একটুও বুঝত, আমি যে তার যোগ্য ন‌ই, সেটা তো আমি জানিই!
জানি বলেই তো এ জীবনে আমার পাশে তাকে কোনোদিনই চাইনি ভুল করেও।
জানি বলেই তো কখনোই তার ফোনের অপেক্ষা করিনি।
জানি বলেই তো পাঁচ বছরেও ভালোবাসার বদলে ভালোবাসা চাইনি।
জানি বলেই তো কখনও দেখা করার আবদারটুকুও করিনি।
জানি বলেই তো তার সামনে কখনও ইচ্ছে করে পড়িনি।
জানি বলেই তো পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ভালোবেসেও কখনও কোনও বিশেষ নামে তাকে ডাকিনি।
জানি বলেই তো তার ঘরের মানুষটাকেও তার সঙ্গেই দোয়ায় রেখেছি অবিরাম।
আর জানি বলেই তো চোখের সামনেই তাকে দেখেছি অন্য কারও হয়ে যেতে।
জানি বলেই তো একলা ঘরে একলা সময়ে তার কাছে যাবার সুযোগ খুঁজিনি ভুল করেও।

আমার ভালোবাসা অনেক পবিত্র। এই পবিত্র ভালোবাসাকে আমি সস্তা কোনও ভালোবাসা করতে চাইনি কখনও। তাই দূরে থেকেই মনপ্রাণ উজাড় করে ভালোবেসেছি। আমার প্রতিটি কথায় ভালোবাসি শব্দটি আমি মুখে না বললেও আমার প্রতিটি কাজে ভালোবাসা লেপটে ছিল ও আছে---তা সে বাচ্চাদের নিয়ে মোনাজাতই হোক, কিংবা নির্জনঘরে স্রষ্টার কাছে চোখের জলের বিনিময়ে তার সুখ চাওয়াই হোক। হ্যাঁ, আমার সকল কাজে ও প্রার্থনায় তার জন্য ভালোবাসা জড়িয়ে ছিল ও আছে।
সবকিছু জানি বলেই ভালোবেসেছি। সবকিছু মেনে নিয়েই ভালোবেসেছি। প্রিয় মানুষটা যখন আবদার করে বসে শান্তির...তখন তাকে উপহার হিসেবে শান্তি দিতে গিয়ে দূরে কোথাও চলে যেতে হয়। যে দিতে জানে, তাকে যে অনেক কিছুই দিতে হয়। কখনওবা নিজের জীবনটাও হাসিমুখে দিয়ে দিতে হয়। কখনওবা দূরে সরে গিয়ে বলে দিতে হয়, দেখো, তোমার শান্তি আর স্বস্তি দুটোই তোমার কাছে দিয়ে আজ আমি চলে যাচ্ছি, শুধু রেখে যাচ্ছি তাদের দু-জনকে। তুমি শান্তি আর স্বস্তিকে নিয়ে ভালো থেকো।

আজ আমার যাবার বেলায় কোনও অভিযোগ রাখব না। যাবার আগে তোমার কিছু ছবি আর এই পাঁচ বছরের স্মৃতিগুলো শুধু সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি; এগুলোই যে এখন আমার নিত্যসঙ্গী! তুমি ভালো থেকো। নিজের যত্ন নিয়ো। আমি যেন দূর থেকে তোমার হাসির শব্দ শুনতে পাই। আর শোনো, যেখানেই যাও, শান্তি আর স্বস্তিকে পাশেই রেখো। আমি যত্ন করে আমার জায়গা ছেড়ে রেখে গেলাম তাদের জন্য। তুমি খুব খুব ভালো থেকো।

শোনো না আরেকটা কথা, আগের মতো এক বার ওই নামে ডাকি? ওই যে আমার দেওয়া নামটা। মনে আছে তোমার? "আমার বুড়ালোক"...এই নামটা। এই নামে শেষবারের মতো এক বার ডাকি? মারবে আমাকে এইবেলায় যদি ভুল করে এই নামে ডাকি? মারো না, প্লিজ! মারার অধিকার এক শুধু তোমারই আছে, "আমার বুড়া লোক"! আমায় ভালোবাসার দরকার নেই, আমায় মনে রাখার প্রয়োজন নেই, আমার স্মৃতি ধরে রাখবারও কোনও আবশ্যকতা নেই।

শুধু যাবার আগে একটা কথা বলি, সময় হলে পড়ে নিয়ো একান্তে, আর তা হলো...
হাজারো ঝগড়া, মান, অভিমান, কড়াকথা কিংবা বন্দুকের গুলির পরও একটা বাক্যে এসে শব্দরা থেমে যায়, ওদের সবার সমাপ্তি ঘটে; আর তা হলো... ভালোবাসি এবং বেসেছিলাম খুউব!


