তিন বছরের পরের বৃষ্টিকে দেখতে গিয়ে আজ অনেকদিন পর কেন জানি না আবার নতুন করে সেই হারিয়ে যাওয়া পুরনো তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। জোর করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা ইচ্ছেরা ইতোমধ্যে বিদ্রোহ করতে আরম্ভ করে দিয়েছে! ঘুমিয়ে থাকতে তারা আজ নারাজ, মনের কোণের অব্যক্ত আবদারগুলো আজ বড্ড বেশিই বেয়াড়া! ওদের ঠাঁই দিতে গিয়ে মনটা আজ বড়ো স্মৃতিকাতুরে! শুধু অপেক্ষাটাই হঠাৎ হয়ে গেছে যেন নিখোঁজ! ঘুণে খেয়ে নিয়েছে তোমার কাছে আমার শত দিনের শত আবদারের চৌকাঠ! আমায় জোর করে ঘুম পাড়িয়ে ইচ্ছেগুলো ঘুম ভেঙে আজ মাতাল তোমার হারিয়ে যাওয়া পুরনো সেই সুবাসে! তারা আজ অবাধ্য, উচ্ছৃঙ্খল, দুর্বিনীত! তারা আজ হন্যে হয়ে বদ্ধ উন্মাদের মতো খুঁজে বেড়াতে চায় তাদের হারিয়ে যাওয়া পুরনো সেই অভ্যেসকে…তোমাকে! কিন্তু আজ তুমি কোথায়! জানি, হারিয়ে গেছো! শুধু পড়ে রয়েছে তোমার জন্য রাখা ডায়েরিটা! ডায়েরির পাতাগুলো এখন ফাঁকাই পড়ে থাকে। ওতে বহুদিন লেখা হয়নি কিছুই… গোলাপি পাতাগুলো ক্রমশ ধূসর হয়ে পড়েছে… কলমটা যেন আজ বড্ড বেশিই ভারসাম্যহীন! মরেচে ধরেছে এই কলমের সর্বাঙ্গে! কেন? সে কি কেবলই সময়ের ব্যবধানে? না কি সময়ের পরিবর্তনেও? কোনটা? সময়টা তবে পালটেই গেল? না কি পালটে গেলাম সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আমি আর তুমি? কে দেবে এর উত্তর! সময় এগিয়ে যায়, তবু যেন আজও আমি পিছিয়ে আছি কোনও এক অগোছালো অতীতের অবাধ্য টানে! খুব সতর্ক হয়ে পাহারা দিচ্ছি আমার অভিমানগুলোকে! যত্নে তুলে রেখেছি কিছু অর্থহীন বাক্যে ডায়েরির পাতায় পাতায় একপাশে সরানো সেই অভিযোগগুলোকে! আজ নাহয় তোলাই থাক সেগুলো…পুরনো যত্নেই!