– তোর সাথে আমার যেদিন প্রথম কথা হয়েছিল, সেই ফোনালাপটা আজ হুট করেই খুব মনে পড়ছে। কিন্তু দেখ, আমাদের আর কথা হয় না। কতগুলো দিন পেরিয়ে গেছে, অথচ আমাদের আর কোনো তাড়া নেই, কথা বাড়ানোর কোনো প্রয়াসও নেই।
– শোন পাগলি, তুই আজও আমার থেকে বিচ্ছিন্ন নোস।
– আমি জানি, আমার কোনো মূল্য নেই তোর কাছে। আমার মতো কেউ তোর ইনবক্সে না থাকলেও, তোর কিছু যায় আসে না।
– কী হয়েছে তোর? এসব উলটোপালটা বকছিস কেন?
– তুই ঘুমিয়ে পড়, আমি কাল থেকে চেষ্টা করব তোকে আর মেসেজ না দিতে।
– কী হয়েছে তোর? আমি তো তোকে কখনও মেসেজ দিতে বারণ করিনি।
– তুই বারণ করবি কেন? আমি তো তোর কেউ নই, কখনও ছিলামও না।
– তোকে খুব ক্লান্ত লাগছে, আয় আমার বুকে এসে ঘুমিয়ে পড়।
– হা হা! শুধু ক্লান্তিই চোখে পড়ল? আর কিছু দেখতে পেলি না? আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখ, কিছুই বুঝতে পারিস না? তুই কী করে এমন অন্ধ হতে পারিস? ওহ হ্যাঁ, তুই তো শুধু আমার বেলাতেই অন্ধ, কিছুই দেখতে চাস না, বুঝতেও পারিস না!
কেনই-বা পারবি? কে বলেছে তোকে পারতে হবে? কেন বার বার আমার সব ব্যর্থতার কথা মনে করিয়ে দিস, এভাবে নীরব থেকে? ভুলেই গিয়েছিলাম—আমার মতো কাউকে কেউ ভালোবাসতে নেই।
আমাকে ভালোবাসলে, ভালো থাকা যায় না সেভাবে করে; শান্তিতে নিজেকে সমর্পণ করা যায় না; আরও কিছু হয়! ভালো করেছিস, দূরে থেকেই অনেক ভালো করেছিস। নিজেকে ভালো রাখিস।
– হয়েছে? এখন শান্ত হয়ে আমার বুকে আয়। তোর চোখ এত লাল কেন?
– এখন থেকে আমার চোখ এমনই রক্তাক্ত থাকবে। আমি মরে গেলেও, তোর আদৌ কিছু যায় আসে না, তাই না? কখনোই কারও কিছু যায় আসে না!
– আমি আছি তো, পাগলি। এতটা অস্থির হয়ে আছিস কেন?
– তুই ভালো থাকিস। আমি আসলে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় একজন মানুষ, যার তোর জীবনে কোনো দরকার ছিল না, আর ভবিষ্যতেও থাকবে না। আমি তোর ইনবক্সে এক অযাচিত উপদ্রব মাত্র।
– কে বলেছে তোকে এসব?
– কাউকে বলতে হয়নি। তোকে নিয়ে তোর অনুভূতি আমার কাছে অপ্রকাশিত কোনো ছন্দ নয়। তোকে অনেক, অনেক বেশিই...
– খুব খারাপ লাগছে, বিশ্বাস কর।
কেন এমন করছিস পাগলি? কে বলেছে, আমি তোকে ছাড়া ভালো থাকি? তোর এই বেপরোয়া ভালোবাসায় আমি নিজেকেই খুঁজে পাই। তোর অকারণ অস্থিরতায় আমি এলোমেলো হয়ে যাই। তুই কি কোনোদিন বুঝবি না?
তুই যদি অশান্ত হয়ে পড়িস, তোকে বুকের ভেতরে কে জড়িয়ে রাখবে বল? কথা বলছিস না কেন? ঘুমিয়ে পড়েছিস?
তুই যদি আমার বুকের ভেতর এসে এভাবে ঘুমিয়ে থাকিস, আমার মনে হয় তোকে ছাড়া সব অভিমানই বিবর্ণ। তোর ধীর স্পন্দনে ভালোবাসাগুলো আজও বেঁচে আছে।
– শুভ সকাল, আমার মিষ্টি পাগলি।
কাছে আয়, তোর ঠোঁটের স্পর্শ নিই। তোর ছোঁয়ায় আমার ঠোঁট ভিজে যাক, সব অভিপ্রায় ভেঙেচুরে যাক, যা তোকে আগলে রাখতে চেয়েছিল।
তোর ভেতরেই আমি, পুরোটা জুড়ে। তোর নিঃশ্বাসের শব্দেই আজ নিজেকে বড়ো বেপরোয়া লাগছে।
– আমি কালকের জন্য অনুতপ্ত। আমি তখন নিজের ভেতরেই ছিলাম না। তোকে কী বলেছিলাম, আমার নিজেরই মনে নেই। আমাকে ভুল বুঝিস না।
– তেমন কিছুই বলিসনি, পাগলি, শুধু বলেছিস—তুই আমাকে ভীষণ ভালোবাসিস।
– আহ্! তুই যখন আমাকে এভাবে আদর করিস, আমি পাগল হয়ে যাই। খুব দিশেহারা লাগে।
– তোর সব কিছুই আমার। তোর অভিমান, তোর স্পন্দনের কোলাহল, তোর স্পর্শ, তোর চোখের সে আকুলতা—সবই শুধু আমার। বুঝেছিস, পাগলি?
– তুই এভাবে কাছে এলে আমি ভীষণ শান্তি পাই। আমার আর কিছু লাগবে না, শুধু তোকেই লাগবে।