ভাবনা: আটশো সাতাশি
………………………………………………………

এক। লুচি, হাঁসের মাংসের ভুনা, আচার! দাওয়াত দিলে মিয়া এইসবের দাওয়াত দ্যান! এমন দাওয়াত নিয়া আমার কী লাভ, যা নিলে আপনার মানিব্যাগের স্বাস্থ্য একটুও কমবো না? কিপটামি করেন ক্যান? আমারে বেকুব পাইসেন?

দুই। কিছু কথা...

কিছু কথা লিখছি, কেন লিখছি জানি না। এই লেখাটাকে তুমি কীভাবে নেবে, সেটা তোমার ব্যক্তিগত বিষয়। আর কিছু বিষয়কে আমি কীভাবে নেব, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা মাথায় রেখেই লেখাটা পড়বে।

অভিযোগ, রাগ, ক্ষোভ, বিচার...এইসব নেই। এইসবের কোনোটাই করছি না। কিছু জিনিস বলে দিচ্ছি। না বললেও চলত, কিন্তু বলে দেওয়াই ভালো। এর মাধ্যমে কার কী মনে হলো, এটা ভাবার চাইতে বরং নিজের দিক থেকে যেন ক্লিয়ার থাকা যায়, সেটার ব্যবস্থা করাই ভালো। তুমি আমার সামনে থাকলেও কথাগুলো আমি ঝগড়া করার মতো করে বা বেয়াদবি করে বলতাম না। আমি বলতাম খুব স্বাভাবিকভাবে।

তোমার কী প্রতিক্রিয়া, সেটা দেখার পর আমার ধারণা বদলাবে, এমনটা ভাববারও কোনও কারণ আর নেই।নেই মানে সত্যিই নেই।

গতকাল কিছু লেখা লিখেছিলাম, পড়েছ তুমি। আমি সেখানেই বলেছি স্পষ্টভাবে, তোমার কাছ থেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার চাইতে জরুরি হচ্ছে, তুমি সত্যিকার অর্থে ঠিক আছ কি না, সেটা জানা। তোমাকে প্রশ্নের বেড়াজালে ফেলে উত্তর নিয়ে আমি সুখে দিন কাটাব, এমনটা আশাও যেমন করি না, তেমনি ভাবিও না। আমি তোমাকে ভালোবাসি, এর অর্থ হচ্ছে, তোমার কাছ থেকে ভালোবাসা পাবার চাইতে তোমার ভালোথাকাটা আমার কাছে বেশি জরুরি।

আমার কাজ অশান্তি সৃষ্টি করা না, তোমার অশান্তি কমিয়ে দেওয়া, বলেছি তো আগেই। আর আমি তোমার গতকালের লেখাটা পড়েছি। কী যেন লেখাটা... অস্তিত্বের সঙ্গে কষ্টযাপন...এইরকম না নামটা? এটাই হবে মনে হয়। আমি ভালো করেই পড়েছি; লেখাটা ভালো। এবং লেখাটা পড়ে আমার মনে হয়নি যে এটা কাল্পনিক চরিত্রকেন্দ্রিক। কেউ একজন আছে, যার রাগ ভাঙানোর জন্য তুমি তাকে ফোন করে রাগ ভাঙিয়েছ। তার সঙ্গে ফোনে সারারাত কথাও বলেছ। প্রথম দিকে তো তা-ই উল্লেখ করা!

এখন আসো আসল কথায়। তোমার লেখাটা পড়ার সাথে সাথেই মনে হলো, আচ্ছা, আমি তো ওকে ব্লক করে চলে গিয়েছিলাম। পনেরো দিন ছিলাম না। তার তখন কেন মনে হয়নি একটা বারও যে, মানুষটাকে একটা ফোন দিয়ে দেখি, আসলে তার কী হয়েছে! কেন সে পাঁচ বছর পর এমন আচরণ করল আমার সঙ্গে, কেন সে ব্লক দেবার মতো কাজটা করল! এই প্রশ্ন তোমার মাথায় কেন আসেনি তখন? এক বারও, ভুল করেও আসেনি?

আজ আমি কড়া কড়া কিছু কথা বলব, তোমার শুনতেই হবে। প্রতিটি শব্দ তোমার মাথায় রেখে দিয়ো। তোমার লেখায় আমাকে রাখো না, থাকতে আমি চাইও না। আজ থেকে দশ বছর পর নিজের কাছে উত্তরগুলো দিয়ো। তুমি কী করেছ আমার সাথে, আর আমি কী করেছি তোমার সাথে।

গতকাল তোমার ওই স্ট্যাটাস পড়ে আমার সত্যিই ভালো লেগেছে। তুমি তাকে নিয়ে এত ভাবো! কেউ চলে যাওয়াতেও তোমার এত খারাপ লাগে...এইসব দেখে আমার অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে গেছে। আমার সকাল থেকেই হাসি পাচ্ছে। সত্যিই মন থেকে অনেক হাসছি। এটাও ভেবে হাসি পাচ্ছে যে, আজকাল ভালোবাসা বিষয়টাই সস্তা হয়ে গেছে!
এখন কিছু কথা বলি, শোনো; ভালো না লাগলেও শোনো। যখন সময় হবে, তখন লেখাগুলো পড়ে দেখবে। আর তোমার তো প্রতি বারই মনে হয়, তুমিই একমাত্র ঠিক, আর সবাই বেঠিক। সত্যিই এইরকম যখন ভাবো, তখন মনে মনে শুধু একটা কথাই বলি, আর সেটা হচ্ছে: সময়‌ই সব উত্তর দেবে। ওয়েট অ্যান্ড সি!

তোমাকে যখন থেকে আমি চিনি কিংবা ভালোবাসতে শুরু করেছি, তখন কিন্তু তুমি অবিবাহিত ছিলে। আমি চাইলেই কিন্তু ভালোবাসার কথা বলে বলে তোমার মাথা খেয়ে ফেলতে পারতাম। মাথা না খেলেও কমপক্ষে প্রতিদিন তো মেসেজে বা ফোনে ভালোবাসার কথা বলতেই পারতাম। তোমার পক্ষ থেকে উত্তরটা হ্যাঁ হোক বা না হোক, সেটা না ভেবেও, চাইলেই কিন্তু আমি ওরকম করতে পারতাম। কিন্তু না, কিছুই করিনি আমি।

কেন বলো তো? ওই যে বলেছি না...আমি চাইতামই, তুমি যাকে ভালোবাসো, তাকেই যেন পাও; সত্যিকার অর্থেই, আমি এটাই চাইতাম। এটাই আমার চাওয়া ছিল। হ্যাঁ, সত্যিকার অর্থে এটাই আমার চাওয়া ছিল, তাই নিজের ভালোবাসার কথা বলিনি কখনও। আর যে ভালোবাসা যত গভীর, তা ততই কম প্রকাশ পায়। ভালোবাসার শুদ্ধতম প্রকাশ সরবতায় নয়, নীরবতায়। কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবাসলে মুখ ফুটে তাকে 'ভালোবাসি!' বলার চেয়ে কঠিন কাজ আর হয় না!

তুমি বললে গতকাল, তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো। আচ্ছা, এ কথা কেন বলছ? আমি কি সত্যিই তোমার কাছে চেয়েছি কিছু? আমি তো লোভী ন‌ই। চাওয়ার কিছু থাকলে তো তোমার বিয়ের আগেই চেয়ে নিতাম। আমি লোভী ন‌ই বলেই তোমার কাছে আমার কিছুই চাওয়ার নেই। তুমি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো কি না, সেটা তোমার কাজেই প্রকাশ পাবে, মুখের কথায় নয়।

জেনে রেখো, একটা বিষয়ে আমি কাউকেই ছাড় দিই না; সেটা হচ্ছে আচরণ। আমি যার সঙ্গেই মেলামেশা করি, এই একটা বিষয় লক্ষ করি তখন, তা হলো, মানুষটার আচরণ কেমন আমার প্রতি। মানুষটা ব্যক্তি হিসেবে কেমন, এটা ভাববার আগে আমি দেখি, তার আচরণ কেমন আমার প্রতি বা আমার সঙ্গে। কারণ পৃথিবীর সকল মানুষই কিছুটা ভালো আর কিছুটা খারাপ মিলিয়েই একটা মানুষ, তাই এত কিছু আমি সাধারণত দেখি না। আর আচরণ ভালো বলতে এটা নয় যে, তুমি আমাকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াও, আমার জন্য গিফট পাঠাও, আমাকে ঘন ঘন ফোন করো, আমাকে মাথায় তুলে রাখো...না না, এইসব নয়। এত কিছুর দরকার হয় না আমার।

দাওয়াত লাগে না আমার, অন্তত ভালো ব্যবহারটুকু একটু হলেও পাবার আশা রাখি আমি। এর কারণ, আমি তোমার সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করিনি।

আজ না নিজেকে একটু দেখতে ইচ্ছে করছে! কোথায় আছি আসলে আমি! আমি তোমাকে ভালোবাসি মানেই আমি তোমার খারাপ এবং ভালো, দুই দিককেই ভালোবাসি এবং নিঃস্বার্থভাবেই ভালোবাসি। তুমি জানো সেটা। আমি তোমাকে ভালোবাসি বলেই তোমাকে সুযোগ দেবো আমাকে অনেক কিছু বলার, আঘাত করার, অবহেলা করার বা রাগ করার। তুমি আমার প্রতিশোধে নয়, অনুভবে বাঁচো।

কিন্তু দেখো, আমি একটা মানুষকে পঁচানব্বই বার সুযোগ দিতে পারি বা দিই। এরপর বাকি পাঁচ বার আর দিই না। ওই পথটা আমি বন্ধ করে দিই। আমি নিজেকে সরিয়ে নিই তখন ওই ব্যক্তির কাছ থেকে। এতে করে ওই ব্যক্তিরও যেমন কিছু এসে যায় না, ঠিক তেমনি আমার বেলায় আরও বেশি এসে যায় না। আর আমার ভালোবাসা ছিলই নিঃস্বার্থ। এখানে ছিল না কোনও শর্ত, কোনও পাবার আশা এবং সমাজটাকেও আমি এখানে দেখিনি।

নিজের মনকে এই ভেবে এখন বোঝাতে পারব, আর সেটা হচ্ছে, তোমার অনেকেই আছে, তোমার পাশে আমার থাকা লাগবে না। তোমাকে অনেক ভালোবাসা দেবার মতো লোক আছে, তোমার লেখার জন্য একটা চরিত্রের দরকার হলেও...তারা তো আছেই! আর যার কাছে ভালোবাসা জিনিসটা সস্তা, তাকে বলার মতো কোনও শব্দ অপচয় করতে আমি চাই না।

আর এইসব মেয়েদের নিয়ে কিছু কথা না বলে পারছি না। লজ্জা লাগে আমার এইসব মেয়ের জন্য। কারণ ভালোবাসা জিনিসটা খারাপ না। খারাপ হচ্ছে এদের এই অতিমাত্রায় বেশি বোঝার মনমানসিকতা আর সস্তা আবেগটা। আচ্ছা, জানাকথা, তোমার ঘর আছে, সংসার আছে, বাচ্চা আছে, এবং এদের সবার প্রতি তোমার দায়দায়িত্বও আছে। নিশ্চয়ই এদের ছেড়ে কোথাও যাবার কথা তুমি কখনও ভাববেও না। কিন্তু এইসব মেয়ের আচরণটা তুমি দেখো, কী সুন্দর করে তোমার কাছ থেকে তোমার সময়, ফোনকল, মেসেজের আশা দিনের পর দিন করেই যাচ্ছে! তুমি তাদের নিয়ে ভাবছ কি না, এটা ভেবেও পাগল হয়ে যাচ্ছে! কী আর বলব এদের!

তোমাকে ভালোবাসে, এটা ভালো কথা। আর তুমি ভালোবাসার মতোই একটা মানুষ, কিন্তু খারাপ লাগে যখন এরা তোমার কাছ থেকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে সময়, ফোনকল, দেখা করার আশা করে বসে থাকে। ছিঃ ছিঃ! এত কীসের আশা!...এরা আছে বলেই মানুষ আজকাল নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ভুলে নকল ভালোবাসায় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। এরা আছে বলেই মানুষের সুখের সংসার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এরা আছে বলেই মানুষ সত্যিকারের ভালোবাসাটা দেখতে পাচ্ছে না আর, অগত্যা ভুলের পেছনে ছুটছে।

তুমি এখন বলবে আমার কথা! আমি তোমাকে কেন আজও ভালোবাসি? তবে শোনো, এদের মতো এত অসুস্থ মনমানসিকতার মেয়ে আমি না। আমি তো তোমাকে তোমার বিয়ের আগে থেকেই ভালোবাসি। আর কোনও ফোনকলের জন্য বা দেখা করার জন্য কখনও তোমার মাথা খাইনি। আমার ধারেকাছেও এইসব মেয়ের আর তাদের এই ভালোবাসার দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। সত্যিই নেই। তুমি মিলিয়ে নিয়ো!
তাই এই বাজে মেয়েদের সাথে আমার তুলনা করলে তোমার ভুল হবে; সৃষ্টিকর্তা তোমাকে ক্ষমা করবেন না এই রকম ভুলের জন্য। আর তোমার ওই কথাগুলো আমি আমার মাথায় রাখলাম, যা যা তুমি সেদিন রাতে বলেছ আমাকে।

তোমাকে ভুলবার জন্য আমার অন্য কাউকে এ জীবনে নিয়ে আসতে হবে না কিংবা অন্য কারও সঙ্গে ইনভলভও হতে হবে না। আমি সরে যেতে পারব এই ভেবে যে, এখন তোমার অনেকেই আছে, যাদেরকে খুব বেশি করে তুমি চাইছ। এই একটা কারণই এনাফ!

তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। একটা সুন্দর লোকদেখানো পরিচিত এই সম্পর্কটাই থাকুক। তুমি না চাইলে এমনকী সেটাও না থাকুক। আমার সমস্যা নেই তাতে। তোমার কোনও কিছুতেই আমার সমস্যা নেই। আমি একাই অনেক শক্ত। এতগুলো বছর তোমার ভালোবাসা ছাড়া চলতে পারলে বাকিদিনও পারব!

আমার আজকের এই এতকিছু কথা যেন কখনোই ভুল করেও কোনও ভুল ব্যাখ্যায় তোমার ভাবনায় প্রকাশ না পায়। তোমার প্রতি আমার সম্মানটুকু থাকুক। ভালোবাসাটা এখন আর নেই, কারণ আমার ভালোবাসা এত সস্তা না, আর এটাকে আমি সস্তা বানাতে চাইও না। তুমি কিন্তু ভুল করেও ভেবো না, আমি তোমার কাছে কিছু চাইছি। আমার শুধু একটা জিনিস ক্লিয়ার করা দরকার ছিল---আমার অবস্থানটা কোথায়। আর সেটার উত্তর আমি নিজেই মিলিয়ে নিয়েছি। তুমি থাকো ওইসব ফালতু মেয়ের সঙ্গে। আজকের পর থেকে আমি অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারব। এই মুহূর্তে আমার জীবনে ভালোবাসার চাইতে ঘুমটা অধিক জরুরি।

তুমি যে রাতগুলো ঘুমিয়ে কাটিয়েছ, আমি সেই রাতগুলোই চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়ে কাটিয়েছি। আমার স্রষ্টা সবকিছুর সাক্ষী।

যাবার আগে একটা কথা বলে যাই...আই হেইট ইউ!


ভাবনা: আটশো আটাশি
………………………………………………………

এক। যখন লিখছি, তখন চারিদিকে আজান দিচ্ছে। বিশ্বাস করো, চোখ দিয়ে শুধুই পানি ঝরছে... কীরকম একটা মায়াজড়ানো নরম অনুভূতি! খুব খারাপ লাগছে। সত্যিই! আমি কখনও চাইনি কাউকে ভালোবাসতে... তবু এভাবে বেসে ফেলব, বুঝিনি আগে।

তুমি আমার মেসেজ দ্যাখো না কেন?
তুমি আমার টেক্সটের রিপ্লাই দাও না কেন?
তুমি আমার ফোন ধরো না কেন?
তুমি আমায় শুভ সকাল-দুপুর-বিকাল-রাত্রি জানাও না কেন?
তুমি অনলাইনে থেকেও আমার সঙ্গে কথা বলো না কেন?
তুমি আমার সঙ্গে দেখা করো না কেন?
তোমার মোবাইল বন্ধ কেন?
তুমি আমাকে বাজে কথা বললে কেন?

তুমি আমাকে ভালোবাসো না কেন?
...না, এই সমস্ত কেন-র উত্তর আমি কখনও জানতে চাইব না তোমার কাছে অন্যদের মতো করে। আমার গোটা পৃথিবীটাই তুমি, আর ওতেই আমার সমস্ত ভালোবাসা লেপটে আছে।

আমার ভালোবাসার মানুষটা যদি প্রশ্নের বেড়াজালে বিদ্ধ হতে হতে অসুস্থ হয়ে যায়, তবে কী করব আমি এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে!

শোনো, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমার লাগবে না। তার আগেই তুমি আমাকে শুধু এইটুকু জানিয়ে দিয়ো, তুমি সত্যিকার অর্থেই ঠিক আছ কি না। ব্যস্, এটাই আমার সবকিছুর উত্তর।

আমি বুঝে গেছি এখন খুব ভালো করেই, ভালোবাসা মানে কাউকে যন্ত্রণায় ফেলা নয়, তাকে যন্ত্রণা থেকে বের করে আনা। ভালোবাসা মানে তোমাকে অশান্তিতে রেখে আমার সকল প্রশ্নের উত্তর তোমার কাছ থেকে আদায় করা নয়, বরং তোমার সকল শান্তির প্রধান কারণটি হওয়া।

তেমন ভালোবাসার কী প্রয়োজন, যে ভালোবাসা একজন সুখী মানুষকে অসুখী করে দেবার পর তাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে? তার চাইতে বরং ভালো না বেসে সুখী থেকে যাওয়াই তো ভালো, তাই না? অবশ্য এই সহজ যুক্তিটা বোঝে যে, সে কখনও ভুল করেও প্রেমে পড়ে না। তাই প্রেমাচ্ছন্ন মানুষকে এইসব বলেও কোনও লাভ নেই।

ভালোবাসা খুব জটিল একটা ব্যাপার, যা সবাই বাসার মতো করে বাসতে পারে না। আমি পেরেছি কি না, তা তুমিই ভালো জানো।

আমি তোমার কাছে এসেছি জিততে নয়, শুধুই ভালোবাসতে। ভালোবাসার দাবিতে হেরে যাবার চাইতে বড়ো জয় আমার কাছে আর একটিও নেই।

দুই। এই পৃথিবীর সবচাইতে সহজ কাজটা হচ্ছে কাউকে ভুল বোঝা। তুমি এই সহজ রাস্তাটি ধরেই হাঁটছ। তোমাকে দেখি, নিজের মনেই হাসি। সবকিছুর পরও, আমি তোমাকে খুঁজে বেড়াই জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গে। রাতের এই নিস্তব্ধতায় ডুবতে ডুবতে হঠাৎ মনে পড়ে যায়, তুমি তো আছই আমার দু-চোখ জুড়ে!

জানো, আমার ভালোবাসাটা যেন কখনও তোমার জন্য বিরক্তির কারণ না হয়, শুধু এটা ভেবেই বছরের পর বছর চুপ থেকে গেছি।

আমার ভালোবাসার মানে তোমার পথের কাঁটা হওয়া নয়, বরং তোমার পথের কাঁটাগুলো সরিয়ে দেওয়া।

আমার ভালোবাসার মানে তোমাকে বন্দি করে ফেলা নয়, বরং তোমাকে তোমার মতো মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া। যদি ফিরে আসো, তখন ভেবে নেব, পাখিটা সত্যিই আমার ছিল। ফিরে না এলেও কাঁদব না। জানিই তো, পাখিটা অনেকটা সময় আমার সঙ্গে থেকেছে।

আমার ভালোবাসার মানে তোমাকে রোজ রোজ দেখতে চাওয়া বা ফোন দেওয়া নয়। যে মানুষটা মনের রাজ্যে জায়গা নিয়ে বসে আছে, তাকে নতুন করে আর কী-ইবা দেখতে চাইব! আমি তোমাকে বিরক্ত করতে চাই না, শুধু ভালোবাসতে চাই। আমি চাই, তোমার মনের চোখে আমার মুখটা ভেসে উঠলে যেন তোমার মধ্যে বিরক্তি নয়, মায়া জাগে।

আমি চাই না, প্রতিদিনই আমাদের ফোনে কথা হোক।আমি চাই না, তোমার কাজ ফেলে তুমি আমায় সময় দাও। আমি চাই, তোমার সব কাজ শেষ করে তুমি শান্তিতে বিশ্রাম নাও। তোমার বিশ্রামের মুহূর্তগুলিকে জোর করে ছিনিয়ে নেবার মানুষ আমি হতে চাই না। তুমি আমার হয়েই আছ, এটুকু বুঝতে পারলেই আমি অনেক খুশি।

আমি তোমাকে পুরাতন করতে চাই না। আমি চাই, প্রতিদিনই তোমাকে নতুন রূপে নতুন করে নতুন পথে ভালোবাসতে।

আমাদের কথা হবার চাইতে বরং এটা জরুরি, আমরা যেন বুঝে নিই, আমরা দু-জন পরস্পরকে কখন কী কীভাবে কেন বলতে চাই।

আমার দিক থেকে কখনোই যেন কোনও রকমের বিন্দুসমও ত্রুটি না থাকে তোমাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে। সৃষ্টিকর্তা যেন আমার সহায় থাকেন।

আজকালকার মতো দেখানো-ভালোবাসার দরকার আমাদের নেই। আমাদের দু-জনেরই একটাই চাওয়া, আমরা যেন একজন আরেকজনকে বুঝতে পারি, ভুল না বুঝি এবং এই ভালোবাসাটা যেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই রকম অটুট থাকে।

তোমার-আমার প্রেম নিয়ে ঘাটে ঘাটে গা ভাসানো প্রয়োজন, এমনটা কখনও মনে হয়নি আমাদের কাছে। আমরা জানি, প্রেমটা আজ আছে তো কাল নেই। তাই আমরা কঠিনটাকেই আপন করে নিয়েছি। আর আমাদের দু-জনের কাছে রয়ে গেছে শুধুই একটা জিনিস...ভালোবাসা।
আমি তোমার প্রথম নয়, শেষ হতে চাই।

আমি সুখের নয়, দুঃখের সাথী হতে চাই।

আমি তোমার অশান্তির নয়, শান্তির কারণ হতে চাই।

আমি তোমার অশ্রু নয়, অশ্রু মোছার মানুষ হতে চাই।

আমি তোমার অসুখ নয়, অসুখের মলম হতে চাই।

আমি তোমার ভেঙে পড়ার কারণ নয়, শক্ত হবার খুঁটি হতে চাই।

আর তুমি আমার রোজদিনের ভালোবাসাই হয়ে থেকো, কেমন?



ভাবনা: আটশো উননব্বই
………………………………………………………

এক। তুমি গতকাল বললে তোমার বুকে আসার জন্য। আমি বলি কী, তোমার যাকে ভালো লাগে, তাকে তোমার বুকে রেখে দাও। আমার আপত্তি নেই। যার সঙ্গে থাকতে ভালো লাগে, তার সঙ্গে থেকে যেয়ো। তোমার ভালোথাকাই আমার ভালোলাগা।

আর তোমার যখন কান্না পাবে কিংবা খুব মন খারাপ থাকবে, তখন তুমি চলে এসো আমার কাছে। আমার কোলে মাথা রেখে কিছু সময় কান্না করে নিয়ো, প্রিয়। আমি তোমার সমস্ত অশ্রু গ্রহণ করতে শিখেছি।

আমি কিছু করতে পারি বা না পারি, তোমার সঙ্গে কাঁদতে পারব, তোমার চোখের জল মুছে দিতে পারব, তোমার দুঃখ কিছুটা হলেও কমিয়ে দিতে পারব। আমাকে তোমার সুখের ভাগ না দাও, কষ্টের ভাগটুকু অন্তত দিয়ো।

এর বিনিময়ে কিছুই চাইব না আমি। তোমাকেও চেয়ে বসব না। সময় করে তুমি এসো আমার কাছে। আমি আসতে পারি বা না পারি, তুমিই এসো। যদি আমি বদলে যাই, তবে সেদিন তুমিই ফিরিয়ে নিয়ে এসো এই পুরনো আমিকে। যখন যেখানে যেভাবেই থাকি না কেন, তোমার জন্য আমি সবসময়ই শুরুর বিন্দুতে ফিরে আসতে রাজি... শুধু এক বার ডেকেই দেখো!

হে আমার ভালোবাসা, আমি সত্যি সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবাসি! অনেক...এর গভীরতা কখনও খুঁজো না, খুঁজলে তুমি ভয় পেয়ে যাবে!

দুই। চরিত্রবান খারাপ বন্ধুর চাইতে চরিত্রহীন ভালো বন্ধু অনেক বেশি কাজের।

তিন। আমার কোথাও তুমি ছিলে না। রোজকার ফোনে, প্রেমে, দেখা করায় কিংবা কোনও সম্পর্কে…কোথাও ছিলে না তুমি! তবু ছোটো ছোটো বিন্দু ক্রমেই জমতে শুরু করল। হুট করেই সেগুলি ভালোবাসায় পরিণত হলো, একতরফা যদিও! সময় গড়িয়ে গেছে এরপর। অভ্যাস হলো না তোমার, না তোমার ভালোবাসার। খুব ঠান্ডা মাথায় বুঝবার চেষ্টা করলাম, না, তাকে না পাওয়াই ভালো! তাতে আর কিছু হোক না হোক, ভালোবাসাটা থেকে যাবে!

সময় আরও গেল। দেখি, মানুষটার জন্য ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগে। সপ্তাহের প্রতিদিনই প্রতিটি ঘণ্টাতেই মানুষটা মস্তিষ্কের ভেতরে চুপ করে বসে থাকে। খুব খুব করে ভাবলাম। ভেবে দেখলাম, তাকে না পেয়েও তো ভালোবেসেই যাচ্ছি। যাচ্ছিই যখন, সে জানলেই কী, আর না জানলেই-বা কী!

ভালোবাসতে বাসতে ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরতর হলো। হারিয়ে ফেলার ভয় নেই, বিন্দুমাত্রও না! যাকে পাইনি, তাকে হারাবই-বা কী!

এই হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দন তোমার জন্যই। এই শরীরের প্রতিটি নিঃশ্বাসও তোমার জন্যই। বেঁচেও আছি এক তোমার জন্যই। এখন তুমিই বলো, তুমি আমার কে হও!

কিছুই হয় না যে মানুষটা, সেই মানুষটাই আমার সব হয়! কখনোই পাবো না যাকে, এ জীবনে এক তাকে বাদে পেলাম না আর কিছুই!

তোমাকে দীর্ঘসময় নিয়ে দেখলাম। এই দীর্ঘসময়ে দেখলাম, তুমি অন্য কারও। ক্ষণিকের জন্যও আমার নও, ভুল করেও আমার নও, আমার হাজারো চোখের জলের বিনিময়েও আমার নও, আমার আট বছরের অপেক্ষার পরও তুমি আমার নও। সত্যিই তো তুমি আজ, গতকাল বা আগামীকালও আমার নও। তুমি আমার ছিলে না এবং হবেও না। তুমি কখনোই আমার নও, আমার হবেও না!

তুমি কখনোই আমার ছিলে না, হবেও না---এটা মেনে নেওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু এই অনুভূতিটা নিয়ে ভালোবেসে যাওয়াটা খুব সহজ বিষয় নয়। যে বাসে, একমাত্র সে-ই জানে! আইয়ুব বাচ্চুর মতো করে বলতে ইচ্ছে করে…আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি, তাই তোমার কাছে ছুটে আসি! …হ্যাঁ, সত্যিই তা-ই!
আমি তোমার দেওয়া সবকিছুই সহ্য করে নিই, কারণ তোমায় ভালোবাসি। তোমাকে একটু দেখার জন্য এই দু-চোখে কী যে এক তৃষ্ণা!

কী এক অদ্ভুত দূরত্ব দু-জনের মধ্যে! অথচ আমি স্পষ্টভাবে জেনে এসেছি, দূরত্ব যা-ই হোক, আমার মনে শুধুই তোমার রাজত্ব। হঠাৎ কখনও মনে হয়, আমাদের দু-জনের মধ্যে থাক যা খুশি! ভালোবাসা থেকে বিদায় নেবার সময় এসে গেছে!

ঘুম ভেঙে পাশ ফিরে যদি দেখতে পেতাম তোমার মুখ, তবে পাওয়া হয়ে যেত আমার অনেকটুকু সুখ!
শান্তি চাও? কাছে এসে থেকে যাও। ইনবক্সে শান্তি নেই, শুধুই কথা আছে; আর কথার মানেই তো ভুল বোঝাবুঝি। তোমার সঙ্গে থেকে শান্তি দেবার সকল যোগ্যতাই আমার আছে।

জানো, কখনোই আমার ইচ্ছে জাগেনি রাতে তোমার সঙ্গে কথা বলার। আবেগে টগবগ করে ফুটতে থাকা রাতের কথার চাইতে ভোরবেলায় ‘শুভ সকাল’ জানিয়ে এবং তোমায় ভালোবেসে শুরু হয়েছে আমার প্রতিটি দিনই। খুব করে বলা হয়নি ‘পাশে আছি তোমার!’, তবুও রয়ে গেছি অনেকটা সময়।
ভালোবাসি বলেই তোমাকে চেয়ে বসব, এমন কিছুই মাথায় আসেনি কখনও, তবু তুমি থেকে গেছ ভালোবাসা হয়ে। ভালোবাসলে থেকে যেতে হয় না, ভালোবাসলে শুধুই ভালোবেসে যেতে হয়।

চার। শিক্ষক দুই রকমের:

যারা দায়ে পড়ে সার্টিফিকেট দেয়,
যারা গায়ে পড়ে সার্টিফিকেট দেয়।